ভিজিটর সংখ্যা
জনপ্রিয়
-
বিজ্ঞান আমাদের অনেক কিছু দিয়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ও প্রয়োজনীয় জিনিস হচ্ছে ‘ কম্পিউটার ”।বর্তমান যুগ কম্পিউটার বিজ্ঞানের যুগ। কম...
-
এই বইগুলতে প্রত্যেকটা ছবি কালার ও বুঝানোর জন্য প্রয়োজনীয় ইনডেক্স ও ফ্লো চার্ট ব্যবহার করা হয়েছে ... আর এই বই গুলো বোর্ড অনুমোদিত ... ...
-
ইংরেজি ভাষা শেখার জন্য অসংখ্য বই বাজারে আছে । কিন্তু সর্ব স্তরের শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষা শিখার সব ধরনের প্রয়োজন মেটাতে পারে এম...
-
বিসিএস, পিএসসি, ব্যাংকার্স রিক্রুটম্যান্ট, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি, শিক্ষক নিয়োগ, বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে সরকারি ও বেসরকারি চাকরির নিয়োগ ও...
-
All songs that are available from this server are listed below. 4441 songs in alphabetical order (artist's name) NOTE: The links below...
-
আমার আট বছরের কালেকশন..! এই বিশাল কালেকশন গড়ে তোলার জন্য আমকে অসংখ্য ফাইল (যেমনঃ সফটওয়্যার, ই-বুক বা বই ও টিউটোরিয়াল) ডাউনলোড করতে হ...
-
মুহাম্মদ জাফর ইকবাল বই ডাউনলোড করুন _ আধুনিক ইসপের গল্প _ ভূতগুলো খুব দুষ্ট ছিল _ আমি তপু ( Ami Topu) _ অবনীল ( Obon...
-
গনিতের শর্ট কাট নিয়মের (Short Cut Math Techniques) অসাধারন বাংলা বই । বিশ্বাস না হলে ! সামান্য কিছু কিলোবাইট খরচ করে যে কোন একটা ...
-
বই পড়তে আমরা অনেকেই ভালবাসি। অনেকে আবার বই কিনতেও ভালবাসি। যান্ত্রিক সভ্যতার এই যুগে আমরা কম্পিউটারের সামনে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দ...
-
২০১৬ সালের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বইগুলোর PDF আপনার এন্ড্রোয়েড বা স্মার্ট ফোনে পড়ুন যে কোন ফন্টের বাংলা বই ... এখন এনসিটিবি...
বিভাগ সমূহ
- শিক্ষণীয় বাংলা বই (37)
- প্রয়োজনীয় বাংলা ওয়েব সাইট লিঙ্ক (21)
- ইংরেজি শেখা (English Learning) (13)
- ডিভিডি (DVD) সেবা সমূহ (13)
- Keyboard Shortcuts A-2-Z (10)
- কম্পিউটার বাংলা বই (9)
- প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার (9)
- বিখ্যাত সব লেখকের বাংলা ই-বুক (9)
- ইসলামিক বাংলা বই (8)
- মুভি ও গান ডাউনলোড (8)
- বই ডাউনলোড়ের ওয়েব সাইট (5)
- বাংলা উপন্যাসের ই-বুক (3)
- বাংলা গল্পের ও উপন্যাসের ই-বুক ডাউনলোড এর সরাসরি লিঙ্ক (3)
- ইংলিশ গ্রামার ই-বুক (1)
T@NB!R ব্লগ সংরক্ষাণাগার
-
▼
2018
(29)
- ► সেপ্টেম্বর (1)
- ► ফেব্রুয়ারী (2)
-
►
2017
(26)
- ► সেপ্টেম্বর (4)
-
►
2016
(26)
- ► সেপ্টেম্বর (1)
- ► ফেব্রুয়ারী (1)
-
►
2014
(27)
- ► সেপ্টেম্বর (1)
- ► ফেব্রুয়ারী (1)
-
►
2013
(78)
- ► সেপ্টেম্বর (12)
- ► ফেব্রুয়ারী (1)
-
►
2012
(121)
- ► সেপ্টেম্বর (2)
- ► ফেব্রুয়ারী (9)
Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Social
Random Post
Categories
- অনলাইন ইনকাম
- ইংরেজি শেখা (English Learning)
- ইংলিশ গ্রামার ই-বুক
- ইসলামিক বাংলা বই
- উচ্চমাধ্যমিক বা এইচএসসি (HSC)
- ওয়েব প্রোগ্রামিং
- কম্পিউটার বাংলা বই
- গ্রাফিক্স ডিজাইনিং
- ডিভিডি (DVD) সেবা সমূহ
- প্রয়োজনীয় বাংলা ওয়েব সাইট লিঙ্ক
- প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার
- প্রোগ্রামিং
- বই ডাউনলোড়ের ওয়েব সাইট
- বাংলা উপন্যাসের ই-বুক
- বাংলা গল্পের ও উপন্যাসের ই-বুক ডাউনলোড এর সরাসরি লিঙ্ক
- বিখ্যাত সব লেখকের বাংলা ই-বুক
- বিজ্ঞান প্রযুক্তির বই
- বিভিন্ন লেখকদের বিখ্যাত বই
- ব্যাংক জব
- মাইক্রোসফট ওয়ার্ড
- মুভি ও গান ডাউনলোড
- মোবাইলের সফটওয়্যার ও ওয়াপ সাইট
- শিক্ষণীয় বাংলা বই
- হুমায়ূন আহমেদ রচনা সমগ্র
- Keyboard Shortcuts A-2-Z
Labels
- অনলাইন ইনকাম
- ইংরেজি শেখা (English Learning)
- ইংলিশ গ্রামার ই-বুক
- ইসলামিক বাংলা বই
- উচ্চমাধ্যমিক বা এইচএসসি (HSC)
- ওয়েব প্রোগ্রামিং
- কম্পিউটার বাংলা বই
- গ্রাফিক্স ডিজাইনিং
- ডিভিডি (DVD) সেবা সমূহ
- প্রয়োজনীয় বাংলা ওয়েব সাইট লিঙ্ক
- প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার
- প্রোগ্রামিং
- বই ডাউনলোড়ের ওয়েব সাইট
- বাংলা উপন্যাসের ই-বুক
- বাংলা গল্পের ও উপন্যাসের ই-বুক ডাউনলোড এর সরাসরি লিঙ্ক
- বিখ্যাত সব লেখকের বাংলা ই-বুক
- বিজ্ঞান প্রযুক্তির বই
- বিভিন্ন লেখকদের বিখ্যাত বই
- ব্যাংক জব
- মাইক্রোসফট ওয়ার্ড
- মুভি ও গান ডাউনলোড
- মোবাইলের সফটওয়্যার ও ওয়াপ সাইট
- শিক্ষণীয় বাংলা বই
- হুমায়ূন আহমেদ রচনা সমগ্র
- Keyboard Shortcuts A-2-Z
Categories
- অনলাইন ইনকাম
- ইংরেজি শেখা (English Learning)
- ইংলিশ গ্রামার ই-বুক
- ইসলামিক বাংলা বই
- উচ্চমাধ্যমিক বা এইচএসসি (HSC)
- ওয়েব প্রোগ্রামিং
- কম্পিউটার বাংলা বই
- গ্রাফিক্স ডিজাইনিং
- ডিভিডি (DVD) সেবা সমূহ
- প্রয়োজনীয় বাংলা ওয়েব সাইট লিঙ্ক
- প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার
- প্রোগ্রামিং
- বই ডাউনলোড়ের ওয়েব সাইট
- বাংলা উপন্যাসের ই-বুক
- বাংলা গল্পের ও উপন্যাসের ই-বুক ডাউনলোড এর সরাসরি লিঙ্ক
- বিখ্যাত সব লেখকের বাংলা ই-বুক
- বিজ্ঞান প্রযুক্তির বই
- বিভিন্ন লেখকদের বিখ্যাত বই
- ব্যাংক জব
- মাইক্রোসফট ওয়ার্ড
- মুভি ও গান ডাউনলোড
- মোবাইলের সফটওয়্যার ও ওয়াপ সাইট
- শিক্ষণীয় বাংলা বই
- হুমায়ূন আহমেদ রচনা সমগ্র
- Keyboard Shortcuts A-2-Z
Pages
Like Us On Facebook
Popular Posts
-
এই বই গুলো ঠিক মত পড়ার জন্য নিচের ফন্ট সমুহ ইন্সটল করে নিন http://www.mediafire.com/?dvh8z30k5s9h5r3 Textbooks for the Academic Ye...
-
আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে ইংরেজির গুরুত্ব কতটা তা আমরা ভালভাবেই জানি। আধুনিক বিশ্বে এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে অফিস-আদালত থেকে শুরু করে দৈনন্দিন ...
-
বিজ্ঞান আমাদের অনেক কিছু দিয়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ও প্রয়োজনীয় জিনিস হচ্ছে ‘ কম্পিউটার ”।বর্তমান যুগ কম্পিউটার বিজ্ঞানের যুগ। কম...
-
বাংলা ইসলামিক বই পড়ুন নিজের দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে জানুন আজ আমি আপনাদের জন্য ইসলামিক বাংলা বইয়ের ভান্ডার নিয়ে হাজির হয়েছি। বাংলা ...
-
পৃথিবীতে মানুষ এতোসব বিচিত্র শখ নিয়ে বেঁচে থাকে যে, সবার কথা স্বাভাবিকভাবেই আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব হয়ে ওঠে না। কিছু শখ স্রেফ শখের সংগ্রহ...
-
ইংরেজি ভাষা শেখার জন্য অসংখ্য বই বাজারে আছে । কিন্তু সর্ব স্তরের শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষা শিখার সব ধরনের প্রয়োজন মেটাতে পারে এম...
-
[ বইগুলো হলোঃ - ১) ভূমি বা জমিজমার পরিমাণ পদ্ধতি , জরিপ ও আইন ২) ভূমি জরিপ , দলিল সম্পাদন ও রেজিষ্ট্রশন সংক্রান্ত আইন ৩) রিয়েল এস্টে...
-
২০১৬ সালের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বইগুলোর PDF আপনার এন্ড্রোয়েড বা স্মার্ট ফোনে পড়ুন যে কোন ফন্টের বাংলা বই ... এখন এনসিটিবি...
-
1) অন্ধকারে একজন বন্ধুর সঙ্গে হাঁটা আলোতে একা হাঁটার চেয়ে ভালো। হেলেন কিলার 2) অনেক কিছু ফিরে আসে , ফিরিয়ে আনা যায়...
-
এই বইগুলতে প্রত্যেকটা ছবি কালার ও বুঝানোর জন্য প্রয়োজনীয় ইনডেক্স ও ফ্লো চার্ট ব্যবহার করা হয়েছে ... আর এই বই গুলো বোর্ড অনুমোদিত ... ...
মঙ্গলবার, ৭ আগস্ট, ২০১৮
নীরোগ দীর্ঘ জীবন ৫০টি উপায় :
সমীক্ষায় দেখা গেছে আমাদের আগের
প্রজন্মের মানুষেরা আমাদের থেকে দীর্ঘজীবি হতেন। এর কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা মনে
করেন তখনকার দষণমুক্ত আবহাওয়া, ভেজালহীন খাবার আর এক ধরনের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা যা তারা মেনে চলতেন।
সেই বিষহীন পৃথিবী আর আমরা ফিরে পাব না। তবে ড্যালাসের ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট
লরা লিউইস-এর তত্ত্ব অনুযায়ী দৈনন্দিন জীবনে সামান্য বদল এনে বাড়ানো যায় এই
প্রজন্মের মানুষের গড় আয়ু। লরা লিউইস-এর তত্ত্ব অবলম্বনে এই প্রবন্ধটি।
উপায়–১ প্রাণ খুলে হাসুন
হাসিও ওষুধ। দীর্ঘ, নিরোগ জীবনের জন্য হাসি অনেক
উপকারে আসবে আপনার। একটা হিসেবে দেখা গেছে রোয়িং মেশিনে মিনিট দশেক ব্যায়াম করলে
হার্টের যে উপকার হয় চব্বিশ ঘন্টায় শ খানেক বার হাসলেও সেই একই কাজ হয়। অতএব
হাসুন। মনে রাখবেন কোনো ঘটনার কারণে স্বাভাবিক হাসিতে যে উপকার, চেষ্টা করে হাসলেও সেই উপকার। হাসিতে শুধু হার্ট নয় সারা শরীরেরও নানা
উপকার হয়।
বেশি করে হাসুন। যখন কথা বলছেন তখন, গাড়িতে আছেন, এমনকি যখন অফিসে কাজ করছেন তখনও। হাসির উপকারিতার কথা সবসময় মাথায়
রাখুন।
অন্যদের সঙ্গে হাসি-ঠাট্টা করুন। এমন
গান শুনুন যা শুনে আপনার মন ভালো থাকে। আপনার মুখের ভঙ্গি সম্পর্কে সচেতন হন। যদি
চেহারায় বিষণ্নতা থাকে তাহলে চোখেমুখে খুশীর ছাপ ফুটিয়ে তুলুন।
তবে হ্যাঁ, যতই হাসুন, যখনই হাসুন এমন কিছু করবেন না যাতে আপনাকে বোকা বোকা লাগে বা অন্যরা
কিছু মনে করতে পারে।
উপায়–২ পেটটাকে ক্যানভাস ভাবুন
শরীর ভালো রাখার জন্য রোজকার খাবারে
বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করুন। দৈনন্দিন খাদ্যতালিকা এমন হওয়া উচিত যাতে সর্বাঙ্গীণ
পুষ্টি আপনার জোটে। এ কাজটা সহজ হয় যদি খাবারের থালাটি আপনার চোখে ভাসে। খালি
থালাটিকে মনে মনে তিন ভাগে ভাগ করুন। তার মধ্যে অর্ধেক থালায় অর্থাৎ অর্ধেক ভাগে
থাকবে কার্বোহাইড্রেট প্রধান খাবার, তিনের এক অংশে শাকসব্জি আর ছয়ের এক অংশে প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার। খাবার
নির্বাচন করার সহজ পদ্ধতি হল খাবারের রং, গন্ধ, চেহারার দিকে লড়্গ্য রাখা। তবে কৃত্রিম রং, গন্ধ
নয়। খেয়াল করে দেখবেন আপনার পেটের খাবারে যদি নানা রং থাকে তা হলে সেগুলো আসছে শাকসব্জি
থেকে। যেমন গাজরের কমলা, বিটের লাল, কুমড়ার হলুদ, বিনের সবুজ ইত্যাদি। আর একটা কথা,
খাবারে তন্ত্রু অর্থাৎ ফাইবার জাতীয় খাবার রাখার চেষ্টা করবেন।
ফাইবার পেট পরিষকার রাখার উত্তম উপায়। এছাড়া এই ধরনের প্রকৃতিজ রঙিন খাবার আপনার
ইমিউনিটি সিস্টেমের উন্নতি ঘটাবে। যখনই কোনো রেস্তোরাঁয় খেতে যাবেন স্যালাড বার-এর
দিকটা ভুলবেন না। মাছ মাংস খেলেও আপনার পেটটাকে ক্যানভাস ভেবে কিছু প্রকৃতিজ রং
অ্যাড করুন সব্জি বা ফলের মাধ্যমে।
উপায়–৩ ঘুমের কোনো বিকল্প নেই
ভালো ঘুম না হলে পরের দিনটাই মাটি।
ব্যক্তি বিশেষে ঘুমের সময়ের তারতম্য হলেও সাধারণভাবে আট-ন ঘন্টার ঘুম আমাদের
দরকার। তবে যে যতক্ষণই ঘুমান, দেখতে হবে সেই ঘুমের কোয়ালিটি যাতে ভালো হয়। অর্থাৎ ঘুমটা যেন বেশ গাঢ়
হয়। গাঢ় ঘুমের জন্য কয়েকটি কথা মনে রাখা উচিত। সেগুলো হল ঘুমানোর বেশ কয়েক ঘন্টা
আগেই চা, কফি, সিগারেট খাওয়া
বন্ধ করতে হবে।
রাতে ভারী মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া চলবে
না। ঘুমানোর আগে বেশি পরিশ্রম, উত্তেজনা ঠিক নয়। ঘুমের ওষুধ নিয়মিত খাওয়াও ক্ষতিকর। ঘুমাতে যাওয়ার
একঘন্টা আগে দরকার হলে ক্যালসিয়াম-ম্যাগনেশিয়াম সাপিস্নমেন্ট খেতে পারেন। আর একটা
কথা ঘুমের সময় ছাড়া বিছানা ব্যবহার করবেন না।
বেড রুমটাকে ডাইনিং রুম বা অফিসের কাজের
জন্যও ব্যবহার করা উচিত নয়।
উপায়–৪ বন্ধু বিটা ক্যারোটিন
জানেন কি রোজ একটা মিষ্টি আলু খেলে
ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যেতে পারে? কারণ, মিষ্টি আলুতে রয়েছে
বিটা ক্যারোটিন। বিটা ক্যারোটিন হল এ্যান্টি অক্সিডেন্ট। গবেষণায় দেখা গেছে বিটা
ক্যারোটিন সমৃদ্ধ খাবার যারা বছর কুড়ি ধরে খাচ্ছেন তাদের ফুসফুস, মুখ, গলা, ঠলাডার,
ত্বক, ব্রেস্ট ইত্যাদির ক্যান্সার হওয়ার
সম্ভাবনা কম। তাছাড়া নিয়মিত বিটা ক্যারোটিন খেলে বয়স্কদের চোখে ছানি বা চোখের
অন্যান্য সমস্যাও কম হয়। এ ছাড়া ত্বক ভালো থাকে, শ্বাসনালী
পরিষকার থাকে, হাড় ভালো থাকে। বিটা ক্যারোটিন যথেষ্ট
পরিমাণে পাওয়া যায় কমলা, হলুদ, গাঢ়
সবুজ বর্ণ শাক সব্জিতে। কুমড়া, গাঁজর, মিষ্টি আলু, শাক, ফুলকপি,
পিচ, অ্যাপ্রিকট, পাকা পেঁপে ইত্যাদিও বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ খাবার।
এবার থেকে যখনই সকাল-বিকেল-রাতের খাবার
খাবেন দেখবেন যেন বিটা ক্যারোটিন আছে এমন শাকসব্জি, ফল খাচ্ছেন। মনে রাখবেন বিটা ক্যারোটিনে আছে যে
কোনো রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা।
উপায়–৫ সাহায্য নিন সুগন্ধির
অসম্ভব মানসিক চাপে রয়েছেন? ভ্যানিলা ও আমন্ড সেন্ট শুকে
দেখুন, হাল্কা লাগবে। ঘুম আসছে না? ল্যাভেন্ডার সেন্ট, ভ্যানিলা ও আমন্ড সেন্ট
শুকে দেখুন, দেখবেন কখন ঘুমিয়ে পড়েছেন।
গন্ধের সঙ্গে আমাদের শরীর, মন, আবেগের
সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। ইদানীং অ্যারোমাথেরাপির গুরুত্ব বাড়ছে এই কারণেই। জাপানে এক
পরীড়্গায় দেখা গেছে কিছু কিছু গন্ধ আমাদের কাজে ভুল করার হার কমিয়ে দেয় অনেকখানি।
এসেনশিয়াল অয়েল সোজাসুজি ত্বকে লাগালে
সেই অয়েল যেন আমন্ড বা অন্য ভেজিটেবল অয়েলভিত্তিক হয়। এক বাটি পানিতে কয়েক ফোঁটা
এসেনশিয়াল অয়েল ফেলুন, তারপর সেটা ধীরে ধীরে উবে যেতে দিন। অ্যারোমাথেরাপি ক্যান্ডল ঘরে
জ্বালিয়ে রাখুন। সাইনাস পরিষকার রাখতে স্নানের পানিতে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস বা
রোজমেরি অয়েল দিন। এসেনশিয়াল অয়েল বেশি মাত্রায় ব্যবহার করবেন না। হিতে বিপরীত হতে
পারে। কতটা কতক্ষণ ব্যবহার করলে ভালো বোধ করেন সেটা পরীক্ষা করে দেখুন।
উপায়–৬ ফাইবার থাক খাবারে
নিয়মিত পেট পরিষকার না হওয়া শরীরে অনেক
রোগের কারণ। কোষ্ঠবদ্ধতা থেকে আসতে পারে ভেরিকোজ ভেনস, হেমারয়েড, উচ্চ রক্তচাপ এমনকি কোলোন, পাকস্থলী, প্যানক্রিয়াস, প্রেস্ট এবং প্রস্টেটের
ক্যান্সারও। অতএব রোজ যাতে পেট পরিষকার হয় সেদিকে বিশেষ লড়্গ্য রাখুন। এ ড়্গেত্রে
আপনাকে সাহায্য করবে ফাইবার।
শাকসব্জি, ফলের যে অংশটা হজম করা যায় না সেটাই হল ফাইবার। এটা
হজম না হয়ে শরীর থেকে বেরিয়ে যায় অন্য বর্জ্য পদার্থ সঙ্গে নিয়ে। তাই পেট পরিষকার
রাখায় ফাইবারের উপকারিতা খুব এবং পেট পরিষকার থাকলে অনেক অসুখ থেকেই রেহাই পাওয়া
যায়।
অন্তত আধকাপ শিম বা শিম জাতীয় শুটি
পারলে রোজ, নইলে
একদিন অন্তর অন্তর খান।
কলে ছাটা চাল, মিহি আটা না খেয়ে ঢেঁকিছাটা চাল,
ভুসিযুক্ত আটা খান। দিনে বার তিনেক খোসাসুদ্ধ ফল কান। সারাদিনে
প্রচুর পরিমাণে টাটকা শাকসব্জি খান।
যদি কোনো না কোনোভাবে ফাইবার খাওয়ার
অভ্যাস না থাকে তাহলে খাদ্য তালিকায় ধীরে ধীরে ফাইবার বেশি মাত্রায় রাখুন। যেমন
ধরুন প্রথম সপ্তাহে শুরুকরলেন ভুসিযুক্ত আটার রুটি। পরের সপ্তাহে বিন জাতীয় সব্জি, পরের সপ্তাহে খোসাযুক্ত ফল
ইত্যাদি।
উপায়–৭ ক্যালসিয়ামের মাত্রা বাড়ান
হাড়, দাঁত শক্ত আর মজবুত করার জন্য ক্যালসিয়াম যে শুধু
বাচ্চাদেরই দরকার তা নয়। ক্যালসিয়ামের
প্রয়োজন আপনারও। সুস্থ সবল থাকার জন্য খাবারে রাখুন ক্যালসিয়াস।
হাড়ের ক্ষয় পূরণ ও বৃদ্ধির জন্য রোজ
আমাদের প্রয়োজন পড়ে ছ‘শ থেকে সাতশ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম। খাবারের চর্বি এবং
প্রোটিন ভেঙ্গে ফেলায় যেসব এনজাইম কাজ করে তাদের সাহায্যে লাগে ক্যালসিয়াম। ক্যালসিয়াম
রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। নার্ভাস সিস্টেম ঠিক রাখার জন্যও ক্যালসিয়াম দরকার।
দরকার ভালোভাবে চিন্তাভাবনা করার ক্ষমতা বজায় রাখার জন্যও। এসব ছাড়াও দেখুন
ক্যালসিয়ামের উপকারিতা-ক্যালসিয়াম রক্ত জমাট বাঁধায় সাহায্য করে, ফ্যাট এবং প্রোটিন হজমে সাহায্য
করে, শরীরের পেশির কর্মক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে,
খাবারের পুষ্টি যাতে শরীরে লাগে সেটা দেখে। মেনোপজের পর মহিলাদের
হাড় ভঙ্গুর হয়ে যাওয়া অনেকাংশে রোধ করে। ব্লাডপ্রেশার ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
ক্যালসিয়াম পাবেন কোথায়? পাবেন দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবারে।
পাবেন সিট্রাস ফলে। এ ছাড়াও ক্যালসিয়াম সাপিস্নমেন্ট হিসেবে গ্রহণ করুন নিয়মিত।
উপায়–৮ ব্লাডপ্রেসার কম রাখুন
মাঝে মধ্যে ব্লাডপ্রেসার একটু আধটু এদিক
ওদিক হতেই পারে কিন্তু নিম্ন রক্তচাপ বা উচ্চ রক্তচাপ ভালো জিনিস নয় একেবারেই। তাই
কয়েকটা ব্যাপারে নজর দিন-
নুন খাওয়া কমিয়ে দিন পারলে কাঁচা নুন
বন্ধ করুন। উচ্চ রক্তচাপ থাকলে উত্তেজনা এড়িয়ে চলুন সর্বতভাবে। রাগ-বিরক্তির
প্রকাশে সংযত হোন। চিৎকার চেঁচামেচি একেবারে নয়। দিনে পনেরো-কুড়ি মিনিট ধ্যান
অভ্যাস করার চেষ্টা করুন। রক্তচাপের ক্ষেত্রে বিশেষ উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রে
রিলাক্সেশন খুব উপকারী জিনিস।
কঠিন হলেও দৈনন্দিন মানসিক চাপ
নিয়ন্ত্রণে রাখার উদ্যোগ এখন থেকেই নিন। শরীরের ওজন যাতে বয়স, উচ্চতা ইত্যাদি অনুযায়ী ঠিক
থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। খাদ্যতালিকায় রসুন, সামদ্রিক
মাছ, কাঁচা মরিচ, ব্রকোলি,
স্ট্রবেরি রাখুন। ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম
খান। খান ফল, শাকসব্জি একটু বেশি পরিমাণেই।
ধুমপান ত্যাগ করুন। ছেড়ে দিন ড্রিংক করা
অভ্যাস থাকলেও। ব্লাড প্রেসার চেক-আপ করানোর আগে পনেরো মিনিট বিশ্রাম নিয়ে নিন।
মনে কোনো উদ্বেগ অশান্তি নিয়ে ব্লাড প্রেসার চেক করাতে যাবেন না। এতে ঠিক রিডিং
নাও পাওয়া যেতে পারে। ঢেঁকি ছাটা চাল,
ভুসিযুক্ত আটার রুটি, টাটকা ফল, সব্জি রোজ খান।
উপায়–৯ রসুনের অনেক গুণ
রসুন থেঁতো করলে একটি রাসায়নিক ক্রিয়া
শুরুহয়। থেঁতো করলে রসুনের দুই উপাদান অ্যালিন ও অ্যালিনেস মিলে অ্যালিসিন তৈরি
করে। অ্যালিসিনের গন্ধটা আমরা পাই। অ্যালিসিনের প্রভাবেই রসুনের যা কিছু রোগ
আরোগ্যের ড়্গমতা। রসুনের কত উপকারিতা দেখুন-ঠলাড ভেসেল ঠিক রাখে, কোলেস্টেরল, ট্রাইগিস্নসারাইডস, ব্লাডপ্রেসার কমায়।
কোলোন, রেকটাল, ব্রেস্ট ক্যান্সার
কমায়। রেডিয়েশন, রাসায়নিক পদার্থের প্রভাব, কেনা খাবারে দেয়া অ্যাডিটিভ-এর অপকারিতা থেকে রক্ষা করে। লিভার
ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া আটকায়, বিশেষ করে কেমোথেরাপির সময়।
শরীর ভালো রাখার জন্য একটি বা দুটি কোয়া
রসুন খান। আরও বেশি কাজ পেতে চাইলে দু থেকে তিন কোয়া খান। প্রয়োজনে সাত-আট কোয়াও
খেতে পারেন। বেশি মাত্রায় রসুন খেলে কারও কারও অবশ্য গ্যাস, পেটের গন্ডগোল দেখা দিতে পারে।
তাই কতটা সহ্য হচ্ছে সেটা বুঝে নিয়ে সেই মাত্রায় খান।
উপায়–১০ ধুমপান ছেড়ে দিন
ধুমপান ছেড়ে দেয়া শরীরের পক্ষে যে
উপকারী এটা বহু পুরনো তথ্য। ধুমপান ছেড়ে দিলে হার্টের পক্ষে মঙ্গল, হজম শক্তির পক্ষে মঙ্গল,
ঘুমের পক্ষে মঙ্গল। ধুমপান ছেড়ে দিলে হার্টএ্যাটাকের সম্ভাবনা
কমে যায়, ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। এসব তথ্য
আপনার জানা। তবু আপনার জানার জন্য আরও কিছু দেয়া যাক। ধমপান চিরতরে বন্ধ করার
ক্ষেত্রে এসব তথ্য কাজে লাগতে পারে আপনার।
শেষ সিগারেট খাওয়ার কুড়ি মিনিট পর আপনার
ব্লাডপ্রেসার, পালস
রেট স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে, হাত-পায়ের টেম্পারাচার
স্বাভাবিক হতে থাকে। শেষ সিগারেট খাওয়ার আট ঘন্টা পর রক্তে অক্সিজেন মাত্রা
স্বাভাবিক হতে থাকে, বিষাক্ত কার্বন মনোক্সাইড চলে যায়।
শেষ সিগারেট খাওয়ার চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে হার্টএ্যাটাকের সম্ভাবনা কমে আসতে থাকে।
শেষ সিগারেট খাওয়ার আটচলিস্নশ ঘন্টার মধ্যে আপনার গন্ধ ও স্বাদ সংক্রান্ত
স্বাভাবিক ড়্গমতা আগের তুলনায় বাড়তে থাকে, হার্টএ্যাটাকের
সম্ভাবনা পঞ্চাশ ভাগ কমে যায়। শেষ সিগারেট খাওয়ার বাহাত্তর ঘন্টার মধ্যে
শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক হয়ে আসে। শেষ সিগারেট খাওয়ার দু সপ্তাহ থেকে তিন মাসের মধ্যে
আপনার ফুসফুসের কার্যড়্গমতা শতকরা ত্রিশ ভাগ বৃদ্ধি পায়, রক্ত
চলাচলের উন্নতি হয়।
উপায়–১১ সেলেনিয়ামের সাহায্য
কি কাজ করে সেলেনিয়াম! শরীর সব দিক দিয়ে
ভালো রাখতে এর গুরুত্ব অসীম। কিছুদিন আগে পর্যন্ত সেলেনিয়ামের তেমন মর্যাদা ছিল
না। কিন্তু্তু সাম্প্রতিক পরীক্ষা নিরীক্ষায় দেখা গিয়েছে এই ট্রেস মিনারেলটি
অসাধারণ। সেলেনিয়াম শুধু যে আপনাকে সব দিক ভালো রাখে তাই নয়, দীর্ঘ জীবন দানেও এর ভূমিকা
রয়েছে। কেননা আমাদের বয়স বৃদ্ধির যে স্বাভাবিক ক্রিয়া সেই ক্রিয়া বা প্রসেসটিকেই
সেলেনিয়াম ধীরগতি করে দেয়। দষিত পরিবেশ থেকে আমাদের শরীরে যেসব বিষ ঢোকে তার
অনেকগুলো সেলেনিয়াম শরীর থেকে নিষকাশিত করে। আর কি করে? আর্থ্রাইটিস
উপশম করে, দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়, ছানি
প্রতিরোধ করে, রক্তচাপ ঠিক রাখে, পুরুষদের প্রজনন ড়্গমতা বাড়ায়, রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বাড়ায়, ক্যান্সার, হার্টের
অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা কমায়।
তাই সেলেনিয়াম আছে এমন খাবার নিয়মিত
খান। যেমন ঢেঁকি ছাটা চালের ভাত, সামুদ্রিক খাবার, ইস্ট, আলু, গাজর, ভুট্টা,
হুইট জার্ম, প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার
ইত্যাদি। সেই সঙ্গে খাওয়া উচিত প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, কেননা এটি সেলেনিয়াম গ্রহণে সাহায্য করে।
উপায়–১২ আলোর বিকল্প নেই
শরীর ভালো রাখায় আলোরও যে একটা ভূমিকা
রয়েছে এ কথা আমরা কতটা ভেবে দেখি! যারা এমন ঘরে বেশি সময় থাকেন যেখানে সর্যের আলো
ঢোকে না, গায়ে রোদ
লাগে না তারা শরীরের কর্মড়্গমতা অনেকটাই হারিয়ে ফেলেন। অতএব নিয়মিত শরীরে রোদ
লাগান। তবে বেশি রোদ নয়। বেশি সময় রোদ লাগালে ত্বকের ড়্গতি হয়। কিন্তু অল্প সময়
রোদ লাগালে সেটা ত্বক এবং শরীরের দুইয়ের পক্ষেই ভালো।
গবেষণায় দেখা গেছে শরীরে সূর্যালোক না
পড়লে তা থেকে মানসিক অবসাদ আসতে পারে। বিপরীতভাবে সূর্যালোক হরমোন উজ্জীবিত করে
অবসাদ কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। গবেষণায় আরও দেখা গেছে যাদের আর্থ্রাইটিস রয়েছে, যাদের কাজকর্মে উৎসাহ কম,
যাদের যৌন শিথিলতা রয়েছে তাদের পক্ষে সূর্যালোক বিশেষভাবে
উপকারী।
উপায়–১৩ পজিটিভ অ্যাটিটিউড গড়ে তুলুন
আপনার শরীর কি রকম থাকবে তার অনেকটাই
নির্ভর করে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি বা অ্যাটিটিউডের ওপর। আপনি যদি মনে করতে থাকেন যে
আপনি ভালো নেই তা হলে সত্যিই আপনি ভালো নেই। আর যদি মনে করতে থাকেন যে আপনি চমৎকার
আছেন তা হলে বুঝতে হবে আপনার শরীর স্বাস্থ্য বেশ আছে। অন্যভাবে বলতে গেলে আপনার মন
অনেকাংশে ঠিক করে আপনার শরীর কেমন থাকবে সেই ব্যাপারটা। গবেষণায় দেখা গেছে
শুধুমাত্র মনের জোরেই অনেক রোগ অসুখ থেকে বিদ্যি সেরে ওঠা যায়। অতএব পজিটিভ
অ্যাটিটিউড গড়ে তুলুন।
উপায়–১৪ ফলের রস নিয়মিত খান
রোগজ্বালা থেকে বাঁচতে আর দীর্ঘকাল
তরতাজা থাকতে টাটকা শাকসব্জি ও ফলের তুলনা মেলা ভার। ফল ও শাকসব্জির রসে থাকে
প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা দষিত পদার্থ থেকে শরীরকে রড়্গা করে। যেমন ধরুন
গাজরের রস। রোজ দু থেকে চার আউন্স গাজরের রস খেলে যে কেউই উপকৃত হবেন। গাজরের রসে
রয়েছে বিটা ক্যারোটিন যা রোগ প্রতিরোধ করে,
শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে, দৃষ্টিশক্তি
ভালো করে। যদি প্রচুর এনার্জি পেতে চান তাহলে নানা ধরনের টাটকা শাকসব্জি মিশিয়ে
খান। বেশি তন্তু্তুসমৃদ্ধ ফল বা সব্জি হজম করতে অসুবিধা হলে রস করে খান। তবে কাঁচা
খাওয়ার আগে বা রস করার আগে ফল ও শাকসব্জি খুব ভালো করে ধুয়ে নেবেন। রস হিসেবে
খাওয়ার আগে কয়েকটি কথা মনে রাখতে হবে। যেমন ফলের খোসা, বিচি,
রস করবেন না। এগুলোতে প্রাকৃতিক বিষাক্ত পদার্থ থাকে। প্রথমেই
বেশি রস খাওয়া শুরুকরবেন না। এক বা দু আউন্স দিয়ে শুরুকরুন। পরে চার থেকে ছ আউন্স
দিনে দু বার খান।
উপায়–১৫ লাঞ্চ–এর দিকে নজর দিন
শরীর ঠিক রাখতে নজর দিন দুপুরের খাওয়ার
দিকে, সারাদিন ধরেই
ভারী খাবার খাবেন না। রাতে তো নয়ই। ব্রেকফাস্ট হবে মলত কার্বোহাইড্রেট প্রধান।
ফ্যাট কম। দুপুরে মাছ, স্যালাড, ভাত
বা রুটি, শাকসব্জি সবই একটু বেশি পরিমাণে। খাওয়ার শেষে
পাতিলেবু দিয়ে জল। বিকেলের খাবার শুধুমাত্র ফল দিয়ে সারা ভালো। রাতে হাল্কা খাবার।
তেল মমলা যদ্দুর সম্ভব কম।
ঘরের উষ্ণতা অনুযায়ী উষ্ণ জল লেবুর রস
দিয়ে পান করুন। বিশেষ করে লাঞ্চের পর এটা খেলে আপনার এ্যালার্টনেস বাড়ার সম্ভাবনা।
উপায়–১৬ মাথার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি নিন
মাথাব্যথা সারা জীবনের সমস্যা। কত কারণে
মাথাব্যথা হতে পারে দেখুন-বেশি প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খেলে, বেশি দুশ্চিন্তা, দুর্ভাবনা করলে, কৃত্রিম রংযুক্ত প্রোসেসড
খাবার বেশি খেলে, প্রিজারভেটিভ দেয়া খাবার নিয়মিত খেলে,
ব্যায়াম না করলে, পরিবেশ দষণ থেকে,
বেশি ক্যাফিন খেলে, ঠলাডসুগার খুব কম
হলে, হাঁটাচলা বা বসার ভঙ্গি ঠিক না থাকলে, বেশি ঠান্ডা খাবার খেলে, জোরালো আলো বা প্রখর
সর্যালোকে থাকলে, বেশি আওয়াজ শুনতে শুনতে, জন্ম নিরোধক বড়ি নিয়মিত খেলে। এসব ছাড়াও আরও অনেক কারণ থাকতে পারে
মাথাব্যথার।
তাই এসব ব্যাপারে সতর্ক থাকলে
মাথাব্যথার সম্ভাবনা কমিয়ে ফেলা যায়। এছাড়া মাথাব্যথা উপশমের জন্য মাথাব্যথা করার
সময় পজিটিভ চিন্তা করুন। মন প্রফুলস্ন রাখার জন্য কষ্ট হলেও চেষ্টা করুন।
মাথাব্যথার সময় নেগেটিভ চিন্তা একেবারে করবেন না।
উপায়–১৭ ভিটামিন সি বড় হাতিয়ার
ভিটামিন সি টিস্যু, ঠলাড ভেসল, মাড়ি, কার্টিলেজ, হাড়
ইত্যাদির ড়্গয়পূরণ এবং বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ভিটামিন-সির সঙ্গে কোলাজেনের ঘনিষ্ঠ
সম্পর্ক রয়েছে। কোলাজেন আমাদের ত্বক যৌবনদীপ্ত এবং নমনীয় রাখে। ভিটামিন সি শরীরের
রোগ প্রতিরোধ ড়্গমতাও বাড়িয়ে তোলে। দষণ, রেডিয়েশন,
কীটনাশক ইত্যাদির ড়্গতিকর প্রভাব থেকে শরীরকে রক্ষা করে। ভিটামিন
সি ভালো ডায়াবেটিস রোগীর পক্ষে। এছাড়া হার্টের অসুখ, ক্যান্সার
ইত্যাদির সম্ভাবনাও ভিটামিন সি অনেকখানি কাটিয়ে দেয়। মুখের ক্যান্সার, পাকস্থলীর ক্যান্সার, অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার,
সার্ভিক্সের ক্যান্সার, রেকটাম, ব্রেস্টের ক্যান্সার প্রতিরোধে ভিটামিন সির কার্যকরী ভূমিকা রয়েছে।
ভিটামিন ই-র সঙ্গে ভিটামিন সি সাপিস্নমেন্ট হিসেবে নিলে বয়স্কদের ছানি প্রতিরোধে
সাহায্য করে।
দিনে তিনটি থেকে পাঁচটি টাটকা ফল ও
সব্জি খান। সবরকমের লেবু, স্ট্রবেরি, তরমুজ, কাঁচা
মরিচ, ব্রকলি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ জিনিস।
উপায়–১৮ যে চর্বি ভালো
চর্বি মানেই ভয় পাওয়ার কিছু নয়।
বাস্তবিক পক্ষে আমাদের শরীরের একটু চর্বি উপকারই করে। চর্বি বা ফ্যাট ছোট ছোট
টুকরো দিয়ে তৈরি। এদের বলে ফ্যাটি এসিড। এই ফ্যাটি এসিডের মধ্যে কয়েকটি ভীতিকারক, কয়েকটি উপকারী।
উপকারী ফ্যাট কোন কোন জিনিস থেকে পেতে
পারি? জলপাই,
জলপাই তেল (অলিভ অয়েল) বাদাম, মাছ,
বিশেষত ঠান্ডা পানির মাছ, কুমড়া,
তিসির তেল উপকারী চর্বির ভালো উৎস। এই জাতীয় খাবার খেলে-রক্তচাপ
কমে, রোগ প্রতিরোধের ড়্গমতা বৃদ্ধি পায়, ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে, কোলেস্টেরল তৈরি
কম হয়। স্যালাড যখন খাবেন তখন তাতে অলিভ অয়েল দিন, রুটিতে
মাখনের বদলে অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন। মাখন খেলে শোধিত মাখন খান। পারলে নিয়মিত আমন্ড
খান। ফ্যাট সারাদিনে খাওয়া উচিত মহিলাদের কুড়ি থেকে চলিস্নশ গ্রাম আর পুরুষদের
ক্ষেত্রে ত্রিশ থেকে পঞ্চাশ গ্রাম।
উপায়–১৯ বজ্রপাতে উপকার
বজ্রপাতের পর বা সমুদ্রতীরে, জলপ্রোপাতের পাশে দাঁড়িয়ে যদি
বোধ করেন যে বেশ চনমনে লাগছে তা হলে বুঝতে হবে আপনি বাতাসের বিদ্যুতায়িত কণা
অর্থাৎ (ওঙঘ) দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন। এটা দু রকমের-পজিটিভ, নেগেটিভ। নেগেটিভ আয়ন-ই আমাদের মন শান্ত, প্রফুল্ল
রাখে। নেগেটিভ আয়ন-এর উপকারিতা পাওয়ার উপায় কি? দেখা গেছে
গতিশীল পানি নেগেটিভ আয়ন তৈরি করে। আবার বদ্ধ জায়গা, ঘর,
শীতাতপ-নিয়ন্ত্রিত স্থান ড়্গতিকারক পজিটিভ আয়ন সৃষ্টির সহায়ক।
তাই কয়েকটা জিনিস করতে পারলে ভালো। ঘরদোর বন্ধ রাখবেন না, যথেষ্ট আলো-হাওয়া খেলতে দিন। সুযোগ থাকলে সমুদ্রতীরে, ঝর্ণার কাছে চলে যান। শাওয়ারে স্নান করুন।
উপায়–২০ চটপট এনার্জি চান
চটপট এনার্জি চান? কার্বোহাইড্রেট খান। আমাদের দৈনন্দিন
কার্বোহাইড্রেট প্রয়োজন মোট খাবারের শতকরা ষাট থেকে আশি ভাগ। আপনি যদি যথেষ্ট
পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট না খেয়ে প্রোটিন বেশি খান তা হলে সেই প্রোটিন দেহগঠনে না
লেগে শরীরে এনার্জি তৈরি করায় ব্যয় হবে। তাই কার্বোহাইড্রেটের ঘাটতি হওয়া ড়্গতিকর।
কার্বোহাইড্রেট খাবেন কিভাবে? খেয়াল রাখতে হবে যাতে প্রসেসড
খাবার, মিহি আটা বা চাল, ময়দা,
সাদা রুটি যেন আপনার কার্বোহাইড্রেটের উৎস না হয়। এরকম খাবার
বেশি খেলে আপনার শরীর প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ পদার্থ
ঠিকমত পাবে না। উলটে হজমের গোলমাল, কোষ্ঠবদ্ধতা, মেদবৃদ্ধি এবং রোত্রবিশেষে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা।
অতএব কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট খান।
কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট পাবেন এইসব খাবারে-ভুসিযুক্ত আটা, ঢেঁকিছাটা চাল, মিষ্টি আলু, আলু, ভুট্টা,
মটরশুটি, শিম ইত্যাদি।
উপায়–২১ স্ট্রেচিং করুন
জানেন কি পেশি টানটান করলে অর্থাৎ নিয়মিত
স্ট্রেচ করে গেলে আপনার মেরুদন্ড এবং হাড়ের জয়েন্টগুলোর সচলতা বজায় থাকে দীর্ঘকাল? শরীরে রক্ত চলাচল বাড়ে, শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন ভালোভাবে পৌঁছায়। ফলে শরীর বেশি কর্মড়্গম
থাকে, কাজকর্মে উৎসাহ আসে। মাঝ বয়সের পর কোমরের ব্যথা
হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। স্ট্রেচিং-এর কত উপকারিতা এক এক করে দেখুন-
স্ট্রেচিং মেরুদন্ড নমনীয় রাখে। শরীরের
জয়েন্ট শক্ত হয়ে যাওয়া আটকায়। শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করে। দেহ মনে এনার্জি বাড়ায়। হাড়
শক্ত রাখতে সাহায্য করে। কোষ্ঠবদ্ধতার সমস্যাও কিছু পরিমাণে লাঘব করে।
উপায়–২২ শরীর কেন খারাপ
কোনো কারণ ছাড়াই ক্লান্ত লাগছে, বিরক্তি লাগছে, মনঃসংযোগ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, মাথা ধরছে, পেটের গন্ডগোল হচ্ছে? আসলে কারণ একটা আছে আপনি
বুঝতে পারছেন না। অনেক সময়েই সমস্যার কারণ লুকিয়ে থাকে আমাদের ঘরের মধ্যেই। হয়তো
প্রসেসড খাবার খেয়েছি, অপরিষকার পানি খেয়েছি বা হয়তো ঘরের
হাওয়া রাসায়নিক টক্সিনে ভর্তি। এরকম ক্ষেত্রে কয়েকটি ব্যাপারে খেয়াল রাখা উচিত।
যেমন ঘরের বদ্ধভাব কাটাতে রাসায়নিক রুম ফ্রেশনার ব্যবহার না করে স্বাভাবিক আলো
হাওয়া খেলতে দিন। দৈনন্দিন ড়্গেত্রে যতটা সম্ভব কম রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করুন।
পরিবর্তে প্রাকৃতিক দ্রব্য ব্যবহার করুন। মনে রাখবেন ঘরদোর পরিষকার রাখার জন্য
যতরকম জিনিস বাজারে পাওয়া যায় তার বেশিরভাগই কেমিক্যাল। পানি সম্পর্ণ জীবাণুমুক্ত
করে খান। ঘরে ইনডোর প্লান্ট রাখুন। সিনথেটিক পোশাক বা অন্য কোনো সিনথেটিক
মেটিরিয়াল কম ব্যবহার করুন।
উপায়–২৩ মিষ্টি খাওয়া কমান
ভালোভাবে বাঁচতে চান তো মিষ্টি খাওয়া
কমান। মিষ্টি হজমশক্তির ব্যাঘাত ঘটায়,
মনের অবস্থার তারতম্য ঘটায়, শরীরে অনেক
খনিজ পদার্থের কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয়। মিষ্টি খাবার মাঝে মধ্যে খান আনন্দের
জন্য, কিন্তু রোজ নয়। মিষ্টি খাবার খেতে হলে তার সঙ্গে
অন্যান্য পুষ্টিকর খাবারও খান, তাতে ক্ষতি কম হবে। মিষ্টি
খাবার খেতে ইচ্ছা করলে চেষ্টা করুন মিষ্টি ফল খেতে। যারা মিষ্টি খাবার বেশি খান
তারা মনে রাখবেন যে বেশি মিষ্টির সঙ্গে যোগ রয়েছে এইসব অসুখের-ডায়াবেটিস, কোষ্ঠবদ্ধতা, আর্থ্রাইটিস, গলস্টোন, ক্যান্সার, হার্টের
অসুখ, অস্থিরোগ ইত্যাদি।
উপায়–২৪ পরিশ্রম করুন
সবচেয়ে ভালো হয় যদি পরিশ্রমের এমন একটা
প্রোগ্রাম তৈরি করতে পারেন যাতে কিছুটা স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ, কিছুটা ওয়েট নিয়ে এক্সারসাইজ আর
কিছুটা এয়ারোবিক এক্সারসাইজ থাকবে। যদি নিয়ম করে এটি করে যেতে পারেন তো কত উপকার
পাবেন দেখুন। আপনার হার্ট আরও ভালো কাজ করবে, সার্কুলেশন
ভালো চলবে, ফুসফুসের ড়্গমতা বাড়বে, চর্বি হবে না, হাই ঠলাডপ্রেসার কমবে, কোলেস্টেরল কমবে, মানসিক চাপ কাবু করবে না,
যৌক্ষমতা বাড়বে, অবসাদ কাটবে।
যাদের পক্ষেএই তিন রকম ব্যায়াম করা
সম্ভব নয়, তারা
অন্ততপক্ষেদৈনন্দিন কাজকর্মে শারীরিক পরিশ্রম করুন।
উপায়–২৫ মাথা খাটান
ধুমপান, দষণ, প্রসেসড খাবার
মস্তিষেকর কোষ নষ্ট করে। এয়ারোবিক ব্যায়াম না করা, মানসিক
চাপ, অবসাদ, মানসিক পরিশ্রমের
অভাব, সামাজিকতা না করা ইত্যাদি আমাদের চিন্তা ভাবনা করার
ড়্গমতা কমিয়ে দেয়। আমাদের মস্তিষ্কে যথেষ্ট পরিমাণে রক্ত চলাচল হওয়া প্রয়োজন।
এয়ারোবিক ব্যায়ামের মাধ্যমে এই কাজটি ভাল হয়। যদি আমাদের কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম
সুস্থ থাকে তাহলে অক্সিজেন, ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, গস্নুকোজ নিয়ে প্রচুর পরিমাণে
রক্ত আমাদের মস্তিষ্কে যেতে পারে। কাজকর্মের মাধ্যমে মস্তিষ্কের কোষে প্রচুর রক্ত
পাঠিয়ে এবং সেই সঙ্গে পুষ্টিকর খাবার খেয়ে মস্তিষক কর্মক্ষম রাখা যায় দীর্ঘদিন।
পরীক্ষায় দেখা গেছে এয়ারোবিকস ব্যায়াম এবং টেনিস ফুটবলের মতো কিছু খেলায় যে ধরনের
দড়্গতা এবং চিন্তা করার ক্ষমতার প্রয়োজন তা আমাদের বার্ধক্যরোধে কাজ করে।
উপায়–২৬ ভিটামিন–ই
ভিটামিন ই-র উপকারিতার কথা বলে শেষ
হওয়ার নয়। সংক্রমণ, ফুসফুসের
ড়্গতি, চোখে ছানি, উচ্চ রক্তচাপ,
বেশি কোলেস্টেরল, পেশির ড়্গয়, অ্যানজাইনা, স্মৃতিশক্তি হ্রাস ইত্যাদি অনেক
কিছুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভিটামিন-ই বড় অস্ত্র। শাক, হুইট
জার্ম, বাদাম, বিন এই ভিটামিন
সমৃদ্ধ। ভালো হয় যদি আপনি ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেতে পারেন। মাছ বা মাছের তেল বেশি
খেলে ভিটামিন ই বেশি পরিমাণে খাওয়া দরকার। আয়রন ক্যাপসুল বা টনিক খেলে তার আট
ঘন্টা পর ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাবেন।
উপায়–২৭ নিরামিষ খান
যদি দীর্ঘকাল সুস্থ থাকতে চান তাহলে
নিরামিষ খাবারে নিজেকে অভ্যস্ত করার উদ্যোগ নিন। যদি পুরোপুরি নিরামিষাশী না হতে
পারেন তাহলেও যতটা সম্ভব মাছ মাংস ডিম খাওয়া কমিয়ে দিন। বা দুপুরের খাবারটা আমিষ
খান, অন্য সময়ে
নিরামিষ। তবে দেখতে হবে মাছ মাংস ছাড়লে বা কমিয়ে দিলে প্রোটিনের ঘাটতি যাতে
নিরামিষ খাবার থেকে পূরণ হয়।
উপায়–২৮ প্রোটিনে হিসেবি হোন
স্বাস্থ্যের জন্য প্রোটিন খাওয়া দরকার
তা আমরা জানি। জানি যে শরীরের হাড়, চুল, দাঁত, নখ,
ত্বক, পেশি সবকিছুই ভালো রাখে প্রোটিন।
এও জানি যে শরীরে রোজকার যে ড়্গয়ড়্গতি সেটাও পূরণ করে মলত প্রোটিন। কিন্তু্তু কতটা
প্রোটিন খাওয়া দরকার! মনে রাখবেন বেশি প্রোটিন ড়্গতিকারক। বাড়ন্ত বাচ্চাদের
প্রোটিনের প্রয়োজন বেশি, বড়দের ততটা নয়। তাই মাছ, মাংস, ডিম সবই খান কিন্তু্তু অল্প করে। রেড
মিট যতদর সম্ভব কম খান। মাংসের চর্বি বাদ। ডিম খেলে সাদা অংশটা খান, কুসুম খেলে মাঝে মধ্যে। চিকেন খান, মাংসের
পরিমাণ কমিয়ে সেখানে মাছ খান। আর চেষ্টা করুন নিরামিষ প্রোটিন খেতে। দিনে যতটা
প্রোটিন খাচ্ছেন সেটা একবারে না খেয়ে দিন-রাতের প্রধান খাবারের মধ্যে ভাগ করে দিন।
উপায়–২৯ মানসিক চাপ
যদি মানসিক চাপে থাকেন তাহলে দিনে আধ
ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা করে করে সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন এয়ারোবিক এক্সারসাইজ করুন।
মানসিক চাপ যদি বেশি থাকে তাহলে দিনে কুড়ি মিনিট করে সপ্তাহে ছ‘ সাত দিন ব্যায়াম
করুন।
উপায়–৩০ ড্রিঙ্কস
যারা ড্রিঙ্ক করেন না তাদের কথা আলাদা।
কিন্তু্তু যারা খান তাদের গুটিকয় তথ্য স্মরণে রাখা উচিত। কেননা এই পানীয়টির ভালো, খারাপ দু দিকই রয়েছে। এখানে একটি
সংড়্গিপ্ত তালিকা দেয়া হল, সিদ্ধান্ত মদ্যপায়ীদের।
যারা দিনে একটা বা বড়জোর দুটো ড্রিঙ্ক
নেন তাদের হার্টের অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা যারা ড্রিঙ্ক করেন না তাদের থেকে ২১% কম।
স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা ২২% কম।
করোনারি আর্টারি ডিজিজ হওয়ার সম্ভাবনা
কম। মানসিক চাপ খানিকটা লাঘব হয়।
অন্যদিকে বেশি মাত্রায় ড্রিঙ্ক করলে
হার্টের অসুখ, স্ট্রোক,
ক্যান্সার সব কিছুই হতে পারে। নিয়মিত বেশি পরিমাণে ড্রিঙ্ক করে
গেলে অনেক পুষ্টিকর জিনিস শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। ফলে শরীর স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়ে,
চেহারা ঔজ্জ্বল্য হারায়।
উপায়–৩১ ম্যাগনেসিয়াম
দৈনন্দিন খাবারে ম্যাগনেসিয়াম যাতে থাকে
সেদিকে নজর দিন। ম্যাগনেসিয়াম ভালো হার্টের পড়্গে, রক্তচাপ ঠিক রাখার পড়্গে, ঠলাড
সুগার লেভেল ঠিক রাখতে। রাতে যাদের ঘুম হয় না শুতে যাওয়ার ঘন্টা খানেক আগে
ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম সাপিস্নমেন্ট খেলে তারা উপকার
পাবেন। ম্যাগনেসিয়াম পেতে গেলে আ-ছাটা চাল, গম, ঘন সবুজ শাক, পাতিলেবু, সয়াবিন, ওটমিল, ডুমুর,
আমন্ড, বাদাম ইত্যাদি জিনিস খেতে হবে।
উপায়–৩২ রান্নায় মন দিন
স্বাস্থ্যসমমত পদ্ধতিতে রান্নাবান্না না
করা হলে খাদ্য তার খাদ্যগুণ অনেকটাই হারায়। তাই রান্নার বিষয়ে মনোযোগী হোন কয়েকটি
কথা মনে রাখুন-
টাটকা বা ফ্রোজেন শাকসব্জি খুব আঁচে
করবেন না। স্টিম করুন বা কম আঁচে রাধুন। তরকারি নরম হয়ে এলেই নামিয়ে নিন, বেশি ফোটাবেন না।
·
ব্যাতিকারক ব্যাকটেরিয়ার
হাত থেকে রড়্গা করতে ডিম, মাংস, চিকেন, ভাত ইত্যাদি ফ্রিজে বেশ ঠান্ডা অবস্থায় রাখুন।
·
রান্নায় নুনের
পরিমাণ কিছুটা কমিয়ে দিন।
·
ডিপ ফ্রাই করা
বন্ধ করুন।
·
রান্নাঘর এবং
বাসনকোসন পরিষকার পরিচ্ছন্ন রাখুন সব সময়।
উপায়–৩৩ রাগ ভালো নয়
আমরা সবাই কোনো না কোনো সময় রেগে যাই বা
ভয় পাই। কিন্তু্তু রাগ বা ভয় যদি তীব্র হয় এবং ঘন ঘন হয় তাহলে সেটা চিন্তার ব্যাপার।
কেননা এরকম অবস্থায় রক্তচাপ বিপজ্জনকভাবে বেড়ে যেতে পারে, স্ট্রোকও হতে পারে। তাই মন এমন
অবস্থায় রাখুন যাতে রাগ বা ভীতি কোনোটাই বাড়াবাড়ি পর্যায়ে না চলে যায়। এর জন্য
প্রয়োজন রিলাক্সেশনের। এখানে তার কয়েকটি সহজ পদ্ধতি জেনে রাখুন।
·
দিনে পনেরো
মিনিট করে দু বার ধ্যান করুন।
·
যখন করবেন তখন
ধীরে ধীরে শরীরের প্রতিটি পেশি শিথিল করে দিন।
·
চোখ বন্ধ
রাখুন।
·
নাক দিয়ে
নিশ্বাস নিন, মুখ দিয়ে ছাড়ূন।
·
ধ্যান শেষ হলে
হঠাৎ করে উঠে পড়বেন না।
উপায়–৩৪ ওজন নিয়ে ব্যায়াম
যদি শরীরের মেটাবলিজম ঠিক রাখতে চান, হার্ট, ফুসফুস ভালো রাখাতে চান, হাড় শক্ত রাখতে চান,
মাথা পরিষকার রাখতে চান তো ওয়েট নিয়ে ব্যায়াম করুন। খুব ভারী ওজন
অবশ্য নয়, হাল্কা ওজন নিয়ে করলেই হবে। ব্যায়াম শুরুকরার
আগে ডাক্তারের কাছে চেক-আপ করিয়ে দেখে নেবেন ওজন নিয়ে ব্যায়াম করার পক্ষেআপনি
উপযুক্ত কি না। আর হ্যাঁ, ওজন নিয়ে ব্যায়াম করতে পারেন
মহিলারাও।
উপায়–৩৫ ক্যান্সার আটকান
ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কমাতে চান তো
ব্রকলি খান। দেখা গেছে ফুলকপি, সরষে, বাঁধাকপি, টার্নিপ
কোলন, পাকস্থলী, ব্রেস্ট এবং আরও
কয়েক ধরনের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেকখানি কমিয় দেয়।
উপায়–৩৬ হাঁটুন
হাঁটা হচ্ছে সব চেয়ে স্বাভাবিক ব্যায়াম।
নিয়মিত হাঁটলে উচ্চ রক্তচাপ কমে, হার্টএ্যাটাকের সম্ভাবনা কমে, চর্বি কমে,
মেটাবলিজমের উন্নতি হয়, হাড়ও বেশি শক্ত
হয়, শরীরে এনার্জি ও স্ট্যামিনা বাড়ে।
হাঁটার আগে, শেষে এবং পারলে মাঝখানে প্রচুর
পানি খাবেন। ভারী খাবার খেয়ে হাঁটবেন না, হাঁটা শুরুকরার
আগে শরীর ভালোমত স্ট্রেচ করে নিন।
উপায়–৩৭ রক্তচাপ কমান
উচ্চ রক্তচাপ কমাতে চান? চাইলে কয়েকটি জিনিস করতে হবে।
·
নুন খাওয়া বন্ধ
করুন। না পারলে নামমাত্র খান।
·
কফি বন্ধ
করুন। না পারলে নামমাত্র খান।
·
তর্ক করলে
চিৎকার করবেন না।
·
দিনে কুড়ি
মিনিট ধ্যান করুন।
·
পটাসিয়াম
সমৃদ্ধ খাবার খান যেমন-টক ফল, টমেটো, আলু, কলা।
·
মানসিক চাপ
কমানোর চেষ্টা করুন।
·
ওজনের দিকে
নজর দিন।
·
রসুন, অলিভ অয়েল, সামুদ্রিক মাছ, কাঁচা মরিচ, ব্রকলি নিয়মিত
খান।
·
ধমপান ছাড়ূন।
ড্রিঙ্ক করলে একেবারে কমিয়ে দিন।
উপায়–৩৮ ক্রোমিয়াম
যদি মনের অবস্থার ঘন ঘন তারতম্য হয়, সহজেই মাথা ধরে, ব্যায়াম করেও ভালো ফল না পান তা হলে আপনার শরীরে ক্রোমিয়ামের অভাব হতে
পারে। ক্রোমিয়াম ঠলাড সুগার ঠিক রাখে, বাচ্চাদের বৃদ্ধিতে
সাহায্য করে, ধমনী ও ঠলাড ভেসেলে ‘পস্নাক’ গড়ে ওঠা আটাকায়,
ড়্গত তাড়াতাড়ি সেরে তোলে, মাড়ি ভালো
রাখে।
অতএব ক্রোমিয়ামসমৃদ্ধ খাবার খান রোজ। কি
খাবেন? খান
সামুদ্রিক খাবার, মাশরুম, পালং
শাক, আঙ্গুর, কিসমিস, আপেল, ব্রকলি, যকৃৎ,
ডিম, গুড়, চিজ,
ব্রয়ারস ইস্ট। মনে রাখবেন আইসক্রিম, সফট
ড্রিঙ্কস, মিষ্টি শরীরে ক্রোমিয়াম কমিয়ে দেয়।
উপায়–৩৯ অ্যাসিডোফিলাস
অ্যাসিডোফিলাস হল এক ধরনের উপকারী
ব্যাকটেরিয়া যা সুস্থ বৃহদন্তে থাকে। খাদ্যের পুষ্টিকর উপাদান ভেঙ্গে ফেলতে এবং তা
শরীরে সংশেস্নষণে সাহায্য করে এই ব্যাকটেরিয়া। এই ব্যাকটেরিয়া ভারসাম্যের অভাব হলে
শরীরে যে স্বাভাবিক ইস্ট থাকে তার প্রচন্ড বৃদ্ধি হয় এবং শরীরে সংক্রমণের সম্ভাবনা
অসম্ভব বেড়ে যায়। অ্যাসিডোফিলাস মিশ্রিত দুধ বা দই খান, শরীর ঠিক থাকবে। পরীড়্গায় দেখা
গেছে অ্যাসিডোফিলাসযুক্ত দই খেলে মহিলাদের ইস্ট সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেকখানি কমে
যায়।
উপায়–৪০ বাজার করুন ভেবেচিন্তে
শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার একটা বড় উপায়
হল বাজার করার সময় সাবধানী এবং মনোযোগী হওয়া। এখানে কয়েকটি টিপস দেয়া হলো- চাল, আটা কেনার সময় আ-ছাটা চাল,
ভুসিযুক্ত আটা কিনবেন। মিহি চাল, সাদা
মিহি আটা কিনবেন না।
মাংস কেনার সময় পাঠার মাংস, মাটন, পোর্ক
না কেনা উচিত। মাঝে মধ্যে কিনলে চর্বি বাদ দিয়ে কিনবেন। মাংস কমিয়ে মাছ খাওয়া ভালো
তেলযুক্ত মাছ উপকারী।
শাকসব্জি কেনার সময় দেখে নেবেন সে সব
টাটকা কি না। হলুদ, ঘন
সবুজ শাকসব্জি কেনার দিকে নজর দিন। সবশেষে প্রসেসড, প্রিজারভেটিভ
দেয়া কৌটার খাবার কেনা এড়িয়ে চলুন। জ্যাম, জেলি, সস, কেচাপ শরীরের পক্ষেউপকারী নয়।
উপায়–৪১ চর্বি খাওয়া কমান
শরীর ঝরঝরে রাখতে হলে চর্বি খাওয়া কমান।
কয়েকটি টিপস দেয়া হল-
ডিম খেলে কুসুম বাদ দিয়ে সাদা অংশটুকু
খান। মাখান তোলা দুধ খান। মাখন, মার্জারিন, মেয়ানিজ খাওয়া ছাড়ূন। রান্নায় কম
তেল ব্যবহার করুন। যেসব খাবার কাঁচা বা সেদ্ধ খাওয়া যায়, সেগুলো
সেভাবেই খান। ক্রিম দেয়া খাবার এড়িয়ে চলুন। কেক, পেস্টি
মাঝে মধ্যে খেতে পারেন।
উপায়–৪২ যৌবন ধরে রাখুন
ভিটামিন এ, সি এবং ই ত্বকের যৌবন ধরে রাখতে
খুব কাজে আসে, এ সবের সঙ্গে যোগ করুন বিটা ক্যারোটিন,
বিশেষ করে নগরজীবনে দষণের হাত থেকে ত্বক রড়্গা করতে হলে বিটা
ক্যারোটিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি খাওয়া উচিত। দিনে মাঝে মধ্যেই পরিষকার পানিতে মুখ
ধোওয়া উচিত। নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত, প্রখর সর্যালোক
এড়িয়ে চলা উচিত। প্রয়োজনে সানস্তিক্রন লোশন ব্যবহার করলে ভালো। দিনে যথেষ্ট
পরিমাণে পানি খাবেন। পেট পরিষকার রাখুন, হজম যাতে ভালো হয়
সেদিকে নজর দিন।
উপায়–৪৩ রিলাক্স করুন
আপনি মানসিক চাপের শিকার হলে আপনার
শরীরও রোগের শিকার হয়ে পড়বে। তাই মানসিক চাপ কাটান। দেখুন কিভাবে তা করতে পারেন-
শ্রুতিমুখর সঙ্গীত শুনুন যখন অবসর
পাবেন। হাল্কা লাফ-ঝাঁপ করুন, মিনিট পাঁচেকের মতো ঠান্ডা কোনো পানীয় স্ট্র দিয়ে ধীরে ধীরে খান,
যতড়্গণ ধরে সম্ভব। চোখ বন্ধ করে কোনো একটি সংখ্যা ভাবুন। ভেবেই
চলুন, দেখবেন এক সময় মন ফাঁকা হয়ে গেছে শুধু ওই সংখ্যাটি
ছাড়া।
শরীরের সমস্ত পেশি একবার শক্ত করে
পরমুহর্তেই শিথিল করে দিন। বার কয়েক করুন। এক একবারে একএক জায়গার পেশি এরকম করুন, যেমন পা, হাত, কাঁধ ইত্যাদি।
উপায়–৪৪ রেস্তোরাঁয় সাবধান
রেস্তোরাঁয় খাবার যেহেতু ‘রিচ’ তাই
সেখানেও খাবার নির্বাচনে একটু সতর্ক হওয়া দরকার যেমন-
বেক করা, গ্রিল করা, পোচ করা খাবার
ফ্যাটে রান্না করা খাবারের থেকে ভালো। যেসব খাবারে মাখন, মার্জারিন,
মেয়নিজ, ডিমের কুসুম আছে সে সব খাবার
যতটা সম্ভব পরিহার করুন। সব রকমের ভাজা খাবার বাদ দিন। রেড মিট, ক্রিম সস খাবেন না। ভাজা নুডল নেবেন না।
তিন চার রকমের খাবার অর্ডার দিলে
কার্বোহাইড্রেটসমৃদ্ধ খাবারের ওপর জোর দিন।
উপায়–৪৫ পানি পান
শুধুমাত্র পরিশ্রুত পানি পান করেই আমরা
অনেক অসুখ বিসুখ ঠেকিয়ে রাখতে পারি, সুস্থ সবল জীবন যাপন করতে পারি। পরিষকার পানির ব্যাপারে গুটিকয় সতর্কতা
দরকার-নির্ভরযোগ্য ওয়াটার ফিল্টার ব্যবহার করুন। কার্যকর ফিল্টার না থাকলে পানি
মিনিট দশেক ভালো করে ফুটিয়ে নিন। যে পাত্রে ফোটাবেন সেই পাত্রেই পানি রাখবেন।
খেয়াল রাখতে হবে খাওয়ার সময় পানিতে যেন হাতের ছোঁয়া না লাগে।
উপায়–৪৬ খাবার এবং মুড
আপনি কি খাচ্ছেন তার ওপর আপনার মুড কেমন
থাকবে সেটা অনেকটাই নির্ভর করে। হাল্কা খাবার, ভারী খাবার, মিষ্টি খাবার,
‘রিচ’ খাবার-এক রকম খাবারের এক রকম প্রভাব আপনার মন ও শরীরের
ওপর। সপ্তাহে সাতদিন সারাদিনে কি কি খাচ্ছেন তার একটা তালিকা করে নিজেই দেখতে
পারেন কোন দিন এবং কখন আপনি বেশ তরতাজা থাকছেন। সেই অনুযায়ী খাদ্যাভ্যাস করুন।
উপায়–৪৭ জিঙ্ক
জিঙ্ক ত্বক ও চুল সুস্থ রাখে। হাড় শক্ত
করে। শ্বাস-প্রশ্বাস ও হজমে সাহায্য করে। শরীরে প্রোটিন তৈরি করতে, প্রজননতন্ত্রের বিকাশ ঘটাতে
জিঙ্কের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
যেসব মহিলা পিএমএস-এর সমস্যায় ভোগেন
তারা খাদ্য তালিকায় জিঙ্কের মাত্রা বাড়ালে উপকার পাবেন। আয়রন এবং জিঙ্ক সমৃদ্ধ
খাবার খেলে তা স্মৃতিশক্তি বাড়াবে। ক্যাটার্যাক্ট রোধেও জিঙ্ক সাহায্য করে। যারা
প্রস্টেস্টের সমস্যায় ভুগছেন জিঙ্ক মারফত উপকার পাবেন তারাও। জিঙ্ক পাবেন মাংস, ডিম, যকৃত,
বাদাম, সব্জির বিচি (কুমড়ার) গুড়
ইত্যাদি জিনিসে।
উপায়–৪৮ হিসেব রাখুন
একটি খাতায় নিজের ওজন, হাইট লিখুন। সারাদিনে কতটা
পরিশ্রম করেন বা কতটা করা দরকার সেটা লিখুন। একজন নিউট্রিশনিস্ট-এর সঙ্গে পরামর্শ
করে দেখে নিন কত ক্যালোরি খাবার আপনার রোজ দরকার। এবার সারাদিনের মোট খাদ্যগ্রহণের
পরিমাণ আন্দাজ করে নিন। সেটিকে দিনে চার বা পাঁচবারে (অর্থাৎ যে কবার খাচ্ছেন) ভাগ
করুন। এভাবে সাতদিনের হিসেব রেখে দেখুন খাওয়া-দাওয়া এবং পরিশ্রম/ব্যায়াম ঠিক হচ্ছে
কিনা। ঠিক না হলে পরিবর্তন করুন।
উপায়–৪৯ মাসাজে উপকার
শরীর চাঙ্গা করতে মাসাজের জুড়ি কম নয়।
মাসাজ মলত দু’রকম-শরীরকে রিলাক্সেশন দেয়ার আর শরীরে এনার্জি আনার। মাসাজ দরকার কখন? যখন শরীর বেশ ক্লান্ত লাগছে
কাজে-কর্মে স্ফুর্তি পাচ্ছেন না, এনার্জি তলানির দিকে তখন
মাসাজ করলে শরীর চাঙ্গা হয়। আর যখন টেনশনে ভোগেন, ঘাড়-পিঠ-মাথা
ধরে যায় তখন মাসাজ করলে শরীর আগের ভালো অবস্থায় ফিরে যায়।
উপায়–৫০ প্রয়োজন ভারসাম্যের
শরীর ভালো রাখার চেষ্টা করার অর্থ
কৃচ্ছ্রসাধন করা নয়, জীবনের সব শখ, আহ্লাদ বিসর্জন দেয়া নয়। যা
দরকার তা হল জীবনযাত্রার একটা ভারসাম্য আনা। যা খেতে ভালোবাসেন তা অবশ্যই খাবেন,
যদি না সেটা শরীরের পক্ষেবিষবৎ হয়।
রোজ ব্যায়াম করতে ভালো না লাগলে এক
দু’দিন বাদ দিতেই পারেন। একদিন পার্টিতে বা ভোজে একটু বাড়াবাড়ি হয়ে যেতেই পারে
অর্থাৎ সংযমের বাঁধ মাঝে মধ্যে ভাঙলে তেমন ড়্গতি কিছু নেই। বরং সংযম এবং নিয়ম
জীবনে দরকার।
🎭 ফেইসবুক
গ্রুপ থেকে শিক্ষণীয় ও প্রয়োজনীয় সকল বাংলা সরাসরি 📥ডাউনলোড
👆
করতে!
সকল প্রকার শিক্ষণীয় ই-বুক বা পিডিএফ বই এখানে আপলোড করা
হয়েছে ... জাস্ট ক্লিক এন্ড ডাউনলোড ...
প্রয়োজনীয় সব বাংলা 🕮
ই-বুক বা বই, 💻 সফটওয়্যার ও 🎬
টিটোরিয়াল কালেকশ সংগ্রহ করতে!
🎯 আপনারা সামান্য একটু সময় ব্যয় করে,শুধু এক বার নিচের লিংকে ক্লিক করে এই কালেকশ গুলোর মধ্যে অবস্থিত বই ও সফটওয়্যার এর নাম সমূহের উপর চোখ বুলিয়ে 👓 👀 নিন।”তাহলেই বুঝে যবেন কেন এই ফাইল গুলো আপনার কালেকশনে রাখা দরকার! আপনার আজকের এই ব্যয়কৃত সামান্য সময় ভবিষ্যতে আপনার অনেক কষ্ট লাঘব করবে ও আপনার অনেকে সময় বাঁচিয়ে দিবে।বিশ্বাস করুন আর নাই করুনঃ-“বিভিন্ন ক্যাটাগরির এই কালেকশ গুলোর মধ্যে দেওয়া বাংলা ও ইংলিশ বই, সফটওয়্যার ও টিউটোরিয়াল এর কালেকশন দেখে আপনি হতবাক হয়ে যাবেন !”আপনি যদি বর্তমানে কম্পিউটার ব্যবহার করেন ও ভবিষ্যতেও কম্পিউটার সাথে যুক্ত থাকবেন তাহলে এই ডিভিডি গুলো আপনার অবশ্যই আপনার কালেকশনে রাখা দরকার !মোট কথা আপনাদের কম্পিউটারের বিভিন্ন সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান ও কম্পিউটারের জন্য প্রয়োজনীয় সব বই, সফটওয়্যার ও টিউটোরিয়াল এর সার্বিক সাপোর্ট দিতে আমার খুব কার্যকর একটা উদ্যোগ হচ্ছে এই ডিভিডি প্যাকেজ গুলো।আশা করি এই কালেকশন গুলো শিক্ষার্থীদের সকল জ্ঞানের চাহিদা পূরন করবে…!আমার আসল উদ্দেশ্য হল, কম্পিউটার ও মোবাইল এইডেড লার্নিং ডিভিডি কার্যক্রম এর মাধ্যমে সফটওয়্যার, টিটোরিয়াল ও এইচডি কালার পিকচার নির্ভর ই-বু বা বইয়ের সহযোগিতায় শিক্ষাগ্রহন প্রক্রিয়াকে খুব সহজ ও আনন্দদায়ক করা। এবং সকল স্টুডেন্ট ও টিচারকে কম্পিউটার ও মোবাইল প্রযুক্তির সম্পৃক্তকরণ এবং সকল শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের প্রযুক্তিবান্ধব করা এবং একটা বিষয় ক্লিয়ার করে বুঝিয়ে দেওয়া যে প্রযুক্তি শিক্ষাকে আনন্দদায়ক করে এবং জ্ঞান অর্জনের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি করে…📲 মোবাইল থেকে বিস্তারিত দেখতে🎯 সুন্দর ভাবে বুঝার জন্য নিচের লিঙ্ক থেকে ই-বুক্টি ডাউনলোড করে নিন...
যাদের বইয়ের টিউন গুলো ভালো লাগে ... কিন্তু প্রত্যেক টিউন
নিয়মিত আপনার ফেসবুক ওয়ালে দেখতে পাচ্ছেন না ...তারা কষ্ট করে আমাকে ফলো করে রাখুন
👨 Tanbir
Ahmad
...অথবা পেইজ নোটিফিকেশন চালু করে রাখুন... প্রয়োজনীয়_বাংলা_বই _Useful -Bangla-
e-books
ফেইসুক এপসেঃ পেইজের হোমে গিয়ে উপরের অপশন বারের More অর্থাৎ •••
এই আইকনে ক্লিক করুন Notification ক্লিক
করে Status Updates ও
অন্য সব সিলেক্ট করে দিন ...
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
প্রয়োজনীয় সব বাংলা 🕮ই-বুক
প্রয়োজনীয় সব বাংলা 🕮ই-বুক বা বই, 💻সফটওয়্যার ও 🎬টিটোরিয়াল কালেকশ সংগ্রহ করতে!
আপনারা সামান্য একটু সময় ব্যয় করে ,শুধু এক বার নিচের লিংকে ক্লিক করে এই কালেকশ গুলোর মধ্যে অবস্থিত বই ও সফটওয়্যার এর নাম সমূহের উপর চোখ বুলিয়ে 👓👀 নিন।”তাহলেই বুঝে যবেন কেন এই ফাইল গুলো আপনার কালেকশনে রাখা দরকার! আপনার আজকের এই ব্যয়কৃত সামান্য সময় ভবিষ্যতে আপনার অনেক কষ্ট লাঘব করবে ও আপনার অনেকে সময় বাঁচিয়ে দিবে।
বিশ্বাস করুন আর নাই করুনঃ-“বিভিন্ন ক্যাটাগরির এই কালেকশ গুলোর মধ্যে দেওয়া বাংলা ও ইংলিশ বই, সফটওয়্যার ও টিউটোরিয়াল এর কালেকশন দেখে আপনি হতবাক হয়ে যাবেন !”
আপনি যদি বর্তমানে কম্পিউটার ব্যবহার করেন ও ভবিষ্যতেও কম্পিউটার সাথে যুক্ত থাকবেন তাহলে এই ডিভিডি গুলো আপনার অবশ্যই আপনার কালেকশনে রাখা দরকার !
মোট কথা আপনাদের কম্পিউটারের বিভিন্ন সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান ও কম্পিউটারের জন্য প্রয়োজনীয় সব বই, সফটওয়্যার ও টিউটোরিয়াল এর সার্বিক সাপোর্ট দিতে আমার খুব কার্যকর একটা উদ্যোগ হচ্ছে এই ডিভিডি প্যাকেজ গুলো।আশা করি এই কালেকশন গুলো শিক্ষার্থীদের সকল জ্ঞানের চাহিদা পূরন করবে…!
আমার আসল উদ্দেশ্য হল, কম্পিউটার ও মোবাইল এইডেড লার্নিং ডিভিডি কার্যক্রম এর মাধ্যমে সফটওয়্যার, টিটোরিয়াল ও এইচডি কালার পিকচার নির্ভর ই-বু বা বইয়ের সহযোগিতায় শিক্ষাগ্রহন প্রক্রিয়াকে খুব সহজ ও আনন্দদায়ক করা।
এবং সকল স্টুডেন্ট ও টিচারকে কম্পিউটার ও মোবাইল প্রযুক্তির সম্পৃক্তকরণ এবং সকল শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের প্রযুক্তিবান্ধব করা এবং একটা বিষয় ক্লিয়ার করে বুঝিয়ে দেওয়া যে প্রযুক্তি শিক্ষাকে আনন্দদায়ক করে এবং জ্ঞান অর্জনের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি করে…
🎯 কালেকশ সম্পর্কে বিস্তারিত 👀জানতেঃ নিচের লিংকে 👆ক্লিক করুন
www.facebook.com/tanbir.ebooks/posts/777596339006593
এখানে👆 ক্লিক করুন
🎯 সুন্দর ভাবে বুঝার জন্য নিচের লিঙ্ক থেকে ই-বুক্টি ডাউনলোড করে নিন...
📥 ডাউনলোড 👆 লিংকঃ এখানে👆ক্লিক
আপনারা সামান্য একটু সময় ব্যয় করে ,শুধু এক বার নিচের লিংকে ক্লিক করে এই কালেকশ গুলোর মধ্যে অবস্থিত বই ও সফটওয়্যার এর নাম সমূহের উপর চোখ বুলিয়ে 👓👀 নিন।”তাহলেই বুঝে যবেন কেন এই ফাইল গুলো আপনার কালেকশনে রাখা দরকার! আপনার আজকের এই ব্যয়কৃত সামান্য সময় ভবিষ্যতে আপনার অনেক কষ্ট লাঘব করবে ও আপনার অনেকে সময় বাঁচিয়ে দিবে।
বিশ্বাস করুন আর নাই করুনঃ-“বিভিন্ন ক্যাটাগরির এই কালেকশ গুলোর মধ্যে দেওয়া বাংলা ও ইংলিশ বই, সফটওয়্যার ও টিউটোরিয়াল এর কালেকশন দেখে আপনি হতবাক হয়ে যাবেন !”
আপনি যদি বর্তমানে কম্পিউটার ব্যবহার করেন ও ভবিষ্যতেও কম্পিউটার সাথে যুক্ত থাকবেন তাহলে এই ডিভিডি গুলো আপনার অবশ্যই আপনার কালেকশনে রাখা দরকার !
মোট কথা আপনাদের কম্পিউটারের বিভিন্ন সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান ও কম্পিউটারের জন্য প্রয়োজনীয় সব বই, সফটওয়্যার ও টিউটোরিয়াল এর সার্বিক সাপোর্ট দিতে আমার খুব কার্যকর একটা উদ্যোগ হচ্ছে এই ডিভিডি প্যাকেজ গুলো।আশা করি এই কালেকশন গুলো শিক্ষার্থীদের সকল জ্ঞানের চাহিদা পূরন করবে…!
আমার আসল উদ্দেশ্য হল, কম্পিউটার ও মোবাইল এইডেড লার্নিং ডিভিডি কার্যক্রম এর মাধ্যমে সফটওয়্যার, টিটোরিয়াল ও এইচডি কালার পিকচার নির্ভর ই-বু বা বইয়ের সহযোগিতায় শিক্ষাগ্রহন প্রক্রিয়াকে খুব সহজ ও আনন্দদায়ক করা।
এবং সকল স্টুডেন্ট ও টিচারকে কম্পিউটার ও মোবাইল প্রযুক্তির সম্পৃক্তকরণ এবং সকল শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের প্রযুক্তিবান্ধব করা এবং একটা বিষয় ক্লিয়ার করে বুঝিয়ে দেওয়া যে প্রযুক্তি শিক্ষাকে আনন্দদায়ক করে এবং জ্ঞান অর্জনের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি করে…
🎯 কালেকশ সম্পর্কে বিস্তারিত 👀জানতেঃ নিচের লিংকে 👆ক্লিক করুন
www.facebook.com/tanbir.ebooks/posts/777596339006593
এখানে👆 ক্লিক করুন
🎯 সুন্দর ভাবে বুঝার জন্য নিচের লিঙ্ক থেকে ই-বুক্টি ডাউনলোড করে নিন...
📥 ডাউনলোড 👆 লিংকঃ এখানে👆ক্লিক
আপডেট পেতে
আপডেট ই-বুক
মন্তব্য দিন
প্রয়োজনীয় বাংলা বই
আমার সম্পর্কে !
- Tanbir ebooks
0 মন্তব্য(গুলি):