ভিজিটর সংখ্যা

জনপ্রিয়

T@NB!R ব্লগ সংরক্ষাণাগার

Blogger দ্বারা পরিচালিত.

Social

Random Post

নাম

your name

ইমেল *

Your Email

বার্তা *

your message

Pages

Like Us On Facebook

Popular Posts

বৃহস্পতিবার, ১২ জুলাই, ২০১৮

postheadericon এক নজরে বিশ্বের বিখ্যাত ১০০ বরেণ্য ব্যাক্তিদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি


1)          
এশিয়া মহাদেশ

হযরত মুহম্মদ (সা:)
জন্ম-মৃত্যু: ৫৭০-৬৩২
বিশেষ তথ্য: সর্বশেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী ও রাসূল। ইসলাম ধর্মের প্রাণ পুরুষ ও প্রচারক। ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন।
 মুহাম্মাদ (২৯ আগস্ট ৫৭০ - ৮ জুন ৬৩২; আরবি উচ্চারণ শুনতে ক্লিক করুন محمد (সাহায্য·তথ্য) মোহাম্মদ এবং মুহম্মদ নামেও পরিচিত; তুর্কি : মুহাম্মেদ), পূর্ণ নাম : আবু আল-কাশিম মুহাম্মাদ ইবনে ʿআবদুল্লাহ ইবনে ʿআবদুল মুত্তালিব ইবনে হাশিম (ابو القاسم محمد ابن عبد الله ابن عبد المطلب ابن هاشم) হলেন ইসলামের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব এবং ইসলামী বিশ্বাস মতে আল্লাহ বা ঈশ্বর কর্তৃক প্রেরিত সর্বশেষ নবী,[৬][n ১][n ২] (আরবি: النبي আন-নাবিয়্যু‎‎), তথা "বার্তাবাহক" (আরবি : الرسول আর-রাসুল), যার উপর ইসলামী প্রধান ধর্মগ্রন্থ আল-কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে। অমুসলিমদের মতে তিনি ইসলামী জীবন ব্যবস্থার প্রবর্তক।[৭] অধিকাংশ ইতিহাসবেত্তা ও বিশেষজ্ঞদের মতে,মুহাম্মাদ ছিলেন পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় নেতা।তাঁর এই বিশেষত্বের অন্যতম কারণ হচ্ছে আধ্যাত্মিক ও জাগতিক উভয় জগতেই চূড়ান্ত সফলতা অর্জন। তিনি ধর্মীয় জীবনে যেমন সফল তেমনই রাজনৈতিক জীবনেও। সমগ্র আরব বিশ্বের জাগরণের পথিকৃৎ হিসেবে তিনি অগ্রগণ্য;বিবাদমান আরব জনতাকে একীভূতকরণ তাঁর জীবনের অন্যতম সফলতা।আনুমানিক ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে (হস্তিবর্ষ) মক্কা নগরীতে জন্ম নেওয়া মুহাম্মাদ শিশু বয়সে এতিম হন এবং প্রথমে তাঁর পিতামহ আবদুল মোত্তালিব ও পরে পিতৃব্য আবু তালিবের নিকট লালিত পালিত হন। হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকার পর ৪০ বছর বয়সে তিনি নবুওয়াত লাভ করেন। জিবরাইল এই পর্বতের গুহায় আল্লাহর তরফ থেকে তাঁর নিকট ওহী নিয়ে আসেন। তিন বছর পর ৬১০ খ্রিস্টাব্দে মুহাম্মাদ প্রকাশ্যে ওহী প্রচার করেন,এবং ঘোষণা দেন "আল্লাহ এক" ও তাঁর নিকট নিজেকে সঁপে দেওয়ার মধ্যেই জাগতিক কল্যাণ নিহিত,এবং ইসলামের অন্যান্য পয়গম্বরদের মত তিনিও আল্লাহর প্রেরিত দূত। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত মুহাম্মাদ-এর নিকট আসা ওহীসমূহ কুরআনের আয়াত হিসেবে রয়ে যায় এবং মুসলমানরা এই আয়াতসমূহকে "আল্লাহর বাণী" বলে বিবেচনা করেন। এই কুরআনের উপর ইসলাম ধর্মের মূল নিহিত। কুরআনের পাশাপাশি হাদিস ও সিরাত (জীবনী) থেকে প্রাপ্ত মুহাম্মাদ-এর শিক্ষা ও অনুশীলন (সুন্নাহ) ইসলামী আইন (শরিয়াহ) হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

আল বেরুনী [ইরান]
জন্ম-মৃত্যু: ৯৭৩-১০৪৮
বিশেষ তথ্য: বিশ্ববিখ্যাত আরব শিক্ষাবিদ ও বিজ্ঞানী। ৯৭৩ সালে পারস্য বর্তমান ইরানে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি গজনীর সুলতান মাহমুদের সাথে ভারতে আসেন এবং ভারতের অবস্থা সুন্দর ভাবে লিপিবদ্ধ করেন। ‘কিতাবুল হিন্দ’ তার বিখ্যাত গ্রন্থ। গণিত, জোতির্বিদ্যা, পদার্থ প্রায় সকল বিষয়ে তার অগাধ দক্ষতা ছিল।

কনফুসিয়াস [চীন]
জন্ম-মৃত্যু: ৫৫১-৪৭৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দ
বিশেষ তথ্য: চৈনিক দার্শনিক। ৫৫১ খ্রিস্টপূর্বাব্দে চীনের ছ্যুফু শহরে জন্ম গ্রহণ করেন। কনফুসিয়াসিজম এর প্রতিষ্ঠাতা। তিনি চীনে ‘খোং গুরু’ নামে সুপরিচিত। তার দর্শন ও রচনাবলী চীনসহ পূর্ব এশিয়ার জীবনদর্শনে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গভীর প্রভাব বিস্তার করেছে। তার বিশ্বাস ছিল শিক্ষার মুল ভিত্তি হচ্ছে নীতিজ্ঞান।

রাজা রামমোহন রায় [ভারত]
জন্ম-মৃত্যু: ১৭৭৪-১৮৩৩
বিশেষ তথ্য: ভারতের বিখ্যাত সমাজ সংস্কারক। তিনি সতীদাহ প্রথা বিলোপ, বাল্য বিবাহ রদ, পর্দাপ্রথা বাতিল ইত্যাদি কুসংস্কার দূরীকরণে আত্মনিয়োগ করেন। তিনি বিধবা বিবাহ ও স্ত্রী শিক্ষার সমর্থক ছিলেন। তিনি ১৮২৮ সালে ব্রাক্ষ্ম সমাজের প্রতিষ্ঠা করেন। তাকে ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম আধুনিক পুরুষ বলা হয়।

ওমর খৈয়াম [ইরান]
জন্ম-মৃত্যু: ১০৩৮-১১২৩
বিশেষ তথ্য: ফার্সি  কবি, গাণিতিক ও জ্যোতির্বিদ। কাব্যগ্রন্থ রুবাইয়াতের জন্য বিখ্যাত।

স্বামী বিবেকানন্দ [ভারত]
জন্ম-মৃত্যু: ১৮৬৩-১৯০২
বিশেষ তথ্য: তার প্রকৃত নাম নরেন্দ্রনাথ দত্ত। হিন্দু ধর্মীয় মহাপুরুয় এবং দার্শনিক। আধুনিক ভারতের হিন্দু পূণজাগরনের প্রধান চালিকাশক্তি ছিলৈন বিবেকানন্দ। তার সর্বাধিক খ্যাত ১৮৯৩ সালে শিকাগোতে অনুষ্ঠিত ‘বিশ্বধর্ম মহাসভায়’ প্রদত্ত ‘আমেরিকান ভ্রাতা ও ভগিনী’ বক্তৃতাটি পাশ্চত্য সমাজের হিন্দু ধর্মের পরিচিতি প্রদানে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। তিনি রামকৃষ্ণ মিশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং বেদান্ত আন্দোলনের অগ্রদূত। ১৯০২ সালে বেলুড় মঠে দেহ ত্যাগ করেন।

মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ [পাকিস্তান]
জন্ম-মৃত্যু: ১৮৭৬-১৯৪৮
বিশেষ তথ্য: পাকিস্তান জাতির জনক হিসেবে পরিচিত এবং পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল। ১৯৪০ সালে লাহোর অধিবেশনের সভাপতি ছিলেন তিনি দ্বি-জাতি তত্ত্বের প্রবক্তা।

মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী [ভারত]
জন্ম-মৃত্যু: ১৮৬৯-১৯৪৮
বিশেষ তথ্য: ভারতের রাজনৈতিক আন্দোলনের সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা এবং ভারতের জাতির জনক। কবিগুরু রবীন্দনাথ ঠাকুর তাকে ‘মহাত্মা’ উপাধি প্রদান করেন। তিনি অহিংস অসহাযোগ আন্দোলন (১৯২০); ভারত ছাড় আন্দোলন (১৯৪২) ইত্যাদি আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় কৃষ্ণাঙ্গ অধিকার আন্দোলন এবং আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখেন। তিনি ‘ক্রনিক্যাল’ নামক দক্ষিণ আফ্রিকার একটি পত্রিকার সম্পাদনা করেন। তিনি ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম হরতালের প্রবর্তক। ‘The Story of My Experiments with Truth’ গ্রন্থটি রচনা করেন। ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি নাথুরাম গডসে নামক জনৈক আততায়ী কর্তৃক নিহত হন।

সরোজিনী নাইডু [ভারত]
জন্ম-মৃত্যু: ১৮৭৯-১৯৪৯
বিশেষ তথ্য: ভাতের নাইটংঙ্গেল হিসেবে খ্যাত। ১৯২৫ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। স্বাধীনতার পর ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্রের প্রথম মহিলা গভর্নর ছিলেন। বাঙালি হয়েও বাংলায় কোন কবিতা রচনা করেননি কিন্তু ইংরেজি সাহিত্যে তার বিশেষ অবদান রয়েছে।


মাওলানা আবুল কালাম আজাদ [ভারত]
জন্ম-মুত্যু: ১৮৮৮-১৯৫৮
বিশেষ তথ্য: ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম নেতা। তিনি মহাত্মা গান্ধীর অন্যতম সহযোগী হিসাবে অসহযোগ আন্দোলনে যোগদান করেন। তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি এবং শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। ‘ইন্ডিয়া উইনস ফ্রিডম’ তার অন্যতম ঐতিহাসিক গ্রন্থ।

জওহরলাল নেহেরু [ভারত]
জন্ম-মৃত্যু: ১৮৮৯-১৯৬৪
বিশেষ: তথ্য: ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা ও স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। ১৯৪৭ থেকে ১৯৬৪ সাল মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট ও বিখ্যাত আইনজীবি ছিলেন। এছাড়াও তিনি ছিলেন এক বিখ্যাত লেখক তার বিখ্যাত তিনটি ইংরেজি বই যথা; An Autobiography’ ‘Glimpses of World History’ এবং ‘The Discovery of India’ চিরায়ত সাহিত্যের মর্যাদা লাভ করে। ১৯৬৪ সালে তিনি পরলোক গমন করেন।

হো চি মিন [ভিয়েতনাম]
জন্ম-মুত্যু: ১৮৯০-১৯৬৯
বিশেষে তথ্য: ভিয়েতনামের জাতির জনক। ১৯৪৫ সাল হতে তাঁর জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তৎকালীন উত্তর ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ‘আঙ্কেল হো’ নামে পরিচিত। তার নেতৃত্বাধীন মুক্তি পাগল, স্বাধীনচেতা ভিয়েতনামের সাহসী সৈন্যদল আমেরিকার ন্যায় শক্তিশালী দেশের সৈন্যদলকে পরাজিত করে।

মাও সেতুং [চীন]
জন্ম-মৃত্যু: ১৮৯৩-১৯৭৬
বিশেষ তথ্য: চীনের মহান নেতা। প্রথম জীবনে ওকজন প্রাথমিক স্কুলেন শিক্ষক ছিলেন। ১৯৩৬ সালে ১২ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ লং মার্চের সময় তিনি চীনের কমিউনিস্ট পর্টির চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। ১৯৪৯ সালের ১ অক্টোবর তিনি তিয়েন আনমেন স্কয়ারে দাড়িয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠা ঘোষণা করেন। ১৯৬৯ সালে চীনের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের নেতৃত্ব দেন।

নেতাজী সুভাস চন্দ্র বসু [ভারত]
জন্ম-মৃত্যু: ১৮৯৭-১৯৪৫
বিশেষ তথ্য: পরপর দুইবার ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ভারতকে স্বাধীন করার উদ্দেশ্যে জাতীয় সেনাবাহিনীআজাদ হিন্দু ফৌজ’ গঠন করেন। এছাড়া তিনি ফরওয়ার্ড ব্লক নামে একটি রাজনৈকি দল গঠন করেন। তাকে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম নায়ক বলা হয়। তার বিখ্যাত উক্তি “তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব”।

চৌ এন লাই [চীন]
জন্ম-মৃত্যু: ১৮৯৮-১৯৭৬
বিশেষ তথ্য: চীনের বিপ্লবী নেতা। চীনের লাল ফৌজ প্রতিষ্ঠার অন্যতম নায়ক এবং দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১৯৪৯ সাল থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিরেন। মাও সেতুং এরপর তিনি চীনের সবচেয়ে বেশি প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। তিনি ১৯৭৬ সালে পরলোক গমন করেন।

ড. আহমেদ সুকর্নো [ইন্দিানেশিয়া]
জন্ম-মৃত্যু: ১৯০১-১৯৭০
বিশেষ তথ্য: ইন্দোনেশিয়ার জাতির জনক ও প্রথম প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি ১৯৪৫-১৯৬৬ সাল পর্যন্ত সে দেশের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি পঞ্চশীলা নীতি প্রবর্তন করেন। ১৯৬৬ জাসে জেনারেল সুহার্তোর সামরিক অভ্যুন্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন।

টেংকু আব্দুর রহমান [মালয়েশিয়া]
জন্ম-মৃত্যু: ১৯০৩-১৯৯০
বিশেষ তথ্য: মালয়েশিয়ার জাতির জনক এবং প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ওআইসি এর প্রথম মহাসচিব। ১৯৫৭ সাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিলেন।

আয়াতুল্লাহ খোমেনী [ইরান]
জন্ম-মৃত্যু: ১৯০০-১৯৮৯
বিশেষ তথ্য: ইরানের শিয়া সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নেতা। তিনি ফ্রান্সে পনের বছর সনে থাকেন। নির্বাসনে থাকাকালীন সময়ে তিনি গণ আন্দোলন গড়ে তোলেন। এ আন্দোলনের মুখে স্বপরিবারে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হন। তার নেতৃত্বে ইরানে ইসলামি বিপ্লব সাধিত হয়। ১৯৮৯ সালের ৩ জুন রাতে তিনি ইন্তেকাল করেন।

মাদার তেরেসা [মেসিডোনিয়ায়]
জন্ম-মৃত্যু: ১৯১০-১৯৯৭
বিশেষ তথ্য: মেসিডোনিয়ায় জন্ম। তখন তার নাম ছিল অ্যাগনেস গোলাস্কা বেজাকিস হিউ। ভারতের সমাজ সেবিকা হিসেবে পরিচিত।
১৯২৮ সালে কলকাতায় আগমন করেন এবং ১৯৪৮ সালে কলকাতায় আগমন করেন এবং ১৯৪৮ সালে ভারতের নাগরিকত্ব রাভ করেন ও দু:স্থ মানবতার সেবায় আত্মনিয়োগ করেন। ১৯৫০ সালে কলকাতার মিশনারি অব চ্যারিটিজ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ভারতের জাতীয় পুরস্কার, নেহেরু শান্তি পুরস্কার এবং ১৯৭৯ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার রাভ করেন। তিনি পুরস্কারের সব অর্থ দু:স্থ মানবতার সেবায় ব্যয় করার ঘোষণা দেন।তিনি ১৯৯৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।

লি ডাক থো [ভিয়েতনাম]
জন্ম-মৃত্যু: ১৯১১-১৯৯০
বিশেষ তথ্য: সাবেক উত্তর ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য এবং উত্তর ভিয়েতনামের প্রধান শান্তি আলোচনাকরী। ১৯৭৩ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করলেও তিনি পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেন।

শ্রীমাভো বন্দরনায়েকে [শ্রীলংকা]
জন্ম-মৃত্যু: ১৯১৬-২০০০
বিশেষ তথ্য: শ্রীলংকা তথা বিশ্বের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী। মোট তিনবার [১৯৬০-৬৬, ১৯৭০-৭৭, ১৯৯৪-২০০০] মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হন। ২০০০ সালের ২০ আগস্ট তিনি মৃত্যুবরন করেন।

কামাল জুলমাত [লেবানন]
জন্ম-মৃত্যু; ১৯১৭-১৯৭৭
বিশেষ তথ্য: লেবাননের একজন সমাজতন্ত্রী নেতা। লেবাননের গৃহযুদ্ধে তিনি বিরোধী নেতা ছিলেন। ১৯৭৭ সালে আততায়ীর হাতে নিহত হন।

ইন্দিরা গান্ধী [ভারত]
জন্ম-মৃত্যু: ১৯১৭-১৯৮৪
বিশেষ তথ্য: ভারতের বিখ্যাত মহিলা রাজনীতিবিদ। উপমহাদেশের লৌহমানবী নামে খ্যাত। তিনি দুইবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী হন এবং এখনও পর্যন্ত ভারতের একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রী তার পিতা ভারত সৃষ্টির অন্যতম নায়ক এবং ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেডেরু। ১৯৪৮ সালের ৩১ অক্টোবর ইন্দিরা গান্ধী দেহরক্ষীর গুলিতে নিহত হন।

জামাল আব্দুল নাসের [মিসর]
জন্ম-মৃত্যু: ১৯১৮-১৯৭০
বিশেষ তথ্য: সংযুক্ত আরব প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি মিসরের প্রধানমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্ট হন।

মেহাম্মদ রেজা শাহ পাহলবী [ইরান]
জন্ম-মৃত্যু: ১৯১৯-১৯৮০
বিশেষ তথ্য: বিশ্বের বহুল আলোচিত ইরানের সর্বশেষ রাজা। ১৯৪১ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। ইরানে ইসলামি বিপ্লবের ফলে ১৯৭৮ সালের জানুয়ারি মাসে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। যুক্তরাষ্ট্র, বাহামা, মেক্সিকো প্রভৃতি দেশে আশ্রয় লাভে ব্যর্থ হলে মিশর সরকার তাকে আশ্রয় দান করেন।

প্রফেসর আবদুল সালাম [পাকিস্তান]
জন্ম-মৃত্যু: ১৯২৬-১৯৯৬
বিশেষ তথ্য:: পাকিস্তানের প্রখ্যাত পদার্থবিদ। তিনি ১৯৭৯ সালে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। দীর্ঘ ১৫ বছর সাধনার পর তিনি কেন্দ্র বস্তুর কণারাজির বন্ধন রহস্য/দুর্বল তড়িৎ রহস্য উদঘাটনে সাফল্য অর্জন করেন।

ইয়াসির আরাফাত [ফিলিস্তিন]
জন্ম-মৃত্যু: ১৯২৯-২০০৪
বিশেষ তথ্য: ফিলিস্তিনের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং পি.এল.ও এর প্রধান হন ১৯৬৯ সালে। অনুসারীদের নিকট তিনি আবু আমর নামে পরিচিত। ১৯৯৪ সালে নোবেল ১৩ সেপ্টেম্বর ইসরাইলের সাথে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। ১৯৯৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ইসরাইলের সাথে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। ২০০৪ সালের ১১ নভেম্বর প্যারিসের সামরিক হাসপাতালে পরলোক গমন করেন। তাকে রামাল্লায় সমাহিত করা হয়েছে।

রাজিব গান্ধী [ভারত]
জন্ম-মৃত্যু: ১৯৪৪-১৯৯১
বিশেষ তথ্য: ইন্দিরা গান্ধীর জ্যেষ্ঠ পুত্র। ভঅরতের সপ্তম প্রধঅনমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী হবার পূর্বে তিনি ব্যক্তিগত জীবনে ছিলেন ইন্ডিয়ান এয়ার লাইন্সের পেশাদার বিমানচালক। ১৯৪৮ সালে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮৪ সালে তার নেতৃত্বে কংগ্রেস সংসদের ৫৪২টি আসনের বিপরীতে ৪১১টি আসনে জয়লাভ করেন যা এখনও পর্যন্ত কংগ্রেসের সর্বকালের রেকর্ড। তিনি ছিলেন বোফোর্স কেলেঙ্কারির মূল হোতা। ১৯৯১ সালে নিজ দেহ রক্ষীর গুলিতে নেহত হন।

2)           ইউরোপ মহাদেশ


আর্কিমিডিস [গ্রিস]
জন্ম-মৃত্যু: ২৮৭-২১২ খ্রিস্টাপূর্বাব্দ
বিশেষ তথ্য: গ্রিক গণিতশাস্ত্রবিদ, পদার্থবিদ ও আবিস্কারক। পদার্থবিদ্যায় আর্কিমিডিসের নীতি তার এক অসাধারণ অবদান।

সক্রেটিস [গ্রিস]
জন্ম-মৃত্যু: খ্রিস্টপূবৃ ৪৭০-৩৯৯
বিশেষ তথ্য: বিখ্যাত গ্রিক দার্শনিক ও শিক্ষক। তাকে নাস্তিকতার দায়ে দোষী সাব্যস্থ করে হেমলক পাতার রস পান করিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি প্লেটোর গুরু ছিলেন।

প্লেটো [গ্রিস]
জন্ম-মৃত্যু: ৪২৭-৩৪৭ খ্রিস্টপূর্ব
বিশেষ তথ্য: জ্ঞানীর পিতা নামে খ্যাত গ্রিক দার্শনিক। সক্রেটিসের ছাত্র এবং এরিস্টলের শিক্ষক ছিলেন। প্লেটোই প্রথম পশ্চিমা বিশ্বে উচ্চ শিক্ষার প্রথম প্রতিষ্ঠান ‘একাডেমি’ গড়ে তোলেন। তার গ্রন্থাবলির মধ্যে দি রিপাবলিক ও স্টেটম্যান উল্লেখযোগ্য।

এরিস্টটল [গ্রিস]
জন্ম-মৃত্যু: খ্রিস্টপূর্ব ৩৮৪-৩২২
বিশেষ তথ্য: গ্রিক দার্শনিক, বিজ্ঞানী, চিন্তাবিদ ও কবি। তিনি বিখ্যাত গ্রন্থ ‘পলিটিক্স’ এর প্রণেতা। তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান, প্রাণিবিদ্যা ও জীববিদ্যার জনক।

আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট [মেসিডোনিয়া]
জন্ম-মৃত্যু: ৩৫৬-৩২৩ খ্রিস্টপূর্ব
বিশেষ তথ্য: আলেকজান্ডার ছিলেন মেসিডোনিয়ার রাজা দ্বিতীয় ফিলিপের পুত্র। পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম সফল সামরিক প্রধান।  গ্রিক দার্শনিক এরিস্টটলের ছাত্র ছিলেন। তিনি তৃতীয় আলেকজান্ডার বা মেসিডোনিয়ার রাজা হিসেবে পরিচিত। টলেমির মানচিত্র অনুযায়ী তিনি তার মৃত্যুর আগে পৃথিবীর অনেকাংশ জয় করেছিলেন। খ্রিস্টপূর্ব ৩২৭ অব্দে তিনি ভারত আক্রমণ করেন।

জোয়ান অব আর্ক [ফ্রান্স]
জন্ম-মৃত্যু: ১৪১২-১৪৩১
বিশেষ তথ্য: ফ্রান্সের একজন সাধারণ গৃহস্থ কন্যা্ অলৌকিক শক্তি দ্বারা আদিষ্ট হয়ে ফরাসি রাজার দেয়া সৈন্য পরিচালনা করে অর্লিন্স নগর ব্রিটিশদের অবরোধ মুক্ত করেন এবং ঘাঁটির পর ঘাঁটি থেকে ব্রিটিশ সৈন্য বিতাড়িত করতে সক্ষম হন।

ক্রিস্টোফর কলম্বাস [ইতালি]
জন্ম-মৃত্যু: ১৪৫১-১৫০৬
বিশেষ তথ্য: ইতালির নাবিক ও ঔপনিবেশিক। তার আমেরিকা অভিযাত্রা ঔ অঞ্চলে ইউরোপীয়দের উপনিবেশ স্থাপনে সূচনা করেছিল। তিনি ১৪৯২  সালে তৎকালীন ক্যাস্টিল রাজ্য (বর্তমান স্পেন) এর রানী ইসাবেলার অনুরোধে আমেরিকা যাত্রা করেন এবং আমেরিকা আবিস্কার করেন।

লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি [ইতালি]
জন্ম-মৃত্যু: ১৪৫২-১৫১৯
বিশেষ তথ্য: ইতালীর বিশ্বখ্যাত চিত্রকর, স্থপতি, ভাস্কর, বিজ্ঞানী, সঙ্গীতজ্ঞ ও প্রকৌশলী। চিত্রকর হিসেবেই অধিক পরিচিত। মোনালিসা ও দি লাস্ট সাপার তার  সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য চিত্রকর্ম।

নিকোলাস কোপার্নিকাস
জন্ম-মৃত্যু: ১৪৭৩-১৫৪৩
বিশেষ তথ্য: পোলিশ জ্যোতির্বিদ। সূর্যের চার দিকে পৃথিবী এবং অন্যান্য গ্রহের ঘূর্ণনের মতবাদ তিনিই প্রথম প্রদান করেন। এর ফলে তার ৪০০ বছর পূর্বের জ্যোতির্বিদ টলেমির ধারণা ‘পৃথিবী স্থির; সূর্য ও নক্ষত্র সমূহ তার চারদিকে ঘরে, ভুল প্রমাণ হয়।
মার্টিন লুথার [জার্মানি]
জন্ম-মৃত্যু: ১৪৮৩-১৫৪৬
বিশেষ তথ্য: জার্মানির বিখ্যাত ধমযাজক এবং ধর্মতত্ত্বের অধ্যাপক। তিনি ঘোড়শ শতকে প্রটেস্ট্যান্ট ধমবিপ্লবের সুত্রপাত করেন। পাপ করে অর্থের বিনিময়ে বিধাতার শাস্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়-এই মতের তিনি কঠোর বিরোধিতা করেন।

গ্যালিলিও [ইতালি]
জন্ম-মৃত্যু: ১৫৬৪-১৬৪২
বিশেষ তথ্য: ইতালির বিখ্যাত জ্যোতির্বিদ ছিলেন। ১৬০৯ সালে তিনি প্রথম টেলিস্কোপ আবিস্কার করেন।
তিনি ইতিহাসে ‘Father of modern observational astronomy’ নামে পরিচিত।

শেক্সপিয়ার [যুক্তরাজ্য]
জন্ম-মৃত্যু: ১৫৬৪-১৬১৬
বিশেষ তথ্য: যুক্তরাজ্যের স্ট্রাটফোর্ড এভোনে জন্মগ্রহণ করেন। ইংল্যান্ডের শ্রেষ্ঠ কবি ও নাট্যকার। তার রচনাবলীর মধ্যে জুলিয়াস সিজার , ম্যাকবেথ, মার্চেন্ট অব ভেনিস, অ্যান্টনিও এন্ড ক্লিওপেট্রা, কিং লেয়ার, ওথেলো ইত্যাদি বিশেষ উল্লেখযোগ্য।

জন লক [যুক্তরাজ্য]
জন্ম-মৃত্যু: ১৬৩২-১৭০৪
বিশেষ তথ্য: জন লক ছিলেন ইংরেজ দার্শনিক, অর্থনীতিবিদ, আলোকিত যুগের অন্যতম চিন্তাবিদ, এবং রাজনৈতিক ভাষ্যকার। তিনি ছিলেন আধুনিক গণতন্ত্র বা সংসদীয় গণতন্ত্রের জনক। তিনি State of Nature সম্পকে ধারণ প্রেরণ করেন। তার রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হচ্ছে- এস কনসারনিং হিউম্যান, লেটারস অন টলারেশন, টু ট্রিটিজেস অন সিভিল গভর্নমেন্ট।

আইজ্যাক নিউটন [যুক্তরাজ্য]
জন্ম-মৃত্যু: ১৬৪২-১৭২৭
বিশেষ তথ্য: বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী। পদার্থবিদ ও অঙ্কশাস্ত্রবিদ হিসেবে খ্যাত। তার আলো, গতি ও মহাকর্ষের সুত্র বিজ্ঞানের এক অসাধারণ অবদান।

অ্যাডাম স্মিথ [যুক্তরাজ্য]
জন্ম-মৃত্যু: ১৭২৩-১৭৯০
বিশেষ তথ্য: তিনি ১৭২৩ সালে স্কটল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন। আধুনিক অর্থনীতির জনক হিসেবে পরিচিত। ১৭৭৬ সালে ‘an Inquiry into the Nature and Causes of the Wealth of Nations’ গ্রন্থটি প্রকাশ করেন। তিনি অর্থনীতিকে সম্পদের জ্ঞান বলে অভিহিত করেছেন। তিনি লেইস ফেয়ার নীতির প্রবক্তা।

মাইকেল ফ্যারাডে [যুক্তরাজ্য]
জন্ম-মৃত্যু: ১৭৯১-১৮৬৭
বিশেষ তথ্য: ব্রিটিশ পদার্থবিদ ও রসায়নবিদ। তিনি সর্বপ্রথম তড়িৎ পাদক ডায়নামো আবিস্কার করেন।

ষোড়শ লুই [ফ্রান্স]
জন্ম-মৃত্যু: ১৭৫৪-১৭৯৩
বিশেষ তথ্য: তিনি ফরাসি বিপ্লবের সময় ফ্রান্সের সম্রাট ছিলেন। ১৭৮৯ সালের বিপ্লবের সময় তাকে সিংহাসনচ্যুত করা হয় এবং ১৭৯৩ সালে মৃত্যুদন্ডের দন্ডিত করা হয়।

হ্যানিম্যান [জার্মানি]
জন্ম-মৃত্যু: ১৭৫৫-১৮৪৩
বিশেষ তথ্য: জার্মানির, একজন বিখ্যাত চিকিৎসক। তিনি হোমিওপ্যাথিক চিকিসার উদ্ভাবক।


নেপোলিয়ান বোনাপার্ট [ফ্রান্স]
জন্ম-মৃত্যু: ১৭৬৯-১৮২১
বিশেষ তথ্য: ফ্রান্সের শ্রেষ্ঠ নেতা ও সেনাপতি। তাকে ফরাসি বিপ্লবের শিশু বলা হয়। তিনি ব্রিটেন, রাশিয়া ও অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়লাভ করেন কিন্তু ওয়াটারলু যুদ্ধে ১৮১৫ সালে বৃটেনের নিকট পরাজিত হলে তাকে সেন্ট হেলেনা দ্বীপে নির্বাসন দেওয়া হয়। এবং সেখানেই ১৮২১ সালে তার মৃত্যু হয়।

ডেভিড রিকার্ডো [যুক্তরাজ্য]
জন্ম-মৃত্যু: ১৭৭২-১৮২০
বিশেষ তথ্য: ইংরেজ অর্থনীতিবিদ এবং রাজনীতিবিদ ‘খাজনা তত্ত্বে’র প্রবর্তক এছাড়া ‘রিসিপ্রোকাল ডিমান্ড’ তুলনামূলক খরচ তত্ত্বের প্রবক্তা।

চার্লস ডারউইন [যুক্তরাজ্য]
জন্ম-মৃত্যু: ১৮০৯-১৮৮২
বিশেষ তথ্য: ইংরেজ জীববিজ্ঞানী। তিনিই প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বিবর্তনবাদের ধারণা দেন। তিনিই সর্বপ্রথম অনুধাবন করেন যে সকল প্রকার প্রজাতিই কিছু সাধারণ পূর্বপুরুষ হতে উদ্ভুত হয়েছে এবং তার এই ধারণাটি সাক্ষ্য প্রমাণ দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন। বিবর্তনবাদ সম্পর্কিত তার গ্রন্থের নাম ‘অরিজিন অব স্পেসিজ’ এবং দ্য ভয়েজ অফ দ্য বিগল’।

লুইস ব্রেইল [ফ্রান্স]
জন্ম-মৃত্যু: ১৮০৯-১৯৫২
বিশেষ তথ্য: তিনি বছর বয়সে অন্ধ হয়ে যাবার পর  বিশ বছর বয়সে তিনি অন্যান্য অন্ধ ব্যক্তিদের শিক্ষা দিতে অগ্রসর হন। এর পর এক বছরের মধ্যে অন্ধ ও দৃষ্ঠি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সহায়তা ও কল্যাণার্তে ব্রেইল পদ্ধতি আবিস্কারের মাধ্যমে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনয়ন করেন। দৃষ্টি নিবন্ধ হওয়া ছাড়াই এক থেকে ছয়টি বিন্দুতে আঙ্গুলী নির্দেশনা ও স্পর্শের মাধ্যমে বিশ্বের লাখো অন্ধ ব্যাক্তিগণ শিক্ষণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেছে।

কার্ল মার্কস [জার্মানি]
জন্ম-মৃত্যু: ১৮১৮-১৮৮৩
বিশেষ তথ্য: জার্মান দার্শনিক ও সমাজতন্ত্রবিদ এবং মার্কস বাদের প্রবক্তা। তার বিখ্যাত গ্রন্থ ‘ডাস ক্যাপিটাল’ এ কমিউনিস্ট ম্যানিফিস্টো।সাম্যবাদ তার মতবাদেরই প্রতিষ্ঠিত। তিনি সমাজতন্ত্রের জনক। ১৭ মার্চ ১৮৮৩ সালে তিনি লন্ডনে মৃত্যুবরণ করেন।

ফ্রেডারিক অ্যাঙ্গেলস [জার্মানি]
জন্ম-মৃত্যু: ১৮২০-১৮৮৪
বিশেষ তথ্য: ম্যান্ডেল ছিলেন অস্ট্রিয়ার একজন ধমযাজক। তিনি তার গির্জার বাগানে মটরশুটি উদ্ভিদ নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা করে বংশগতির দুইটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র আবিস্কার করেন। তাই তাকেই বংশগতি বিদ্যার জনক হিসেবে বিবেচিত করা হয়।

লুই পাস্তুর [ফ্রান্স]
জন্ম-মৃত্যু: ১৮২২-১৮৯৫
বিশেষ তথ্য: ফরাসি রসায়নবিদ এবং জীববিজ্ঞানী। তিনিই প্রথম আবিস্কার করেন যে অনুজীব অ্যালকোহল জাতীয় পানীয়ের পচনের জন্য দায়ী। তিনি ব্যাক্টোরিয়ালজির প্রতিষ্ঠাতা এবং হাইডোফোবিয়া রোগের টিকাদান পদ্ধতির আবিস্কারক। এছাড়া তিনি গোবাদি পশুর এনথ্রাক্স রোগের টিকাও আবিস্কার করেন।

আলফ্রেড নোবেল [সুইডেন]
জন্ম-মৃত্যু: ১৮৩৩-১৮৯৬
বিশেষ তথ্য: তিনি ১৮৬৭ সালে ডিনামাইট আবিস্কার করেন।
বিখ্যাত অস্ত্র নিমাতা প্রতিষ্ঠান বোফর্সের মালিক ছিলেন অনেক দিন।
তার নামে প্রায় ৩০০টির অধিক পেটেন্ট ছিল। তার রেখে যাওয়া অর্থ থেকেই ১৯০১ সাল থেকে নোবেল পুরস্কার প্রদান শুরু হয়।

আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল [যুক্তরাজ্য]
জন্ম-মৃত্যু: ১৮৪৭-১৯২২
বিশেষ তথ্য: একজন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী। তিনি ১৮৭৬ সারে টেলিফোন আবিস্কার করেন। তাকে ফাদার অব দ্য ডিফ নামে ডাকা হত। ১৮৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।

রোনাল্ড রস [যুক্তরাজ্য]
জন্ম-মৃত্যু: ১৮৫৭-১৯৩২
বিশেষ তথ্য: ইংরেজ চিকিৎসাবিদ এবং ব্যাকটেরিয়া তত্ত্ববিদ। এনোফিলিস নামক মশার কামড়ে  যে ম্যালেরিয়া জীবাণূ দেহাভান্তরে প্রবেশ করে, এটা তিনি আবিস্কার করেন। তিনি ১৯০২ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

ম্যাক্সিম গোর্কি [রাশিয়া]
জন্ম-মৃত্যু: ১৮৬৮-১৯৩৬
বিশেষ তথ্য: রাশিয়ার বিখ্যাত ঔপন্যাসিক, ছোট গল্পকার এবং নাট্যকার। মাদার তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। ১৮৮০ সালে মাত্র ১২ বছর বয়সে তার দাদীমাকে খুজতে গৃহ ত্যাগ করেন।
পরবর্তীতে বাড়ি থেকে বের হয়ে দীর্ঘ ৫ বছর পায়ে হেটে সমগ্র রাশিয়া ভ্রমণ করেন।

মাদাম কুরি [পোল্যান্ড]
জন্ম-মৃত্যু: ১৮৬৭-১৮৩৪
বিশেষ তথ্য: পোল্যান্ডের বিখ্যাত পদার্থ ও রসায়নবিদ রেডিয়াম আবিস্কারক। ১৯১১ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ১৯০৩ সালে পদার্থ বিদ্যায়ও নোবেল পুরস্কার পান।

ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিন [রাশিয়া]
জন্ম-মৃত্যু: ১৮৭০-১৯২৪
বিশেষ তথ্য: ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিন একজন স্কুল শিক্ষকের পুত্র, বলশেভিক দলের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯১৭ সালের রুশ বিপ্লবের নায়ক। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি সোভিয়েত ইউনিয়নের রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন।

আলেকজান্ডার ফ্লেমিং [স্কটল্যান্ড]
জন্ম-মৃত্যু: ১৮৮১-১৯৫৫
বিশেষ তথ্য: তিনি ছত্রাক থেকে পেনিসিলিন আবিস্কার করেন। তিনি ১৯৪৫ সারে চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

উইলহেম কনরাড রনজেন [জার্মানি]
জন্ম-মৃত্যু: ১৮৪৫-১৯২৩
বিশেষ তথ্য: তিনি ১৮৯৫ সালে এক্সরে আবিস্কার করেন এবং ১৯০১ সালে পদার্থবিজ্ঞানে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

উইনস্টন চার্চিল [ইংল্যান্ড]
জন্ম-মৃত্যু: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি রাজনীতিবিদ হয়েও ১৯৫৩ সালে The History of Second World War’ গ্রন্থের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন এবং একই সালে যুক্তরাষ্ট্রের সম্মানসূচক নাগরিকত্ব লাভ করেন। তিনি রক্ষণশীল দলের নেতা ছিলেন এবং জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার অন্যতম নায়ক ছিলেন।

মার্কোনি গুগলিয়েলমো [ইতালি]
জন্ম-মৃত্যু: ১৮৭৪-১৯৩৭
বিশেষ তথ্য: ইতালির বিজ্ঞানী।
টেলিগ্রাফ ও রেডিও আবিস্কারক। ১৯০৯ সালে পদার্থ বিদ্যায় নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।


জোসেফ স্ট্যালিন [রাশিয়া]
জন্ম-মৃত্যু: ১৮৭৮-১৯৫৩
বিশেষ তথ্য: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন। জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার অন্যতম অগ্রদূত।
পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা নীতি’র প্রবর্তক। তার সময়ে ‘হোলোডোমোর’ নামে দুর্ভিক্ষটি সংঘটিত হয়। ১৯৩৬-১৯৩৮ সালে তিনি ‘গ্রেট পারজ’ বা গ্রেট টেরর’ নামক দমননীতি পরিচালনা করেন।
স্ট্যালিনের শাসন প্রক্রিয়া socislism in one country নামে পরিচিত।

আলবার্ট আইনস্টাইন
জন্ম-মৃত্যু: ১৮৭৯-১৯৫৫
বিশেষ তথ্য: থিওরি অব রিলেটিভিটি বা আপেক্ষিকবাদের প্রণেতা এবং বিশ্ববিখ্যাত জার্মান তত্ত্বীয় পদার্থবিদ। তিনি ১৯২১ সালে ‘আলোর তড়িৎ ক্রিয়া’ সম্পর্কিত গবেষণার জন্য পদার্থ বিজ্ঞান নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তার অন্যান্য অবদানের মধ্যে রয়েছে আপেক্ষিকতাভিত্তিক বিশ্বতত্ত্ব, কৈশিক ক্রিযা, ক্রান্তিক উপলবৎ বর্ণময়তা, কোয়ান্টাম তত্ব ইত্যাদি। জাতিসংঘ ২০০৫ সালকে ‘আইনস্টাইন বর্ষ’ ঘোষণা করে।

কামাল আতাতুর্ক [তুরস্ক]
জন্ম-মৃত্যু: ১৮৮১-১৯৩৮
বিশেষ তথ্য: আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা। তার বিভিন্ন সামাজিক সংস্কার আধুনিক তুরস্কের সৃষ্টি করেছে। তিনি ১৯২৩ সাল পর্যন্ত তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। আতাতুকের সংস্কার আন্দোলনের মূলনীতির উপর আধুনিক তুরস্ক প্রতিষ্ঠিত তার মতবাদ ‘কামালবাদ’ নামে পরিচিত।


বেনিটো মুসোলিনি [ইতালি]
জন্ম-মৃত্যু: ১৮৮৩-১৯৪৫
বিশেষ তথ্য: তিনি ইতালির সর্ব কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ইতালীর ফ্যাসিস্ট দলের প্রতিষ্ঠাতা এবং একনায়কতান্ত্রিক শাসক। তিনি হিটলারের সাথে রোম-বার্লিন অক্ষ চুক্তি’ স্বাক্ষর করেন। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্তি পর মিত্রবাহিনী কর্তৃক মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত হন।

এডলফ হিটলার [জার্মানি]
জন্ম-মৃত্যু: ১৮৮৯-১৯৪৫
বিশেষ তথ্য: অস্ট্রিয়ায় জন্ম। মাত্র দশ বছর বয়সে জার্মানিতে চলে আসেন।
হিটলার প্রথম বিশ্বযুদ্ধে সৈনিক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে ভাইমার প্রজাতন্ত্রের তৃতীয় প্রেসিডেন্ট হন এবং নাৎসি পার্টির নেতৃত্ব রাভ করেন। ১৯৩৩ সালে জার্মানির চ্যান্সেলর হন। গেস্টাপো নামে তার একটি গোপন পুরিশ বাহিনী ছিল। তিনি জার্মানিতে ফ্যাসিবাদ একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং এমন একটি বৈদেশিক নীতি গ্রহণ করেন যাতে সকল জীবন্ত অঞ্চল দখল করে নেওয়ার কথা বলা হয়। হিটলারের রাজ্য জয় ও বর্ণবাদ আগ্রাসনের কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রাণ হারাতে হয়। তিনি ৬০ লক্ষ ইহুদিকে পরিকল্পনামাফিক হত্যা করেন যা ইতিহাসে হলোকস্ট নামে পরিচিত। এছাড়া তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মহানায়ক ছিলেন। তার রচিত বইয়ের নাম মেইন ক্যাম্প।

অষ্টম এডওয়ার্ড [যুক্তরাজ্য]
জন্ম-মৃত্যু: ১৮৯৪-১৯৭৩
বিশেষ তথ্য: বৃটেনের প্রাক্তন রাজা। রাজ পরিবারের নিয়ম ভঙ্গ করে মিসেস সিম্পসন নামে একজন সাধারণ আমেরিকান মহিলাকে বিবাহ করায় তাকে বৃটেনের সিংহাসন ত্যাগ করতে হয়।

জুলিও কুরি [ফ্রান্স]
জন্ম-মৃত্যু: ১৯০০-১৯৫৮
বিশেষ তথ্য: ফ্রান্সে জন্ম। মাদাম কুরির কন্যা আইরিন কুরিকে বিয়ে করে জুলিও কুরি নামে পরিচিত হন।
তিনিই সর্বপ্রথম অণুকে খন্ডিত করে  এর মধ্যে বিশাল শক্তির পরিচয় পান। তারই তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে আণবিক বোমা তৈরি করা হয়। ১৯৩৫ সালে পদার্থের নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।


মার্গারেট থ্যাচার [যুক্তরাজ্য]
জন্ম-মৃত্যু: ১৯২৫-২০১৩
বিশেষ তথ্য: ইউরোপের লৌহমানবী নামে পরিচিত। তিনিই বৃটেনের প্রথম এবং একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। ১৯৮২ সালে তিনি ফকল্যান্ড যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। ৮ এপ্রিল ২০১৩ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

মিখাইল গর্বাচেভ [সোভিয়েত ইউনিয়ন]
জন্ম-মৃত্যু: ১৯৩১
বিশেষ তথ্য: সোভিয়েত ইউনিয়নের সর্বশেষ সমাজতান্ত্রিক প্রেডিসডেন্ট। ১৯৯০ সালে তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। তার রাজনৈতিক দলের নাম ছিল কমিউনিস্ট পার্টি অব সোভিয়েত ইউনিয়ন। ১৯৯১ সালে তিনি প্রেসিডেন্ট পদ হতে পদত্যাগ করেন।

3)           আফ্রিকা মহাদেশ

সেন্ট অগাস্টিন [আলজেরিয়া]
জন্ম-মৃত্যু: ৩৫৪-৪৩০
বিশেষ তথ্য: ৩৫৪ সালের ১৩ নভেম্বর আলজেরিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি original sin এবং just war সম্পর্কে ধারণা প্রদান করেন। তার হাত দিয়েই খ্রিস্টধর্ম পশ্চিমে প্রসার লাভ করে। তার বিখ্যাত গ্রন্থ গুলোর মধ্যে রয়েছেসিটি অব গড’ ‘কনফেসশন’ ‘অন ক্রিশ্চিয়ান ডকট্রিন’ ইত্যাদি।

ইবনে বতুতা [মরক্কো]
জন্ম-মৃত্যু: ১৩০৪-১৩৭৮
বিশেষ তথ্য: মরক্কোর বিখ্যাত পন্ডিত এবং সর্বশ্রেষ্ঠ মুসলিম পর্যটক। পৃথিবীর অনেক জায়গায় তিনি ‘শামস-উদ-দীন’ নামেও পরিচিত। তিনি মূলত তার পৃথিবী ভ্রমণের জন্যই বিখ্যাত হয়ে আছেন।
মুহম্মদ বিন তুঘলকের রাজত্বকালে ১৩৩১ সালে তিনি ভারত ভ্রমণের আসেন এবং এ দেশ সম্বন্ধে প্রন্থ রচনা করেন। ‘কিতাবুল রেহালা’ তার বিখ্যাত গ্রন্থ।

ইবনে খালদুন [তিউনিসিয়া]
জন্ম-মৃত্যু: ১৩৩২-১৪০৬
বিশেষ তথ্য: তার প্রকৃত নাম ওয়ালি উদ্দিন আব্দুর রহমান ইবনে মুহাম্মাদ খালদুন। তিনি বিখ্যাত মুসলিম দার্শনিক। ‘আল মুকাদ্দিমা’ গ্রন্থের রচয়িতা। তার বিখ্যাত গ্রন্থ ‘কিতাবুল ইবার’। তিনি ‘আসাবিয়া’ (গোষ্ঠী সংহতির) প্রত্যয়য়টি ব্যখ্যা করেন।

ক্রিশ্চিয়ান বার্নাড [দক্ষিণ আফ্রিকা]
জন্ম-মৃত্যু: ১৯২২-২০০১
বিশেষ তথ্য: দক্ষিণ আফ্রিকার শল্য চিকিৎসক। তিনি প্রথম ১৯৮৭ সালে একের হৃৎপিন্ড সফলভাবে অপরের শরীরে সংযোজন করেন।

আনোয়ার সাদাত [মিশর]
জন্ম-মৃত্যু: ১৯১৮-১৯৮১
বিশেষ তথ্য: তিনি মিশরের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ১৯৬০ সালে মিশরের জাতীয় পরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ১৯৬৪ সালে উক্ত পরিষদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ১৯৭০ সালে জামাল আবদুল নাসেরের মৃত্যুর পর তিনি মিশরের পক্ষে ইসরাইলের সাথে ক্যাম্প ডেভিড চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। ১৯৭৮ সালে তিনি প্রথম মুসলিম হিসাবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

নেলসন ম্যান্ডেলা [দক্ষিণ আফ্রিকা]
জন্ম-মৃত্যু: ১৯১৮-৫ ডিসেম্বর, ২০১৩
বিশেষ তথ্য: দক্ষিণ আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গ জাতীয়তাবাদী নেতা। ১৯৬৮ সাল থেকে রোবেন দ্বীপে দীর্ঘ ২৭ বছর কারা ভোগের পর ১৯৯০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পান।
১৯৯৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ডি. ক্লার্কের সাথে যুগ্মভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তিনি ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট।

জুলিয়াস নায়েরে [তানজানিয়া]
জন্ম-মৃত্যু: ১৯২২-১৯৯৯
বিশেষ তথ্য: আফ্রিকার তানজানিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা এবং তানজানিয়ার প্রথম প্রেসিডেন্ট।

ইদি আমিন [উগান্ড]
জন্ম-মৃত্যু: ১৯২৫-২০০৩
বিশেষ তথ্য: উগান্ডার সাবেক প্রেসিডেন্ট। দেশের সাবেক চ্যাম্পিয়ন মুষ্ঠিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে সামরিক অভ্যুন্থানের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট মিল্টন ওবেতকে উৎখাত করে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। ১৯৭৯ সালে যোশেফ লুলে তাঞ্জানীর বাহিনীর সহায়তার ইদি আমিনকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। ২০০৩ সালে সৌদি আরবে নির্বাসিত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তাকে ‘উগান্ডা তথা আফ্রিকার কসাই’ বলা হয়।

4)           উত্তর আমেরিকা মহাদেশ


জর্জ ওয়াশিংটন [যুক্তরাষ্ট্র]
জন্ম-মৃত্যু: ১৭৩২-১৭৯৯
বিশেষ তথ্য: তিনি সৈনিক, রাজনীতিবিদ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ১৭৮৯ সাল থেকে ১৭৯৭ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। আমেরিকার স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় ১৭৭৬ সাল থেকে ১৭৮৩ সাল পর্যন্ত তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সেনাধ্যক্ষ ছিলেন। স্বাধীনতার জনক হিসেবে পরিচিত।

আব্রাহাম লিঙ্কন [যুক্তরাষ্ট্র]
জন্ম-মৃত্যু: ১৮০৯-১৮৬৫
বিশেষ তথ্য: প্রথম জীবনে একজন আইনবিদ ছিলেন। পরবর্তীকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেৱর ১৬তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং ১৮৬১ থেকে ১৮৬৫ পর্যন্ত দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ১৮৬৩ সালে তিনি আমেরিকার ক্রীতদাস প্রথার বিলোপ সাধন করেন। তিনি গতন্ত্রের সর্বজনস্বীকৃত সংজ্ঞা প্রদান করেছেন।
১৮৬৫ সালে গুপ্তঘাতক কর্তৃক নিহত হন।


টমাস আলভা এডিসন [যুক্তরাষ্ট্র]
জন্ম-মৃত্যু: ১৮৪৭-১৯৩১
বিশেষ তথ্য: তিনি আমেরিকার একজন বিখ্যাত আবিস্কারক। প্রথমে সংবাদপত্র বিক্রেতা এবং পরে টেলিগ্রাফ অপারেটর হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি ফটোগ্রাফ, বৈদ্যুতিক বাতি, সিনেমা প্রজেক্টর প্রভৃতি আবিষ্কার করেন।

উড্রো উইলসন [যুক্তরাষ্ট্র]
জন্ম-মৃত্যু: ১৮৫৬-১৯২৪
বিশেষ তথ্য: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৮তম প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি লিগ অব নেশনস বা জাতিপুঞ্জের প্রধান উদ্যোক্তা। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে ফ্রান্সের ভার্সাই নগরীতে ১৯১৮ সালে চৌদ্দ দফা পেশ করেন। ১৯১৮ সালে শান্তিতে ২য় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নোবেল পুরস্কার পান। তিনি ‘New Freedom’ গ্রন্থের রচয়িতা।


হেলেন কিলার [যুক্তরাষ্ট্র]
জন্ম-মৃত্যু: ১৮৮০-১৯৬৮
বিশেষ তথ্য: বল্য অন্ধ ও বধির মর্কিন সমাজসেবিকা। তিনি অন্ধ ও বধির হওয়া সত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ শিক্ষা লাভ করেন। তিনি বিশ্বব্যাপী অন্ধ ও বধীরদের কল্যাণের জন্যে কাজ করেন। তার প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলির মধ্যে রয়েছে দ্য স্টেরি অব মাই লাইফ, লেট আস হ্যাভ ফেইথ, দ্যা ওয়ার্ল্ড আই লিভ ইন, ওপেন ডোর ইত্যাদি।

আইজেন হাওয়ার [যুক্তরাষ্ট্র]
জন্ম-মৃত্যু: ১৮৯০-১৯৬৯
বিশেষ তথ্য: তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ৩৪তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ১৯৫৩ সাল থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি মিত্রবাহিনীর পশ্চিম অঞ্চলের প্রধান কমান্ডার ছিলেন।


মিলহাউস রিচার্ড নিক্সন [যুক্তরাষ্ট্র]
জন্ম-মৃত্যু: ১৯১৩-১৯৯৪
বিশেষ তথ্য: যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭তম প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ১৯৭২ সালের নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পাটির প্রধান অফিস ভবন ওয়াটারগেটে আড়িপাতাকে কেন্দ্র করে তিনি ১৯৭৪ সালের ৯ আগস্ট প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ইস্তফা দান করতে বাধ্য হন। ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির সাথে তার নামটি জড়িত ছিল তবে সম্প্রতি তাকে এই কেলেঙ্কারি থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

হেনরি কিসিঞ্জার [যুক্তরাষ্ট্র]
জন্ম-মৃত্যু: ১৩২৩-
বিশেষ তথ্য: হেনরি কিসিঞ্জার ছিলেন জার্মান বংশোদ্ভূত আমেরিকান শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, কূটনীতিবিদ। তার সম্পূর্ণ নাম হেঞ্জ আলফ্রেড হেনরি কিসিঞ্জার। তিনি ছিলেন সাবেক মর্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী । তার অক্লান্ত প্রচেষ্টায় মিশর, সিরিয়া ও ইসরাইলের মধ্যে [১৯৭৩, ১৯৭৪,১৯৭৮ সালে] শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তার রচিত গ্রন্থের নাম দ্য হোয়াইট হাউজ ইয়ার্স। ১৯৭৩ সালে তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন।


জন এফ কেনেডি [যুক্তরাষ্ট্র]
জন্ম-মৃত্যু: ১৯১৭-১৯৬৩
বিশেষ তথ্য: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫তম প্রেসিডেন্ট। ইতিহাসে তিনি JFK নামেও পরিচিত। ১৯৬১ সাল থেকে ১৯৬৩ সালে নিহত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। দ্বিতয়ি বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে Motor Torpedo Boat PT- 109 এর কমান্ডর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছিলেন স্নায়ুযুদ্ধের অন্যতম নায়ক। ১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বর লীহাভে অসওয়াল্ড নামে এক আততায়ীর হাতে টেক্সাসের ডালাসে নির্মমভাবে নিহত হন।

মার্টিন লুথার কিং [যুক্তরাষ্ট্র]
জন্ম-মৃত্যু: ১৯২৯-১৯৬৮
বিশেষ তথ্য: আমেরিকার নিগ্রোদের নাগরিক অধিকার আন্দেলনের নেতা। ১৯৬৪ সালে মাত্র ৩৫ বছর বয়সে তিনি শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৬৩ সালে I Have a Dream শীর্ষক বিখ্যাত ভাষণটি প্রদান করেন। ১৯৬৮ সালের ৫ এপ্রিল গুপ্তঘাতক কর্তৃক নিহত হন।

ফিদেল ক্যাস্ট্রো [কিউবা]
জন্ম-মৃত্যু: ১৯২৭-বর্তমান
বিশেষ তথ্য: ফিদেল ক্যাস্ট্রো কিউবান রাজনৈতিক নেতা ও সমাজতন্ত্রী বিপ্লবী। কিউবার বিপ্লবের প্রধান নেতা। কিউবার প্রধামন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করে। পরে তিনি ১৯৬০ সালে কিউবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং ২০০৮ পর্যন্ত দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনিই কিউবাকে সমাজতান্ত্রিক একটি দেশ হিসেবে ঘোষণা করেন।

মোহাম্মদ আলী [যুক্তরাষ্ট্র]
জন্ম-মৃত্যু: ১৯৪২-বর্তমান
বিশেষ তথ্য: আমেরিকান বিখ্যাত মুষ্টিযোদ্ধা। পূর্বনাম ক্যাসিয়াস মারকেলাস ক্লে জুনিয়র। ১৯৭৫ সালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেলে নাম পরির্বন করে বর্তমান নাম ধারণ করেন। ১৯৬০ সালে অলিম্পিক লাইট হেভিওয়েট এবং ১৯৬৪ সালে প্রথম বিশ্ব হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়নের মর্যাদা লাভ করেন।
১৯৯৯ সালে মুহাম্মদ আলীর নাম বিবিসি এবং স্পোর্টস ইলাট্রেটেড স্পোর্টসম্যান অব দ্যা সেঞ্চুরি হিসেবে ঘোষণা করে।


পাবলো নেরুদা [চিলি]
জন্ম-মৃত্যু: ১৯০৪-১৯৭৩
বিশেষ তথ্য: চিলির কূটনীতিবিদ ও সাহিত্যিক। ১৯৭১ সালে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন। চিলির সাময়িক অভ্যূন্থানের পর ১৯৭৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। কলম্বিয়ান ঔপন্যাসিক গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস নেরুদাকে ‘বিংশ শতাব্দীর সকল ভাষার শ্রেষ্ঠ কবি’ বলে বর্ণনা করেন।

চে-গুয়েভারা [আর্জেন্টিনা]
জন্ম-মৃত্যু: ১৯২৮-১৯৬৭
বিশেষ তথ্য: আর্জেন্টিনায় জন্মগ্রহণ করেন। একাধারে ছিলেন মার্ক্সবাদী, বিপ্লবী, চিকিৎসক গেরিলা নেতা। তিনি কিউবায় ফিদেল ক্যাস্ট্রো সরকারের মন্ত্রী ছিলেন এবং কিউবার বিপ্লবের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব। ল্যাটিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশের বিপ্লবের অগ্রপথিক। তার বিখ্যাত গ্রন্থের নাম গেরিলা ওয়ারফেয়ার’। বলিভিয়ার বিপ্লব পরিচালনার সময় ১৯৬৭ সালের অক্টোবরে সরকারি সৈন্যদের গুলিতে নিহত হন।


হুগো শ্যাভেজ [ভেনিজুয়েলা]
জন্ম-মৃত্যু: ১৯৫৪-২০১৩
বিশেষ তথ্য: ভেনিজুয়েলার সাবেক প্রেসিডেন্ট। মার্কিন প্রেসিডেন্টের কট্ট্রর সমালোচক। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০১৩ সালের ৫ মার্চ মারা যান।


পেলে [ব্রাজিল]
জন্ম-মৃত্যু: ১৯৪০-বর্তমান
বিশেষ তথ্য: ব্রাজিলের বিশ্ববিখ্যাত ফুটবর খেলোয়াড়। তাকে ফুটবলের জাদুকর বলা হয়। তিনি ১৯৭১ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবল এবং ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর হতে প্রথম শ্রেনীর ফুটবল খেলা হতে অবসর গ্রহণ করেন।

5)           ওশেনিয়া মহাদেশ


স্যার ডন ব্রাডম্যন
জন্ম-মৃত্যু: ১৯০৮-২০০১
বিশেষ তথ্য: অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটার। যাকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ক্রিকেটার বলা হয়। টেস্ট ক্রিকেটে তার গড় রান ৯৯.৯৪ যা এখনও পর্যন্ত বিশ্বের সর্বোচ্চ গড়ের রেকর্ড। ব্রাডম্যান এই রেকর্ড মাত্র ৫২টি টেস্ট ম্যাচ খেলে সংগ্রহ করেন।

হেলেন ক্লার্ক [নিউজিল্যান্ড]
জন্ম-মৃত্যু: ১৯৫০-বর্তমান
বিশেষ তথ্য: নিউজিল্যান্ডের সাবেক মহিলা প্রধানমন্ত্রী। তার রাজনৈতিক দলের নাম লেবার পার্টি। ১৯৯৯ সালে তিনি ক্ষমতা গ্রহণ করেছিলেন এবং ২০০৮ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। ২০১০ সালের ৯ ডিসেম্বর ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র (ইউআইএসি) উদ্বোধনীর অংশ হয়ে বাংলাদেশে প্রথম বারের মতো ভ্রমণ করেন।


কেভির নাড [অস্ট্রেলিয়া]
জন্ম-মৃত্যু: ১৯৫৭-বর্তমান
বিশেষ তথ্য: অস্ট্রেলিযার সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তার রাজনৈতিক দলের নাম লেবার পার্টি। ২০০৭ সাল তিনি ক্ষমতায় এসেছিলেন। এবং ২০১০ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।


জুলিয়া গিলার্ড [অস্ট্রেলিয়া]
জন্ম-মৃত্যু: ১৯৬১-বর্তমান
বিশেষ তথ্য: অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান ও প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী। ১০ জুন ২০১০ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছেন। তিনি লেবার পার্টির মনোনীত সদস্য। ১৯৮৮ সালে হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভে প্রথম মনোনীত হন।



প্রয়োজনীয় সব বাংলা 🕮ই-বুক

প্রয়োজনীয় সব বাংলা 🕮ই-বুক বা বই, 💻সফটওয়্যার ও 🎬টিটোরিয়াল কালেকশ সংগ্রহ করতে!
আপনারা সামান্য একটু সময় ব্যয় করে ,শুধু এক বার নিচের লিংকে ক্লিক করে এই কালেকশ গুলোর মধ্যে অবস্থিত বই ও সফটওয়্যার এর নাম সমূহের উপর চোখ বুলিয়ে 👓👀 নিন।”তাহলেই বুঝে যবেন কেন এই ফাইল গুলো আপনার কালেকশনে রাখা দরকার! আপনার আজকের এই ব্যয়কৃত সামান্য সময় ভবিষ্যতে আপনার অনেক কষ্ট লাঘব করবে ও আপনার অনেকে সময় বাঁচিয়ে দিবে।
বিশ্বাস করুন আর নাই করুনঃ-“বিভিন্ন ক্যাটাগরির এই কালেকশ গুলোর মধ্যে দেওয়া বাংলা ও ইংলিশ বই, সফটওয়্যার ও টিউটোরিয়াল এর কালেকশন দেখে আপনি হতবাক হয়ে যাবেন !”
আপনি যদি বর্তমানে কম্পিউটার ব্যবহার করেন ও ভবিষ্যতেও কম্পিউটার সাথে যুক্ত থাকবেন তাহলে এই ডিভিডি গুলো আপনার অবশ্যই আপনার কালেকশনে রাখা দরকার !
মোট কথা আপনাদের কম্পিউটারের বিভিন্ন সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান ও কম্পিউটারের জন্য প্রয়োজনীয় সব বই, সফটওয়্যার ও টিউটোরিয়াল এর সার্বিক সাপোর্ট দিতে আমার খুব কার্যকর একটা উদ্যোগ হচ্ছে এই ডিভিডি প্যাকেজ গুলো।আশা করি এই কালেকশন গুলো শিক্ষার্থীদের সকল জ্ঞানের চাহিদা পূরন করবে…!
আমার আসল উদ্দেশ্য হল, কম্পিউটার ও মোবাইল এইডেড লার্নিং ডিভিডি কার্যক্রম এর মাধ্যমে সফটওয়্যার, টিটোরিয়াল ও এইচডি কালার পিকচার নির্ভর ই-বু বা বইয়ের সহযোগিতায় শিক্ষাগ্রহন প্রক্রিয়াকে খুব সহজ ও আনন্দদায়ক করা।
এবং সকল স্টুডেন্ট ও টিচারকে কম্পিউটার ও মোবাইল প্রযুক্তির সম্পৃক্তকরণ এবং সকল শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের প্রযুক্তিবান্ধব করা এবং একটা বিষয় ক্লিয়ার করে বুঝিয়ে দেওয়া যে প্রযুক্তি শিক্ষাকে আনন্দদায়ক করে এবং জ্ঞান অর্জনের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি করে…
🎯 কালেকশ সম্পর্কে বিস্তারিত 👀জানতেঃ নিচের লিংকে 👆ক্লিক করুন
www.facebook.com/tanbir.ebooks/posts/777596339006593

এখানে👆 ক্লিক করুন

🎯 সুন্দর ভাবে বুঝার জন্য নিচের লিঙ্ক থেকে ই-বুক্টি ডাউনলোড করে নিন...
📥 ডাউনলোড 👆 লিংকঃ এখানে👆ক্লিক

আপডেট পেতে

আপডেট ই-বুক

Recent Posts

মন্তব্য দিন

আমার সম্পর্কে !