ভিজিটর সংখ্যা

জনপ্রিয়

T@NB!R ব্লগ সংরক্ষাণাগার

Blogger দ্বারা পরিচালিত.

Social

Random Post

নাম

your name

ইমেল *

Your Email

বার্তা *

your message

Pages

Like Us On Facebook

Popular Posts

সোমবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৮



ধনী হতে কে না চায় বলুন কিন্তু এটা তো আর ছেলের হাতের মোয়া নয় যে চাইলেই ধনী হওয়া যাবে। খুব সহজ কৌশলে কিন্তু আপনি, হ্যাঁ আপনিও হয়ে উঠতে পারেন আগের চাইতে ধনী।
টাকা জীবনের সবকিছু নয়, কিন্তু তার পরেও টাকার জন্য বহু মানুষ পাগলপ্রায় হয়ে যায়। তাদের টাকা উপার্জনের ইচ্ছাকে বাস্তব রূপদানের জন্য প্রয়োজন কিছু পদক্ষেপের। এ কাজগুলো সহজ নয়। তবে লেগে থাকলে এতে সফলতা অর্জন করা সম্ভব।
প্রথমে জেন নি ১০ জন ধনী ব্যক্তির মতামত
বিল গেটস = বিনিয়োগ: অনেকেই আমরা রোজগার শুরু করার অনেক পর বিনিয়োগ শুরু করি। বেশি লাভ পেতে অল্প বয়স থেকে বিনিযোগ শুরু করুন। যত আগে থেকে শুরু করবেন তত বেশি রিটার্ন পাবেন।
ওয়ারেন বাফে = অটোমেটিক সঞ্চয়: খরচ কমানোর সবচেয়ে ভাল উপায় এটা। ব্যাঙ্ক চেকিং অ্যাকাউন্টের সঙ্গে রেকারিং সেভিংস অ্যাকাউন্টে অটোমেটিক লিঙ্ক করিয়ে রাখুন। যাতে প্রতি মাসে নিজে থেকেই সঞ্চয় হয়।
স্টিভ জবস = অবদান বাড়ান: অল্প বিনিয়োগ দিয়ে শুরু করলেও প্রতি বছর অন্তত এক শতাংশ করে বাড়াতে থাকুন। প্রতি বছর বেতন যেমন বাড়ে তেমনই বিনিয়োগের পরিমাণও বাড়ান। আয়ের অন্তত ২০ শতাংশ বিনিয়োগে লাগান।
মার্ক জুকারবার্গ = ক্রেডিট কার্ড ব্যালান্স: বেশি সুদযুক্ত ঋণ বয়ে চললে কখনই ধনী হতে পারবেন না। তাই প্রতি মাসে ন্যূনতম বিল নয়, বেশি করে টাকা দিয়ে তাড়াতাড়ি ঋণ শোধ করুন।
এলিজাবেথ হোমস = মিতব্যয়: জীবনে খরচের ব্যাপারে সচেতন হন। পৃথিবীর ধনী ব্যক্তিই বেশ সাধারণ ভাবেই জীবন কাটিয়েছেন এক সময়। কিপটেমি নয়, তবে জীবনের অপ্রয়োজনীয় খরচ বাদ দিন।
মুকেশ অম্বানি = লোভ: লেটেস্ট মডেল, হাল ফ্যাশনের জিনিস কিনতে সকলেই চান। কিন্তু লোভ সম্বরণ করাও প্রয়োজন। খরচ করার সময় ভাবুন কোনটা আপনার প্রয়োজন, আর কোনটা শুধুই লোভে পড়ে বা দেখনদারির জন্য করছেন।
লক্ষ্মী মিত্তল = আয়ের উত্স: ধনী, সফল ব্যক্তিরা কখনই আয় বা বিনিয়োগের ব্যপারে একটা উত্‌সের উপর ভরসা করেন না। বিভিন্ন দিকে নিজেদে পোর্টফোলিও বাড়ান। অল্প বয়স থেকে আয়, বিনিয়োগ, সঞ্চয়ের একাধিক উত্স তৈরি করুন।
রতন টাটা = রিসার্চ: সফল বিনিয়োগকারীরা বাজারের ওঠানামা, বিভিন্ন বিনিয়োগ, সঞ্চয় পরিকল্পনা নিয়ে যথেষ্ট গবেষণা করেন। হুটহাট সিদ্ধান্ত না নিয়ে এই বিষয়ে নিজের জ্ঞান বাড়ান।
মিকি জাগিতানি = আয়ের উত্স: ধনী, সফল ব্যক্তিরা কখনই আয় বা বিনিয়োগের ব্যপারে একটা উত্‌সের উপর ভরসা করেন না। বিভিন্ন দিকে নিজেদে পোর্টফোলিও বাড়ান। অল্প বয়স থেকে আয়, বিনিয়োগ, সঞ্চয়ের একাধিক উত্স তৈরি করুন।
সুধা মূর্তি = দান: ধনী ব্যক্তিরা সকলেই দান, ধ্যান করেন। তাঁরা বিশ্বাস করেন দান করলে সম্পদ বাড়ে। আয়ের ১০ শতাংশ দান করুন। এতে আপনার আয়ও বাড়বে।

টাকার মোহ বাদ দিন
(১) এ বিষয়টি অর্থ উপার্জনের ইচ্ছের সঙ্গে অনেকটা সাংঘর্ষিক মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে শুধু টাকার দিকে তাকিয়ে থাকলে তা আপনাকে ‘অর্থলোভী’ উপাধিতে ভূষিত করবে। তার বদলে আপনাকে অর্থ উপার্জনের কাজ করতে হবে, যার ফসল হিসেবে আসবে অর্থ। অর্থাৎ সরাসরি অর্থলিপ্সু হওয়া যাবে না কোনোভাবেই।
যাদের সহায়তা করছেন, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন
(২) ধনী ও সফল ব্যক্তিদের খুবই সহায়তাকারী হিসেবে দেখা যায়। তারা সব সময় মানুষকে নানাভাবে সহায়তা করে এবং সহায়তাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরাই আবার তাদের ধনী হয়ে উঠতে সাহায্য করেন। এ কারণে আপনি যাদের সহায়তা করছেন, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। তারাই একসময় আপনাকে ধনী ও সফল হতে সাহায্য করবে।
কোটি টাকা উপার্জনের বদলে কোটি মানুষকে সাহায্যের কথা ভাবুন
(৩) আপনার যখন অল্প কয়েকজন গ্রাহক বা সেবাগ্রহিতা রয়েছেন তখন তাদের মাধ্যমে কোটি টাকা উপার্জন করার চিন্তা বাদ দিন। তার বদলে চিন্তা করুন, কিভাবে এ গ্রাহকদের ভালো সেবা দেওয়া যায়। এতে আপনার গ্রাহক সংখ্যা বাড়বে আর তাহলেই আপনার অর্থ উপার্জনের পথ সুগম হবে।
‘টাকা’ বাড়ানোর বদলে বাড়িয়ে নিন টাকা বাড়ানোর ‘পন্থা’
(৪) সরাসরি টাকা বাড়ানোর চেষ্টা খুব একটা কাজ করে না। কিন্তু তার বদলে টাকা বাড়ানোর নানা পন্থার ব্যবস্থা করা হলে তা এ লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে। উপার্জনের জন্য প্রতিনিয়ত নতুন নতুন পন্থার খোঁজ করা ও এই পন্থাগুলোকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা হলেই এ পদ্ধতি কাজ করবে।

শুক্রবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৮

postheadericon সময়ের কাজ সময়ে করা ...লাইফে সফলতার চরম শিখরে পৌঁছাতে সবার আগে যে সমস্যার সমাধান করা উচিত


ঢিলেমি, কাজ ফেলে রাখা বা দীর্ঘসূত্রিতা শুধু একটি বদ অভ্যাসই নয়, এটি একটি অভিশাপ। 
আপনি যদি বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই সময়ের কাজ সময়ে করতে না পারেন, কাজ ফেলে রেখে রেখে একদম শেষ সময় পর্যন্ত নিয়ে আসেন; এবং সামান্য সময়ে অনেক কাজ করতে বাধ্য হনতবে আপনার মাঝে ঢিলেমির সমস্যা আছে।  তবে এই অভিশাপ একমাত্র আপনার ঘাড়ে নয়, পৃথিবীর ২০% মানুষই এই অভিশাপের শিকার।
হাতে জরুরী কাজ থাকা সত্ত্বেও এই ধরনের মানুষেরা অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।একদম শেষ সময়ে গিয়ে এদের টনক নড়ে – আর তখন নাকেমুখে কোনওরকমে কাজটি তারা শেষ করে। অনেক সময়ে কাজ শেষও করতে পারে না।
আজকের এই লেখায় আমরা নির্দিষ্ট করে আপনাকে জানাবো যে, কারা আসলে এই ঢিলেমি বেশি করে, এবং এর কারণ কি?যাতে আপনি বুঝতে পারেন আপনি এদের দলে পড়েন কি-না।এবং সেই সাথে আপনি জানতে পারবেন, এই আলাদা আলাদা ঢিলেমি করা দলের মানুষের সমস্যাগুলোর আলাদা আলাদা সমাধান। 

কাজ ফেলে রাখা বা ঢিলেমি আসলে কি?
 The Procrastination Equation: How to Stop Putting Things Off and Start Getting Stuff Done,” বইয়ের লেখক পিয়ার্স স্টিল লিখেছেন, “দেরি করলে ক্ষতি হয়ে যাবে, এটা জানার পরও ইচ্ছে করে সময়ের কাজ সময়ে না করার নামই ঢিলেমি বা দীর্ঘসূত্রিতা”।
অন্যকথায়, ঢিলেমি হলো জরুরী কিন্তু কষ্টকর কাজ বাদ দিয়ে যতক্ষণ পারা যায় সহজ ও বেশি উপভোগ্য কাজ করা।  এর ফলে সত্যিকার প্রয়োজনীয় কাজ একদম শেষ সময়ে গিয়ে ঠেকে।  এর খুব কমন একটি উদাহরণ হতে পারে পুরো সেমিস্টার মজা ও অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় কাজ করে একদম পরীক্ষার আগে আগে নাকে মুখে পুরো সিলেবাস কাভার করার চেষ্টা করা।
ঢিলেমি বন্ধ করা / সময়ের কাজ সময়ে করা এত কষ্টকর কেন?
আমরা সবাই কমবেশি ঢিলেমির কুফলগুলো জানি; ঢিলেমি করার খেসারতও প্রায় সবাইকেই জীবনে দিতে হয়েছে।  কিন্তু তারপরও শত চেষ্টা আর ইচ্ছার পরও এটা কেন বন্ধ করা যায় না?
অনেক সময়েই হয়তো আপনি ভেবেছেন, এর পরের সেমিস্টারে আমি ঠিকমত পড়বো, বা এর পরের প্রজেক্টে কাজ ফেলে রেখে সময় নষ্ট করে একদম ডেডলাইনের শেষে নিয়ে যাবো না। কিন্তু সময় আসলে দেখা যায় আপনি ঠিকই অপ্রয়োজনীয় কাজে সময় নষ্ট করছেন।  এতে নিজের ওপর আপনার দারুন রাগ হয়, মাথার চুল ছিঁড়তে ইচ্ছে হয়।  কিন্তু এই অভিশাপ থেকে আপনি মুক্ত হতে পারেন না।  দুই একদিন বা সপ্তাহ খানেক চেষ্টা করার পর আবার ‘ব্যাক টু দ্য প্যাভিলিয়ন’ হয়ে যায়।
আপনাকে একটা কথা বলে রাখি, এটা আসলে পুরোপুরি আপনার দোষ নয়।  মানুষের জন্মগত স্বভাবই আসলে সহজ জিনিসটি বেছে নেয়া।  আমাদের মস্তিষ্কই আমাদের কঠিন কাজ বাদ দিয়ে মজার ও সহজ কাজটি করতে উ‌ৎসাহিত করে।  আর এই কারণে এ্যাসাইনমেন্ট বা রিসার্চের কাজ করার চেয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা ইউটিউবে বিড়াল-কুকুরের ফানি ভিডিও দেখতে, বিখ্যাত সোশ্যাল মিডিয়া সেলিব্রেটিদের মূল্যহীন কথা শুনে হেসে গড়াগড়ি খেতে আমাদের ভালো লাগে।
আবার দিনের পর দিন এই কাজ করতে করতে সেটা আমাদের অভ্যাসে পরিনত হয়।  আর একবার অভ্যাস হয়ে গেলে সেখান থেকে মুক্তি পাওয়াটা শুধু ইচ্ছার ওপরই নির্ভর করে না, তার জন্য কিছু বিষয় জানা ও কৌশল অবলম্বনের দরকার হয়।
ঢিলেমির সাথে বেশ কিছু মনোদৈহিক বিষয় জড়িত, যা সব সময়ে আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে না। আমেরিকার ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটির সাইকোলজির অধ্যাপক ও গবেষক ড.রয় ব্যাউমিইস্টার আত্ম নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বহুদিন ধরে গবেষণা করে আসছেন।  তাঁর মতে, মানুষ নিজেকে কতটা বা কতক্ষণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে – তার একটা সীমা আছে।  কাজ করার এক পর্যায়ে আমাদের পেশী যেমন ক্লান্ত হয়, আত্ম নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতাও তেমনি ক্লান্ত হয়।  আপনি যে ব্যাপারেই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে চান না কেন, মস্তিষ্কের একটি নির্দিষ্ট অংশকে তার পেছনে খাটতে হয়।  মস্তিষ্কেরও একটা এনার্জি লিমিট আছে – এই লিমিট বা সীমা পার হয়ে গেলে সে-ও ক্লান্ত হয়ে পড়ে।  সে যখন একেবারেই কাজ করতে পারে না, তখন ঘুমিয়ে পড়ে।  কিন্তু ঘুমের আগেও একটু একটু করে যখন তার এনার্জি খরচ হতে থাকে – তখন তার ফাংশানগুলো পুর্ণ ক্ষমতায় কাজ করতে পারে না।
যাই হোক, নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ করতে করতে একটা সময়ে হয়তো আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়লেন – আর তখনই মস্তিষ্কের আদিম স্বভাব মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে – অর্থা‌ৎ সে আপনাকে আরাম ও আনন্দের দিকে নিয়ে যায়। মস্তিষ্কের গঠনই এমন; সে তার শরীরকে সব সময়ে নিরাপদে ও সুখে রাখতে চায়।  বিছানা দেখলেই আমাদের শুয়ে পড়তে ইচ্ছে হয় – যদি তা আমরা ছবিতেও দেখি – তবুও।  কিন্তু যুদ্ধ দেখলে খুব কমই আমাদের তার মাঝে ঝাঁপিয়ে পড়ার ইচ্ছে হয়।  এটা মস্তিষ্কের জন্মগত নিরাপদ থাকতে চাওয়ার প্রক্রিয়া বা Survival instinct.
অবচেতনে আমরা জানি যে পড়া বা কাজ করার চেয়ে ইউটিউবে ভিডিও দেখা বা ফেসবুকে চ্যাট করা অনেক কম কষ্টের কাজ। আমাদের অবচেতন মন আসলে আমাদের কষ্ট থেকে দূরে রাখতে চায়, আর তাই সে ঢিলেমিকে কাজ এড়ানোর অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে।  সে আমাদের বোঝায় যে কাজতো পরেও করা যাবে, হাতে তো সময় আছেই – এখন একটু সময়ের জন্য উপভোগ করলে তেমন কোনও ক্ষতি নেই।
একারণেই অনেক সময়ে পড়তে বসে আমাদের মনে হয়, খেলার স্কোরটা চট করে একটু দেখে আসি, একটা গান শুনে পড়তে বসি, আর একটা ফান ভিডিও দেখে মনটাকে চাঙ্গা করে নিই।
কিন্তু বেশিরভাগ সময়ে দেখা যায়, খেলার স্কোর দেখতে গিয়ে পুরো খেলাটাই দেখা হয়ে যায়, একটা গান থেকে পাঁচটা গান হয়ে যায়, একটা ৫ মিনিটের ভিডিও দেখতে গিয়ে মোটামুটি দশ-বারোটি ভিডিও দেখা হয়ে যায়।  তারপরও যখন টনক নড়ে – তখন মনে হয়, আর একটু সময় মজা করলে ক্ষতি কি? সময় তো আছেই।  আর এভাবেই আপনার নিজের মস্তিষ্ক আপনার সাথে প্রতারণা করতে করতে আপনাকে একদম খাদের কিনারে এনে ফেলে।  
কাজেই বুঝতে পারছেন, ঢিলেমি বা দীর্ঘসূত্রিতা থেকে মুক্তি পাওয়ার প্রক্রিয়াটি আসলে মানুষের একদম আদিম বৈশিষ্টের সাথে সরাসরি যুদ্ধ করা।  এটি মানুষের একটি জন্মগত দুর্বলতা, আবার শক্তিও বটে।  যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রবণতা  কারণে মানুষ যুদ্ধ জয় করে, প্রকৃতির সাথে লড়াই করে টিঁকে থাকে, সেই একই প্রবণতার সাথে যুদ্ধ করে না পেরে আমরা জীবন যুদ্ধে হেরে যাই। 
কিন্তু এই হেরে যাওয়াটা আপনার নিয়তি নয়।  সঠিক উপায় অবলম্বন করতে পারলে আপনি এই যুদ্ধে জয়ী হয়ে জীবন যুদ্ধেও বিজয়ী হতে পারবেন।
চলুন ধাপে ধাপে আমরা ঢিলেমির শিকার কারা বেশি হয় ও এর বিরুদ্ধে যুদ্ধের কৌশল জেনে নিই:

৫ ধরনের ঢিলেমি ও এর শিকার হওয়া মানুষ:
এটা জানা আপনার এজন্য দরকার, যাতে করে আপনি বুঝতে পারেন আসলে আপনার ঢিলেমি স্বভাবের উ‌ৎস কি? এবং আপনার জন্য কোন ব্যবস্থাটি সবচেয়ে ভালো হবে।
বিভিন্ন ধরনের মানুষ বিভিন্ন কারণে ঢিলেমি করে।  মনোবিজ্ঞানীরা মূল ৫টি ক্যাটাগরিতে এদের ভাগ করেছেন।  আপনার মাঝে যদি ঢিলেমির স্বভাব থেকে থাকে, তবে দেখে নিন আপনি কোন ক্যাটাগরিতে পড়েন।
ক্যাটাগরি গুলো হলো, পারফেকশনিস্ট, উটপাখি, আত্মবিধ্বংসী, অতি সাহসী, প্রতারক। 

০১. পারফেকশনিস্ট
এরা সবকিছু একদম পারফেক্ট ভাবে করতে চায়।  কাজের কোথাও কোনও খুঁত থাকা চলবে না।  কিন্তু এই স্বভাবের কারণে তারা কাজে ভুল হওয়া বা কাজে খুঁত থাকাকে অতিরিক্ত ভয় পায়।  ফলে অনেক সময়েই তারা সময় মতো কোনও কাজ করতে ব্যর্থ হয়, কারণ তাদের চোখে কোনও কাজের আয়জন ও সময় একদম মোক্ষম না হলে তারা কোনও কাজ শুরুই করতে পারে না। 
কিন্তু বেশিরভাগ সময়েই সেই মোক্ষম আয়োজন আর সময় আসে না – তাই কাজও করা হয়ে ওঠে না।  ওদিকে সময়ের মতো করে সময় চলে যেতে থাকে।  কাজের আয়োজন করা আর ভাবনা ভাবতে ভাবতেই আসল কাজের সময় চলে যেতে থাকে।  কিন্তু তারা সেই পারফেকশনের আবর্তেই ঘুরপাক খেতে খেতে সময় নষ্ট করতে থাকে।
উদাহরন হিসেবে একজন বিসিএস ক্যান্ডিডেটের কথা ধরা যাক।  তার স্বপ্ন সে সরকারী বড় পদে কাজ করবে।  তার মেধা ও যোগ্যতার কোনও অভাবও নেই।  কিন্তু প্রতিবারই তার মনে হয়, “এবার দিলে হবে না – আমি এখনও যথেষ্ঠ যোগ্য হয়ে উঠতে পারিনি।  পরের বার চেষ্টা করে দেখবো”।  এমন করতে করতে হয়তো দেখা যায়, এই পারফেকশনিস্ট এক বা একাধিক পরীক্ষাই মিস করে ফেলল।  এই স্বভাবের কারণে অনেকেই অনেক সুযোগ কাজে লাগাতে পারে না।

শুক্রবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

postheadericon বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৮ (Bangladesh Economic Review 2018 Bangla)

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৮ কম্পিউটার , ট্যাব ও স্মার্ট ফোন ভার্সন সহ সম্পূর্ণ বাংলা ই-বুক বা pdf বই " সুচিপত্র ...বুকমার্ক মেনু 🔖 ও হাইপার লিংক মেনু  📝👆 যুক্ত করা হয়েছে ফলে খুব সহজে যে কোন অধ্যায়ে এ ক্লিক করেই যেতে পারবেন স্ক্রল করা লাগবে না... আমাদের সবার জন্য খুব খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বই .."
বিসিএস, ব্যাংক, ইউনিভার্সিটি ভর্তি ও যে কোন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার জন্য এর খুব ইম্পরট্যান্ট একটি বিষয় ...তাছাড়া বাংলাদেশের সাম্প্রতিক যে কোন ডাটা বা তথ্য এই বইতে পাবেন ...তাই একজন নাগরিক হিসাবে এই তথ্য গুলো আপনার জানা প্রয়োজন ...। বিসিএস ও ব্যাংক এর লিখিত পরীক্ষা ...+এছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের স্টুডেন্টদের জন্য অনেক কাজে আসবে ... বাংলাদেশের যে কোন বিষয় সম্পর্কে রচনা লিখতে এই বইয়েরে তথ্য ব্যবহার করা উচিত ফলে রচনা তথ্য নির্ভর হবে এবং ভালো নম্বর পাওয়া যাবে ...

👀 প্রয়োজনীয় মূর্হুতে🔍খুঁজে পেতে 👉পোষ্টটি শেয়ার করে রাখুন..

Bangladesh Economic Review 2018 Bangla
🗊 সাইজঃ- 30 এমবি

📝 পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ 320
শুক্রবার, ১০ আগস্ট, ২০১৮

postheadericon জেনে নিন কিছু ভেষজ উদ্ভিদের অসাধারণ গুণাগুণ


                                        রোগ নিরাময়ে গাছের উপকারিতা
আমাদের চারপাশে বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ রয়েছে। এর প্রায় সকলই মানুষের কল্যানে আল্লাহর সৃষ্টি। কিন্তু কোন উদ্ভিদে কি গুন তা আমরা সবাই জানি না। প্রত্যকটি ভেজষ উদ্ভিদেরই কিছু না কিছু ঔষধী গুন রয়েছে। বাংলাদেশে প্রায় পাঁচ হাজার উদ্ভিদ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সাড়ে পাঁচ শ ঔষধি উদ্ভিদ প্রজাতি বা ভেষজ। ঔষুধ শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ভেষজ উদ্ভিদের চাহিদা সারা বিশ্বের মতো আমাদের দেশে ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ইউনানি, আয়ুর্বেদ ও হোমিওপ্যাথি ওষুধ উৎপাদনে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহারের পাশাপাশি বিউটি পার্লার ও প্রসাধনীতে এখন প্রচুর ভেষজ উপাদান ব্যবহৃত হচ্ছে।
বাংলাদেশে স্বল্পসময়ে কম জমিতে অধিক হারে উৎপাদন করে অধিক মুনাফা অর্জন করা সম্ভব_এমন ঔষধি রয়েছে ২৫টির মতো। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে_পুদিনা, ঘৃতকুমারী, থানকুনি, অর্জুন, আমলকী, হরীতকী, কালমেঘ, নিম, বহেড়া, কালিজিরা, বসাক, উলটকমল, অশ্বগন্ধা, সর্পগন্ধা, তুলসী, মেথি, সোনাপাতা, যষ্টিমধু, বাবলা, শতমূলী, ইসবগুল, আদা, রসুন, হলুদ, পিঁয়াজ ইত্যাদি।

নীচে কিছু ভেজষ উদ্ভিদের ঔষধী গুনাগন তুলে ধরা হলো:

বাসক:

বাসক একটি ভারত উপমহাদেশীয় ভেষজ উদ্ভিদ। আর্দ্র, সমতলভূমিতে এটি বেশী জন্মে। লোকালয়ের কাছেই জন্মে বেশী। হালকা হলুদে রংয়ের ডালপালায়ক্ত ১ থেকে ২ মি. উঁচু গাছ, ঋতুভেদে সর্ব্বদাই প্রায় সবুজ থাকে। বল্লমাকারের পাতা বেশ বড়। ফুল ঘন, ছোট স্পাইকের ওপর ফোটে। স্পাইকের বৃন্ত পাতার চেয়ে ছোট। স্পাইকের ওপর পাতার আকারে উপপত্র থাকে যার গায়ে ঘন এবং মোটা শিরা থাকে। ফুলের দল (কোরোল্লা বা পত্রমূলাবর্ত) সাদা বর্ণ। তার ওপর বেগুনী দাগ থাকে। ফল সুপারি আকৃতির; বীজে ভর্তি।
বাসকের ঔষধী গুণ:
তাজা অথবা শুকানো পাতা ওষুধের কাজে লাগে। বাসকের পাতায় “ভাসিসিন” নামীর ক্ষারীয় পদার্থ এবং তেল থাকে। শ্বাসনালীর লালাগ্রন্থিকে সক্রিয় করে বলে বাসক শ্লেষ্মানাশক হিসেবে প্রসিদ্ধ । বাসক পাতার নির্যাস, রস বা সিরাপ শ্লেষ্মা তরল করে নির্গমে সুবিধা ক’রে দেয় বলে সর্দি, কাশি এবং শ্বাসনালীর প্রদাহমূলক ব্যাধিতে বিশেষ উপকারী। তবে অধিক মাত্রায় খেলে বমি হয়, অন্তত: বমির ভাব বা নসিয়া হয়, অস্বস্তি হয়। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় বাসকের ভেষজ গুণাবলি প্রমাণিত হয়েছে।
এর মূল, পাতা, ফুল, ছাল সবই ব্যবহার হয়।
প্রয়োগ:
১. বাসক পাতার রস ১-২ চামচ হাফ থেকে এক চামচ মধুসহ খেলে শিশুর সদির্কাশি উপকার পাওয়া যায়।
২. বাসক পাতার রস স্নানের আধ ঘন্টা আগে মাথায় কয়েকদিন মাখলে উকুন মরে যায়। আমবাত ও ব্রণশোথে (ফোঁড়ার প্রাথমিক অবস্থা) বাসক পাতা বেটে প্রলেপ দিলে ফোলা ও ব্যথা কমে যায়।
৩. যদি বুকে কফ জমে থাকে এবং তার জন্যে শ্বাসকষ্ট হলে বা কাশি হলে বাসক পাতার রস ১-২ চামচ এবং কন্টিকারীরস ১-২ চামচ, ১ চামচ মধুসহ খেলে কফ সহজে বেরিয়ে আসে।
৪. প্রস্রাবে জ্বালা-যন্ত্রনা থাকলে বাসকের ফুল বেটে ২-৩ চামচ মিছরি ১-২ চামচ সরবত করে খেলে এই রোগে উপকার পাওয়া যায়।
৫. জ্বর হলে বা অল্প জ্বর থাকলে বাসকের মূল ৫-১০ গ্রাম ধুয়ে থেঁতো করে ১০০ মিলি লিটার জলে ফোটাতে হবে।
৬. ২৫ মিলি লিটার থাকতে নামিয়ে তা ছেঁকে নিয়ে দিনে ২ বার করে খেলে জ্বর এবং কাশি দুইই চলে যায়।
৭. বাসকের কচিপাতা ১০-১২ টি এক টুকরো হলুদ একসঙ্গে বেটে দাদ বা চুলকানিতে লাগলে কয়েকদিনের মধ্যে তা সেরে যায়।
৮. বাসকপাতা বা ফুলের রস ১-২ চামচ মধু বা চিনি ১চামচসহ প্রতিদিন খেলে জন্ডিস রেগে উপকার পাওয়া যায়।
৯. পাইরিয়া বা দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়লে বাসক পাতা ২০ টি থেঁতো করে ২ কাপ জলে সিদ্ধ করে ১ কাপ থাকতে নামিয়ে ঈষদুষ্ণ অবস্থায় কুলকুচি করলে এই রোগে উপকার পাওয়া যায়।
ভেষজ দাওয়াই:
* শিশুর পেটে কৃমি থাকলে বাসকের ছালের ক্বাথ খাওয়ালে এর উগ্র তিক্ত স্বাদ কৃমি বের হয়ে যায়।
* যাদের হাঁপানির টান আছে তারা বাসক পাতা শুকনো করে, ওই পাতা বিড়ি বা চুরুটের মতো পাকিয়ে এর সাহায্যে ধূমপান করলে শ্বাসকষ্ট প্রশমিত হয়।
* যাদের গায়ে ঘামের গন্ধ হয় তারা বাসক পাতার রস গায়ে লাগালে দুর্গন্ধ দূর হবে।
*বাসকপাতার রস ও শঙ্খচূর্ণ মিশিয়ে নিয়মিত ব্যবহার করলে রং ফরসা হবে।
* এক কলসি পানিতে তিন-চারটি বাসকপাতা ফেলে তিন-চার ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখার পর সেই পানি বিশুদ্ধ হয়ে যায়। এরপর ব্যবহার করতে পারেন।
* পাতার রস নিয়মিত খেলে খিঁচুনি রোগ দূর হয়ে যায়।
* বাসক পাতার রস মাথায় লাগালের উকুন চলে যায়।
* বাসক পাতা বা ফুলের রস এক বা দুই চামচ মধু বা চিনি দিয়ে খেলে জন্ডিস ভালো হয়।
* শরীরে দাদ থাকলে বাসক পাতার রস লাগালে ভালো হয়ে যায়।
অন্যান্য উপকারিতা:
বাসকের পাতা সবুজ খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং পাতা থেকে হলদে রং পাওয়া যায়। বাসক পাতায় এমন কিছু ক্ষারীয় পদার্থ আছে যায় ফলে ছত্রাক জন্মায় না এবং পোকামাকড় ধরে না বলে ফল প্যাকিং এবং সংরক্ষণ করার কাজে ব্যবহৃত হয়। পাতায় কিছু দুর্গন্ধ আছে বলে পগুরা মুখ দেয় না। সেই কারণে চাষ আবাদের জন্য জমি উদ্ধারের কাজে বাসকের পাতা বিশেষ উপকারী।
মঙ্গলবার, ৭ আগস্ট, ২০১৮

postheadericon নীরোগ দীর্ঘ জীবন ৫০টি উপায় :

সমীক্ষায় দেখা গেছে আমাদের আগের প্রজন্মের মানুষেরা আমাদের থেকে দীর্ঘজীবি হতেন। এর কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা মনে করেন তখনকার দষণমুক্ত আবহাওয়া, ভেজালহীন খাবার আর এক ধরনের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা যা তারা মেনে চলতেন। সেই বিষহীন পৃথিবী আর আমরা ফিরে পাব না। তবে ড্যালাসের ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট লরা লিউইস-এর তত্ত্ব অনুযায়ী দৈনন্দিন জীবনে সামান্য বদল এনে বাড়ানো যায় এই প্রজন্মের মানুষের গড় আয়ু। লরা লিউইস-এর তত্ত্ব অবলম্বনে এই প্রবন্ধটি।

 
উপায়–১ প্রাণ খুলে হাসুন
হাসিও ওষুধ। দীর্ঘ, নিরোগ জীবনের জন্য হাসি অনেক উপকারে আসবে আপনার। একটা হিসেবে দেখা গেছে রোয়িং মেশিনে মিনিট দশেক ব্যায়াম করলে হার্টের যে উপকার হয় চব্বিশ ঘন্টায় শ খানেক বার হাসলেও সেই একই কাজ হয়। অতএব হাসুন। মনে রাখবেন কোনো ঘটনার কারণে স্বাভাবিক হাসিতে যে উপকার, চেষ্টা করে হাসলেও সেই উপকার। হাসিতে শুধু হার্ট নয় সারা শরীরেরও নানা উপকার হয়।
বেশি করে হাসুন। যখন কথা বলছেন তখন, গাড়িতে আছেন, এমনকি যখন অফিসে কাজ করছেন তখনও। হাসির উপকারিতার কথা সবসময় মাথায় রাখুন।
অন্যদের সঙ্গে হাসি-ঠাট্টা করুন। এমন গান শুনুন যা শুনে আপনার মন ভালো থাকে। আপনার মুখের ভঙ্গি সম্পর্কে সচেতন হন। যদি চেহারায় বিষণ্নতা থাকে তাহলে চোখেমুখে খুশীর ছাপ ফুটিয়ে তুলুন।
তবে হ্যাঁ, যতই হাসুন, যখনই হাসুন এমন কিছু করবেন না যাতে আপনাকে বোকা বোকা লাগে বা অন্যরা কিছু মনে করতে পারে।
উপায়–২ পেটটাকে ক্যানভাস ভাবুন
শরীর ভালো রাখার জন্য রোজকার খাবারে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করুন। দৈনন্দিন খাদ্যতালিকা এমন হওয়া উচিত যাতে সর্বাঙ্গীণ পুষ্টি আপনার জোটে। এ কাজটা সহজ হয় যদি খাবারের থালাটি আপনার চোখে ভাসে। খালি থালাটিকে মনে মনে তিন ভাগে ভাগ করুন। তার মধ্যে অর্ধেক থালায় অর্থাৎ অর্ধেক ভাগে থাকবে কার্বোহাইড্রেট প্রধান খাবার, তিনের এক অংশে শাকসব্জি আর ছয়ের এক অংশে প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার। খাবার নির্বাচন করার সহজ পদ্ধতি হল খাবারের রং, গন্ধ, চেহারার দিকে লড়্গ্য রাখা। তবে কৃত্রিম রং, গন্ধ নয়। খেয়াল করে দেখবেন আপনার পেটের খাবারে যদি নানা রং থাকে তা হলে সেগুলো আসছে শাকসব্জি থেকে। যেমন গাজরের কমলা, বিটের লাল, কুমড়ার হলুদ, বিনের সবুজ ইত্যাদি। আর একটা কথা, খাবারে তন্ত্রু অর্থাৎ ফাইবার জাতীয় খাবার রাখার চেষ্টা করবেন। ফাইবার পেট পরিষকার রাখার উত্তম উপায়। এছাড়া এই ধরনের প্রকৃতিজ রঙিন খাবার আপনার ইমিউনিটি সিস্টেমের উন্নতি ঘটাবে। যখনই কোনো রেস্তোরাঁয় খেতে যাবেন স্যালাড বার-এর দিকটা ভুলবেন না। মাছ মাংস খেলেও আপনার পেটটাকে ক্যানভাস ভেবে কিছু প্রকৃতিজ রং অ্যাড করুন সব্জি বা ফলের মাধ্যমে।
উপায়–৩ ঘুমের কোনো বিকল্প নেই
ভালো ঘুম না হলে পরের দিনটাই মাটি। ব্যক্তি বিশেষে ঘুমের সময়ের তারতম্য হলেও সাধারণভাবে আট-ন ঘন্টার ঘুম আমাদের দরকার। তবে যে যতক্ষণই ঘুমান, দেখতে হবে সেই ঘুমের কোয়ালিটি যাতে ভালো হয়। অর্থাৎ ঘুমটা যেন বেশ গাঢ় হয়। গাঢ় ঘুমের জন্য কয়েকটি কথা মনে রাখা উচিত। সেগুলো হল ঘুমানোর বেশ কয়েক ঘন্টা আগেই চা, কফি, সিগারেট খাওয়া বন্ধ করতে হবে।
রাতে ভারী মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া চলবে না। ঘুমানোর আগে বেশি পরিশ্রম, উত্তেজনা ঠিক নয়। ঘুমের ওষুধ নিয়মিত খাওয়াও ক্ষতিকর। ঘুমাতে যাওয়ার একঘন্টা আগে দরকার হলে ক্যালসিয়াম-ম্যাগনেশিয়াম সাপিস্নমেন্ট খেতে পারেন। আর একটা কথা ঘুমের সময় ছাড়া বিছানা ব্যবহার করবেন না।
বেড রুমটাকে ডাইনিং রুম বা অফিসের কাজের জন্যও ব্যবহার করা উচিত নয়।
উপায়–৪ বন্ধু বিটা ক্যারোটিন
জানেন কি রোজ একটা মিষ্টি আলু খেলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যেতে পারে? কারণ, মিষ্টি আলুতে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন। বিটা ক্যারোটিন হল এ্যান্টি অক্সিডেন্ট। গবেষণায় দেখা গেছে বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ খাবার যারা বছর কুড়ি ধরে খাচ্ছেন তাদের ফুসফুস, মুখ, গলা, ঠলাডার, ত্বক, ব্রেস্ট ইত্যাদির ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কম। তাছাড়া নিয়মিত বিটা ক্যারোটিন খেলে বয়স্কদের চোখে ছানি বা চোখের অন্যান্য সমস্যাও কম হয়। এ ছাড়া ত্বক ভালো থাকে, শ্বাসনালী পরিষকার থাকে, হাড় ভালো থাকে। বিটা ক্যারোটিন যথেষ্ট পরিমাণে পাওয়া যায় কমলা, হলুদ, গাঢ় সবুজ বর্ণ শাক সব্জিতে। কুমড়া, গাঁজর, মিষ্টি আলু, শাক, ফুলকপি, পিচ, অ্যাপ্রিকট, পাকা পেঁপে ইত্যাদিও বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ খাবার।
এবার থেকে যখনই সকাল-বিকেল-রাতের খাবার খাবেন দেখবেন যেন বিটা ক্যারোটিন আছে এমন শাকসব্জি, ফল খাচ্ছেন। মনে রাখবেন বিটা ক্যারোটিনে আছে যে কোনো রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা।
উপায়–৫ সাহায্য নিন সুগন্ধির
অসম্ভব মানসিক চাপে রয়েছেন? ভ্যানিলা ও আমন্ড সেন্ট শুকে দেখুন, হাল্কা লাগবে। ঘুম আসছে না? ল্যাভেন্ডার সেন্ট, ভ্যানিলা ও আমন্ড সেন্ট শুকে দেখুন, দেখবেন কখন ঘুমিয়ে পড়েছেন।
গন্ধের সঙ্গে আমাদের শরীর, মন, আবেগের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। ইদানীং অ্যারোমাথেরাপির গুরুত্ব বাড়ছে এই কারণেই। জাপানে এক পরীড়্গায় দেখা গেছে কিছু কিছু গন্ধ আমাদের কাজে ভুল করার হার কমিয়ে দেয় অনেকখানি।
এসেনশিয়াল অয়েল সোজাসুজি ত্বকে লাগালে সেই অয়েল যেন আমন্ড বা অন্য ভেজিটেবল অয়েলভিত্তিক হয়। এক বাটি পানিতে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল ফেলুন, তারপর সেটা ধীরে ধীরে উবে যেতে দিন। অ্যারোমাথেরাপি ক্যান্ডল ঘরে জ্বালিয়ে রাখুন। সাইনাস পরিষকার রাখতে স্নানের পানিতে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস বা রোজমেরি অয়েল দিন। এসেনশিয়াল অয়েল বেশি মাত্রায় ব্যবহার করবেন না। হিতে বিপরীত হতে পারে। কতটা কতক্ষণ ব্যবহার করলে ভালো বোধ করেন সেটা পরীক্ষা করে দেখুন।
উপায়–৬ ফাইবার থাক খাবারে
নিয়মিত পেট পরিষকার না হওয়া শরীরে অনেক রোগের কারণ। কোষ্ঠবদ্ধতা থেকে আসতে পারে ভেরিকোজ ভেনস, হেমারয়েড, উচ্চ রক্তচাপ এমনকি কোলোন, পাকস্থলী, প্যানক্রিয়াস, প্রেস্ট এবং প্রস্টেটের ক্যান্সারও। অতএব রোজ যাতে পেট পরিষকার হয় সেদিকে বিশেষ লড়্গ্য রাখুন। এ ড়্গেত্রে আপনাকে সাহায্য করবে ফাইবার।
শাকসব্জি, ফলের যে অংশটা হজম করা যায় না সেটাই হল ফাইবার। এটা হজম না হয়ে শরীর থেকে বেরিয়ে যায় অন্য বর্জ্য পদার্থ সঙ্গে নিয়ে। তাই পেট পরিষকার রাখায় ফাইবারের উপকারিতা খুব এবং পেট পরিষকার থাকলে অনেক অসুখ থেকেই রেহাই পাওয়া যায়।
অন্তত আধকাপ শিম বা শিম জাতীয় শুটি পারলে রোজ, নইলে একদিন অন্তর অন্তর খান।
কলে ছাটা চাল, মিহি আটা না খেয়ে ঢেঁকিছাটা চাল, ভুসিযুক্ত আটা খান। দিনে বার তিনেক খোসাসুদ্ধ ফল কান। সারাদিনে প্রচুর পরিমাণে টাটকা শাকসব্জি খান।
যদি কোনো না কোনোভাবে ফাইবার খাওয়ার অভ্যাস না থাকে তাহলে খাদ্য তালিকায় ধীরে ধীরে ফাইবার বেশি মাত্রায় রাখুন। যেমন ধরুন প্রথম সপ্তাহে শুরুকরলেন ভুসিযুক্ত আটার রুটি। পরের সপ্তাহে বিন জাতীয় সব্জি, পরের সপ্তাহে খোসাযুক্ত ফল ইত্যাদি।

প্রয়োজনীয় সব বাংলা 🕮ই-বুক

প্রয়োজনীয় সব বাংলা 🕮ই-বুক বা বই, 💻সফটওয়্যার ও 🎬টিটোরিয়াল কালেকশ সংগ্রহ করতে!
আপনারা সামান্য একটু সময় ব্যয় করে ,শুধু এক বার নিচের লিংকে ক্লিক করে এই কালেকশ গুলোর মধ্যে অবস্থিত বই ও সফটওয়্যার এর নাম সমূহের উপর চোখ বুলিয়ে 👓👀 নিন।”তাহলেই বুঝে যবেন কেন এই ফাইল গুলো আপনার কালেকশনে রাখা দরকার! আপনার আজকের এই ব্যয়কৃত সামান্য সময় ভবিষ্যতে আপনার অনেক কষ্ট লাঘব করবে ও আপনার অনেকে সময় বাঁচিয়ে দিবে।
বিশ্বাস করুন আর নাই করুনঃ-“বিভিন্ন ক্যাটাগরির এই কালেকশ গুলোর মধ্যে দেওয়া বাংলা ও ইংলিশ বই, সফটওয়্যার ও টিউটোরিয়াল এর কালেকশন দেখে আপনি হতবাক হয়ে যাবেন !”
আপনি যদি বর্তমানে কম্পিউটার ব্যবহার করেন ও ভবিষ্যতেও কম্পিউটার সাথে যুক্ত থাকবেন তাহলে এই ডিভিডি গুলো আপনার অবশ্যই আপনার কালেকশনে রাখা দরকার !
মোট কথা আপনাদের কম্পিউটারের বিভিন্ন সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান ও কম্পিউটারের জন্য প্রয়োজনীয় সব বই, সফটওয়্যার ও টিউটোরিয়াল এর সার্বিক সাপোর্ট দিতে আমার খুব কার্যকর একটা উদ্যোগ হচ্ছে এই ডিভিডি প্যাকেজ গুলো।আশা করি এই কালেকশন গুলো শিক্ষার্থীদের সকল জ্ঞানের চাহিদা পূরন করবে…!
আমার আসল উদ্দেশ্য হল, কম্পিউটার ও মোবাইল এইডেড লার্নিং ডিভিডি কার্যক্রম এর মাধ্যমে সফটওয়্যার, টিটোরিয়াল ও এইচডি কালার পিকচার নির্ভর ই-বু বা বইয়ের সহযোগিতায় শিক্ষাগ্রহন প্রক্রিয়াকে খুব সহজ ও আনন্দদায়ক করা।
এবং সকল স্টুডেন্ট ও টিচারকে কম্পিউটার ও মোবাইল প্রযুক্তির সম্পৃক্তকরণ এবং সকল শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের প্রযুক্তিবান্ধব করা এবং একটা বিষয় ক্লিয়ার করে বুঝিয়ে দেওয়া যে প্রযুক্তি শিক্ষাকে আনন্দদায়ক করে এবং জ্ঞান অর্জনের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি করে…
🎯 কালেকশ সম্পর্কে বিস্তারিত 👀জানতেঃ নিচের লিংকে 👆ক্লিক করুন
www.facebook.com/tanbir.ebooks/posts/777596339006593

এখানে👆 ক্লিক করুন

🎯 সুন্দর ভাবে বুঝার জন্য নিচের লিঙ্ক থেকে ই-বুক্টি ডাউনলোড করে নিন...
📥 ডাউনলোড 👆 লিংকঃ এখানে👆ক্লিক

আপডেট পেতে

আপডেট ই-বুক

Recent Posts

মন্তব্য দিন

আমার সম্পর্কে !