ভিজিটর সংখ্যা

জনপ্রিয়

T@NB!R ব্লগ সংরক্ষাণাগার

Blogger দ্বারা পরিচালিত.

Social

Random Post

নাম

your name

ইমেল *

Your Email

বার্তা *

your message

Pages

Like Us On Facebook

Popular Posts

শুক্রবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৮

postheadericon সময়ের কাজ সময়ে করা ...লাইফে সফলতার চরম শিখরে পৌঁছাতে সবার আগে যে সমস্যার সমাধান করা উচিত


ঢিলেমি, কাজ ফেলে রাখা বা দীর্ঘসূত্রিতা শুধু একটি বদ অভ্যাসই নয়, এটি একটি অভিশাপ। 
আপনি যদি বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই সময়ের কাজ সময়ে করতে না পারেন, কাজ ফেলে রেখে রেখে একদম শেষ সময় পর্যন্ত নিয়ে আসেন; এবং সামান্য সময়ে অনেক কাজ করতে বাধ্য হনতবে আপনার মাঝে ঢিলেমির সমস্যা আছে।  তবে এই অভিশাপ একমাত্র আপনার ঘাড়ে নয়, পৃথিবীর ২০% মানুষই এই অভিশাপের শিকার।
হাতে জরুরী কাজ থাকা সত্ত্বেও এই ধরনের মানুষেরা অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।একদম শেষ সময়ে গিয়ে এদের টনক নড়ে – আর তখন নাকেমুখে কোনওরকমে কাজটি তারা শেষ করে। অনেক সময়ে কাজ শেষও করতে পারে না।
আজকের এই লেখায় আমরা নির্দিষ্ট করে আপনাকে জানাবো যে, কারা আসলে এই ঢিলেমি বেশি করে, এবং এর কারণ কি?যাতে আপনি বুঝতে পারেন আপনি এদের দলে পড়েন কি-না।এবং সেই সাথে আপনি জানতে পারবেন, এই আলাদা আলাদা ঢিলেমি করা দলের মানুষের সমস্যাগুলোর আলাদা আলাদা সমাধান। 

কাজ ফেলে রাখা বা ঢিলেমি আসলে কি?
 The Procrastination Equation: How to Stop Putting Things Off and Start Getting Stuff Done,” বইয়ের লেখক পিয়ার্স স্টিল লিখেছেন, “দেরি করলে ক্ষতি হয়ে যাবে, এটা জানার পরও ইচ্ছে করে সময়ের কাজ সময়ে না করার নামই ঢিলেমি বা দীর্ঘসূত্রিতা”।
অন্যকথায়, ঢিলেমি হলো জরুরী কিন্তু কষ্টকর কাজ বাদ দিয়ে যতক্ষণ পারা যায় সহজ ও বেশি উপভোগ্য কাজ করা।  এর ফলে সত্যিকার প্রয়োজনীয় কাজ একদম শেষ সময়ে গিয়ে ঠেকে।  এর খুব কমন একটি উদাহরণ হতে পারে পুরো সেমিস্টার মজা ও অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় কাজ করে একদম পরীক্ষার আগে আগে নাকে মুখে পুরো সিলেবাস কাভার করার চেষ্টা করা।
ঢিলেমি বন্ধ করা / সময়ের কাজ সময়ে করা এত কষ্টকর কেন?
আমরা সবাই কমবেশি ঢিলেমির কুফলগুলো জানি; ঢিলেমি করার খেসারতও প্রায় সবাইকেই জীবনে দিতে হয়েছে।  কিন্তু তারপরও শত চেষ্টা আর ইচ্ছার পরও এটা কেন বন্ধ করা যায় না?
অনেক সময়েই হয়তো আপনি ভেবেছেন, এর পরের সেমিস্টারে আমি ঠিকমত পড়বো, বা এর পরের প্রজেক্টে কাজ ফেলে রেখে সময় নষ্ট করে একদম ডেডলাইনের শেষে নিয়ে যাবো না। কিন্তু সময় আসলে দেখা যায় আপনি ঠিকই অপ্রয়োজনীয় কাজে সময় নষ্ট করছেন।  এতে নিজের ওপর আপনার দারুন রাগ হয়, মাথার চুল ছিঁড়তে ইচ্ছে হয়।  কিন্তু এই অভিশাপ থেকে আপনি মুক্ত হতে পারেন না।  দুই একদিন বা সপ্তাহ খানেক চেষ্টা করার পর আবার ‘ব্যাক টু দ্য প্যাভিলিয়ন’ হয়ে যায়।
আপনাকে একটা কথা বলে রাখি, এটা আসলে পুরোপুরি আপনার দোষ নয়।  মানুষের জন্মগত স্বভাবই আসলে সহজ জিনিসটি বেছে নেয়া।  আমাদের মস্তিষ্কই আমাদের কঠিন কাজ বাদ দিয়ে মজার ও সহজ কাজটি করতে উ‌ৎসাহিত করে।  আর এই কারণে এ্যাসাইনমেন্ট বা রিসার্চের কাজ করার চেয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা ইউটিউবে বিড়াল-কুকুরের ফানি ভিডিও দেখতে, বিখ্যাত সোশ্যাল মিডিয়া সেলিব্রেটিদের মূল্যহীন কথা শুনে হেসে গড়াগড়ি খেতে আমাদের ভালো লাগে।
আবার দিনের পর দিন এই কাজ করতে করতে সেটা আমাদের অভ্যাসে পরিনত হয়।  আর একবার অভ্যাস হয়ে গেলে সেখান থেকে মুক্তি পাওয়াটা শুধু ইচ্ছার ওপরই নির্ভর করে না, তার জন্য কিছু বিষয় জানা ও কৌশল অবলম্বনের দরকার হয়।
ঢিলেমির সাথে বেশ কিছু মনোদৈহিক বিষয় জড়িত, যা সব সময়ে আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে না। আমেরিকার ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটির সাইকোলজির অধ্যাপক ও গবেষক ড.রয় ব্যাউমিইস্টার আত্ম নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বহুদিন ধরে গবেষণা করে আসছেন।  তাঁর মতে, মানুষ নিজেকে কতটা বা কতক্ষণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে – তার একটা সীমা আছে।  কাজ করার এক পর্যায়ে আমাদের পেশী যেমন ক্লান্ত হয়, আত্ম নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতাও তেমনি ক্লান্ত হয়।  আপনি যে ব্যাপারেই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে চান না কেন, মস্তিষ্কের একটি নির্দিষ্ট অংশকে তার পেছনে খাটতে হয়।  মস্তিষ্কেরও একটা এনার্জি লিমিট আছে – এই লিমিট বা সীমা পার হয়ে গেলে সে-ও ক্লান্ত হয়ে পড়ে।  সে যখন একেবারেই কাজ করতে পারে না, তখন ঘুমিয়ে পড়ে।  কিন্তু ঘুমের আগেও একটু একটু করে যখন তার এনার্জি খরচ হতে থাকে – তখন তার ফাংশানগুলো পুর্ণ ক্ষমতায় কাজ করতে পারে না।
যাই হোক, নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ করতে করতে একটা সময়ে হয়তো আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়লেন – আর তখনই মস্তিষ্কের আদিম স্বভাব মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে – অর্থা‌ৎ সে আপনাকে আরাম ও আনন্দের দিকে নিয়ে যায়। মস্তিষ্কের গঠনই এমন; সে তার শরীরকে সব সময়ে নিরাপদে ও সুখে রাখতে চায়।  বিছানা দেখলেই আমাদের শুয়ে পড়তে ইচ্ছে হয় – যদি তা আমরা ছবিতেও দেখি – তবুও।  কিন্তু যুদ্ধ দেখলে খুব কমই আমাদের তার মাঝে ঝাঁপিয়ে পড়ার ইচ্ছে হয়।  এটা মস্তিষ্কের জন্মগত নিরাপদ থাকতে চাওয়ার প্রক্রিয়া বা Survival instinct.
অবচেতনে আমরা জানি যে পড়া বা কাজ করার চেয়ে ইউটিউবে ভিডিও দেখা বা ফেসবুকে চ্যাট করা অনেক কম কষ্টের কাজ। আমাদের অবচেতন মন আসলে আমাদের কষ্ট থেকে দূরে রাখতে চায়, আর তাই সে ঢিলেমিকে কাজ এড়ানোর অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে।  সে আমাদের বোঝায় যে কাজতো পরেও করা যাবে, হাতে তো সময় আছেই – এখন একটু সময়ের জন্য উপভোগ করলে তেমন কোনও ক্ষতি নেই।
একারণেই অনেক সময়ে পড়তে বসে আমাদের মনে হয়, খেলার স্কোরটা চট করে একটু দেখে আসি, একটা গান শুনে পড়তে বসি, আর একটা ফান ভিডিও দেখে মনটাকে চাঙ্গা করে নিই।
কিন্তু বেশিরভাগ সময়ে দেখা যায়, খেলার স্কোর দেখতে গিয়ে পুরো খেলাটাই দেখা হয়ে যায়, একটা গান থেকে পাঁচটা গান হয়ে যায়, একটা ৫ মিনিটের ভিডিও দেখতে গিয়ে মোটামুটি দশ-বারোটি ভিডিও দেখা হয়ে যায়।  তারপরও যখন টনক নড়ে – তখন মনে হয়, আর একটু সময় মজা করলে ক্ষতি কি? সময় তো আছেই।  আর এভাবেই আপনার নিজের মস্তিষ্ক আপনার সাথে প্রতারণা করতে করতে আপনাকে একদম খাদের কিনারে এনে ফেলে।  
কাজেই বুঝতে পারছেন, ঢিলেমি বা দীর্ঘসূত্রিতা থেকে মুক্তি পাওয়ার প্রক্রিয়াটি আসলে মানুষের একদম আদিম বৈশিষ্টের সাথে সরাসরি যুদ্ধ করা।  এটি মানুষের একটি জন্মগত দুর্বলতা, আবার শক্তিও বটে।  যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রবণতা  কারণে মানুষ যুদ্ধ জয় করে, প্রকৃতির সাথে লড়াই করে টিঁকে থাকে, সেই একই প্রবণতার সাথে যুদ্ধ করে না পেরে আমরা জীবন যুদ্ধে হেরে যাই। 
কিন্তু এই হেরে যাওয়াটা আপনার নিয়তি নয়।  সঠিক উপায় অবলম্বন করতে পারলে আপনি এই যুদ্ধে জয়ী হয়ে জীবন যুদ্ধেও বিজয়ী হতে পারবেন।
চলুন ধাপে ধাপে আমরা ঢিলেমির শিকার কারা বেশি হয় ও এর বিরুদ্ধে যুদ্ধের কৌশল জেনে নিই:

৫ ধরনের ঢিলেমি ও এর শিকার হওয়া মানুষ:
এটা জানা আপনার এজন্য দরকার, যাতে করে আপনি বুঝতে পারেন আসলে আপনার ঢিলেমি স্বভাবের উ‌ৎস কি? এবং আপনার জন্য কোন ব্যবস্থাটি সবচেয়ে ভালো হবে।
বিভিন্ন ধরনের মানুষ বিভিন্ন কারণে ঢিলেমি করে।  মনোবিজ্ঞানীরা মূল ৫টি ক্যাটাগরিতে এদের ভাগ করেছেন।  আপনার মাঝে যদি ঢিলেমির স্বভাব থেকে থাকে, তবে দেখে নিন আপনি কোন ক্যাটাগরিতে পড়েন।
ক্যাটাগরি গুলো হলো, পারফেকশনিস্ট, উটপাখি, আত্মবিধ্বংসী, অতি সাহসী, প্রতারক। 

০১. পারফেকশনিস্ট
এরা সবকিছু একদম পারফেক্ট ভাবে করতে চায়।  কাজের কোথাও কোনও খুঁত থাকা চলবে না।  কিন্তু এই স্বভাবের কারণে তারা কাজে ভুল হওয়া বা কাজে খুঁত থাকাকে অতিরিক্ত ভয় পায়।  ফলে অনেক সময়েই তারা সময় মতো কোনও কাজ করতে ব্যর্থ হয়, কারণ তাদের চোখে কোনও কাজের আয়জন ও সময় একদম মোক্ষম না হলে তারা কোনও কাজ শুরুই করতে পারে না। 
কিন্তু বেশিরভাগ সময়েই সেই মোক্ষম আয়োজন আর সময় আসে না – তাই কাজও করা হয়ে ওঠে না।  ওদিকে সময়ের মতো করে সময় চলে যেতে থাকে।  কাজের আয়োজন করা আর ভাবনা ভাবতে ভাবতেই আসল কাজের সময় চলে যেতে থাকে।  কিন্তু তারা সেই পারফেকশনের আবর্তেই ঘুরপাক খেতে খেতে সময় নষ্ট করতে থাকে।
উদাহরন হিসেবে একজন বিসিএস ক্যান্ডিডেটের কথা ধরা যাক।  তার স্বপ্ন সে সরকারী বড় পদে কাজ করবে।  তার মেধা ও যোগ্যতার কোনও অভাবও নেই।  কিন্তু প্রতিবারই তার মনে হয়, “এবার দিলে হবে না – আমি এখনও যথেষ্ঠ যোগ্য হয়ে উঠতে পারিনি।  পরের বার চেষ্টা করে দেখবো”।  এমন করতে করতে হয়তো দেখা যায়, এই পারফেকশনিস্ট এক বা একাধিক পরীক্ষাই মিস করে ফেলল।  এই স্বভাবের কারণে অনেকেই অনেক সুযোগ কাজে লাগাতে পারে না।

প্রয়োজনীয় সব বাংলা 🕮ই-বুক

প্রয়োজনীয় সব বাংলা 🕮ই-বুক বা বই, 💻সফটওয়্যার ও 🎬টিটোরিয়াল কালেকশ সংগ্রহ করতে!
আপনারা সামান্য একটু সময় ব্যয় করে ,শুধু এক বার নিচের লিংকে ক্লিক করে এই কালেকশ গুলোর মধ্যে অবস্থিত বই ও সফটওয়্যার এর নাম সমূহের উপর চোখ বুলিয়ে 👓👀 নিন।”তাহলেই বুঝে যবেন কেন এই ফাইল গুলো আপনার কালেকশনে রাখা দরকার! আপনার আজকের এই ব্যয়কৃত সামান্য সময় ভবিষ্যতে আপনার অনেক কষ্ট লাঘব করবে ও আপনার অনেকে সময় বাঁচিয়ে দিবে।
বিশ্বাস করুন আর নাই করুনঃ-“বিভিন্ন ক্যাটাগরির এই কালেকশ গুলোর মধ্যে দেওয়া বাংলা ও ইংলিশ বই, সফটওয়্যার ও টিউটোরিয়াল এর কালেকশন দেখে আপনি হতবাক হয়ে যাবেন !”
আপনি যদি বর্তমানে কম্পিউটার ব্যবহার করেন ও ভবিষ্যতেও কম্পিউটার সাথে যুক্ত থাকবেন তাহলে এই ডিভিডি গুলো আপনার অবশ্যই আপনার কালেকশনে রাখা দরকার !
মোট কথা আপনাদের কম্পিউটারের বিভিন্ন সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান ও কম্পিউটারের জন্য প্রয়োজনীয় সব বই, সফটওয়্যার ও টিউটোরিয়াল এর সার্বিক সাপোর্ট দিতে আমার খুব কার্যকর একটা উদ্যোগ হচ্ছে এই ডিভিডি প্যাকেজ গুলো।আশা করি এই কালেকশন গুলো শিক্ষার্থীদের সকল জ্ঞানের চাহিদা পূরন করবে…!
আমার আসল উদ্দেশ্য হল, কম্পিউটার ও মোবাইল এইডেড লার্নিং ডিভিডি কার্যক্রম এর মাধ্যমে সফটওয়্যার, টিটোরিয়াল ও এইচডি কালার পিকচার নির্ভর ই-বু বা বইয়ের সহযোগিতায় শিক্ষাগ্রহন প্রক্রিয়াকে খুব সহজ ও আনন্দদায়ক করা।
এবং সকল স্টুডেন্ট ও টিচারকে কম্পিউটার ও মোবাইল প্রযুক্তির সম্পৃক্তকরণ এবং সকল শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের প্রযুক্তিবান্ধব করা এবং একটা বিষয় ক্লিয়ার করে বুঝিয়ে দেওয়া যে প্রযুক্তি শিক্ষাকে আনন্দদায়ক করে এবং জ্ঞান অর্জনের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি করে…
🎯 কালেকশ সম্পর্কে বিস্তারিত 👀জানতেঃ নিচের লিংকে 👆ক্লিক করুন
www.facebook.com/tanbir.ebooks/posts/777596339006593

এখানে👆 ক্লিক করুন

🎯 সুন্দর ভাবে বুঝার জন্য নিচের লিঙ্ক থেকে ই-বুক্টি ডাউনলোড করে নিন...
📥 ডাউনলোড 👆 লিংকঃ এখানে👆ক্লিক

আপডেট পেতে

আপডেট ই-বুক

Recent Posts

মন্তব্য দিন

আমার সম্পর্কে !