ভিজিটর সংখ্যা

জনপ্রিয়

T@NB!R ব্লগ সংরক্ষাণাগার

Blogger দ্বারা পরিচালিত.

Social

Random Post

নাম

your name

ইমেল *

Your Email

বার্তা *

your message

Pages

Like Us On Facebook

Popular Posts

বৃহস্পতিবার, ২ মে, ২০১৩

postheadericon বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (BPSC)

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন একটি স্বতন্ত্র স্বাধীন সাংবিধানিক সংস্থা। বাংলাদেশ সংবিধানের ১৩৭নং অনুচ্ছেদে এক বা একাধিক কর্ম কমিশন গঠন করার কথা বলা হয়েছে। প্রজাতন্ত্রের বেসামরিক কর্মচারী, প্রশাসনের কর্মচারী নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি ও অন্যান্য বিষয়াদি নির্ধারণ করা এ কমিশনের প্রধান কাজ। ১৯৭৭ পর্যন্ত দুটি কর্ম কমিশন ছিল-প্রথম ও দ্বিতীয় কর্ম কমিশন। প্রথম কর্ম কমিশন প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর এবং দ্বিতীয় কর্ম কমিশন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী সংক্রান্ত বিষয়াদি সংশ্লিষ্ট ছিল। তবে বর্তমানে দুটি কমিশন একীভূত হয়ে একটি কমিশনের মতই কাজ করে।

কমিশনের গঠন

রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত একজন চেয়ারম্যান ও কয়েকজন সদস্য নিয়ে কমিশন গঠিত। দায়িত্ব গ্রহণের তারিখ থেকে পাঁচ বছর বা তার বয়স ৬৫ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত এর মধ্যে যেটি আগে ঘটবে সে পর্যন্ত তিনি নিজ পদে বহাল থাকবেন। কমিশনের সদস্যদের অর্ধেক এমন হবে যারা কমপক্ষে ২০ বছর অন্য কোনো সরকারি কর্মে নিয়োজিত ছিলেন। কমিশনের চেয়ারম্যান সচিব মর্যাদার এবং সদস্যগণ অতিরিক্ত সচিব মর্যাদার সরকারি কর্মকর্তার সমান মর্যাদার অধিকারী হন।

কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগ

১৯৭৭ সালে জারিকৃত রাষ্ট্রপতির এক অধ্যাদেশে চেয়ারম্যানসহ সদস্যদের সংখ্যা সর্বোচ্চ ১৫ (ন্যূনতম ৬) নির্ধারণ করা হয়েছে। পিএসসিতে সদস্য হিসেবে নিয়োগ লাভের জন্য বিশেষ যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না। তবে কমিশনের মোট সদস্যের অন্তত অর্ধেক থাকবেন ন্যূনতম ২০ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সরকারি কর্মকর্তা। সাধারণত সরকারি বিভাগ থেকে নিযুক্ত চেয়ারম্যান ও সদস্যরা সকলেই শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে নির্বাচিত হন এবং অন্যদের অধিকাংশই থাকেন প্রবীণ শিক্ষাবিদ। সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর একজন কর্মকর্তা পুনরায় কোনো চাকরিতে (পাবলিক সার্ভিস কমিশনসহ) নিয়োগ লাভের যোগ্য বলে বিবেচিত হন না।

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ক্যাডারসমূহ

১ সেপ্টেম্বর ১৯৮০ সরকার সিভিল সার্ভিস কাঠামোকে ১৪টি ক্যাডারে এবং ২২টি সাব-ক্যাডারে (সর্বমোট ২৮টি ক্যাডারে ও সাব ক্যাডারে) পুনর্গঠিত করেন। এরপর সিভিল সার্ভিসকে মোট ৩০টি ক্যাডারে বিভক্ত করা হয়। পরবর্তী সময়ে সরকার বিসিএস (সচিবালয়) ক্যাডারকে বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের সাথে একীভূত করায় সিভিল সার্ভিস ক্যাডারের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৯টিতে। ২০০৭ সালে বিসিএস (বিচার) ক্যাডারকে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন (বাজুসাক)-এর কাছে ন্যস্ত করায় বর্তমানে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস ক্যাডারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮টিতে। এগুলো হলো-
১. বিসিএস (প্রশাসন)
২. বিসিএস (খাদ্য)
৩. বিসিএস (কৃষি)
৪. বিসিএস (বন)
৫. বিসিএস (মৎস্য)
৬. বিসিএস (পশুপালন)
৭. বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা)
৮. বিসিএস (কারিগরি শিক্ষা)
৯. বিসিএস (অর্থনীতি)
১০. বিসিএস (বাণিজ্য)
১১. বিসিএস (পরিসংখ্যান)
১২. বিসিএস (গণপূর্ত)
১৩. বিসিএস (জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল)
১৪. বিসিএস (সড়ক ও জনপথ)
১৫. বিসিএস (টেলিযোগাযোগ)
১৬. বিসিএস (নিরীক্ষা ও হিসাব)
১৭. বিসিএস (শুল্ক ও আবগারী)
১৮. বিসিএস (কর)
১৯. বিসিএস (পররাষ্ট্র বিষয়ক)
২০. বিসিএস (স্বাস্থ্য)
২১. বিসিএস (পরিবার পরিকল্পনা)
২২. বিসিএস (তথ্য)
২৩. বিসিএস (ডাক)
২৪. বিসিএস (পুলিশ)
২৫. বিসিএস (আনসার)
২৬. বিসিএস (রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিক)
২৭. বিসিএস (রেলওয়ে প্রকৌশল)
২৮. বিসিএস (সমবায়)

বিসিএস পরীক্ষা সম্পর্কে নির্দেশনা

বর্তমান প্রেক্ষাপটে সরকারি-বেসরকারি চাকরির মধ্যে সবচেয়ে সম্মানজনক ও মর্যাদাকর হলো বিসিএস ক্যাডার সার্ভিস। তাই প্রতি বছরই দেখা যায়, বিসিএস পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েই চলছে এবং ক্যাডার সার্ভিসে অন্তর্ভুক্তির জন্য খুবই প্রতিদ্বনিদ্বতাপূর্ণ পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে হচ্ছে। এ ধরনের তীব্র প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ব্যাপক ও বড় ধরনের প্রস্তুতি না নিলে সাফল্য লাভ দুরূহ। আর এজন্য প্রয়োজন তীব্র ইচ্ছাশক্তি, নিরলস পরিশ্রম, দীর্ঘমেয়াদি অধ্যবসায় ও ধৈর্য। একজন প্রার্থীকে বিসিএস ক্যাডার সার্ভিসে নিয়োগ পেতে হলে অনেকগুলো ধাপ অতিক্রম করে আসতে হয়। যেমন- ১. আবেদনপত্র পূরণ ও জমাদান, ২. প্রিলিমিনারি পরীক্ষা, ৩. লিখিত পরীক্ষা, ৪. ভাইভা, ৫. স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ৬. পুলিশ ভেরিফিকেশন। এর একটিতেও যদি কেউ ব্যর্থ হন অথবা অংশগ্রহণ না করেন, তাহলে তিনি নিয়োগের জন্য বিবেচিত হবেন না। নিচে পর্যায়ক্রম অনুসারে ধাপগুলো আলোচনা করা হলো :

১. আবেদনপত্র পূরণ ও জমাদান

বিজ্ঞপ্তি পড়ে নেয়ার পর প্রার্থীর প্রথম কাজ হবে আবেদনপত্র পূরণ ও জমা দেয়া। আবেদনপত্র পূরণে ভুল হলে বা অসম্পূর্ণ থাকলে তা সরাসরি বাতিল হয়ে যায়। তাই এক্ষেত্রে প্রার্থীর খুবই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। আবার নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে জমা না দিলেও আবেদন বাতিল হয়ে যায়। সেই সাথে এক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখা জরুরি :
  • ফর্ম পূরণ ও স্বাক্ষর কালো বলপয়েন্ট কলমে;
  • প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বিপিএসসি ফর্ম-১-এর সাথে স্ট্যাপল না করা;
  • ইনভেলাপের ওপরে পরীক্ষার, কেন্দ্রের ও দফতরের নাম লেখা;
  • ফর্ম ও কাগজপত্র ইনভেলাপের মুখ খোলাবস্থায় জমা দেয়া;
  • ফর্ম ও কাগজপত্র জমা শুধু ৬৪টি জেলার জেলা প্রশাসক বা তাদের নির্ধারিত স্থানে;
  • বিপিএসসি ফর্ম-২ প্রিলি. উত্তীর্ণদের পরবর্তীতে প্রদান। মনে রাখতে হবে প্রিলিমিনারি পরীক্ষার জন্য আবেদনের সাথে যে সমস্ত কাগজ-পত্র সংযুক্ত হবে সবগুলোর এক সেট ফটোকপি রাখতে হবে।

০২. প্রিলিমিনারি অবজেকটিভ টেস্ট

(ক) প্রার্থীদের ১০০ নম্বরের একটি লিখিত (MCQ) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। প্রশ্নের ধরন হয় নৈর্ব্যক্তিক (অবজেকটিভ টাইপ) এবং কম্পিউটারের মাধ্যমে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হয়।
(খ) এই পরীক্ষায় মোট ১০০টি প্রশ্ন থাকে এবং প্রতিটি প্রশ্নের মান ১। পরীক্ষার জন্য পূর্ণ সময় দেয়া হয় ১ ঘণ্টা। প্রতি ভুল উত্তরের জন্য ০.৫ নম্বর কাটা যাবে।
(গ) যেসব বিষয়ের উপর প্রশ্ন করা হয় : সাধারণ বাংলা, সাধারণ ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান : বাংলাদেশ বিষয়াবলী, সাধারণ জ্ঞান : আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী এবং সাধারণ জ্ঞান : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, মানসিক দক্ষতা এবং গাণিতিক যুক্তি।
(ঘ) বিসিএস প্রিলিমিনারি (অবজেকটিভ) টেস্ট সাধারণত ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট ও বরিশাল কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। সঠিক তারিখ, সময় ও আসন ব্যবস্থা (পরীক্ষা হলের নামসহ) যথাসময়ে খবরের কাগজের মাধ্যমে জানানো হয়।
(ঙ) উত্তরপত্রে প্রশ্নপত্রের সেট কোড নম্বর না লিখলে অথবা ভুল লিখলে উত্তরপত্র বাতিল হবে।

৩. লিখিত পরীক্ষার বিষয়সমূহ ও নম্বর বণ্টন (মোট নম্বর ১১০০)

যে সকল প্রার্থী প্রিলিমিনারি (অবজেকটিভ) টেস্টে উত্তীর্ণ হন শুধু তারাই বিসিএস-এ লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেন। নতুন পদ্ধতিতে সাধারণ ও প্রফেশনাল দু´ধরনের ক্যাডারের প্রার্থীদের পরীক্ষা দুভাগে অনুষ্ঠিত হয়।

ক. সাধারণ ক্যাডার : সাধারণ ক্যাডারের প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষার বিষয় ও নম্বর নিম্নরূপ :

(ক) বাংলা ২০০
(খ) ইংরেজি ২০০
(গ) বাংলাদেশ বিষয়াবলী ২০০
(ঘ) আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী ১০০
(ঙ) গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা ১০০
(চ) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ১০০
(ছ) মৌখিক পরীক্ষা ২০০
সর্বমোট : ১১০০

খ. প্রফেশনাল ক্যাডার : প্রফেশনাল ক্যাডারের প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষার বিষয় ও নম্বর নিম্নরূপ :

(ক) বাংলা ১০০
(খ) ইংরেজি ২০০
(গ) বাংলাদেশ বিষয়াবলী ২০০
(ঘ) আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী ১০০
(ঙ) গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা ১০০
(চ) সংশ্লিষ্ট বিষয়ের পরীক্ষা ২০০
(ছ) মৌখিক পরীক্ষা ২০০
সর্বমোট : ১১০০
বিঃদ্রঃ যে সকল প্রার্থী সাধারণ ও প্রফেশনাল উভয় ক্যাডারের পদে পছন্দক্রম দিতে ইচ্ছুক হবেন তাদেরকে সাধারণ ক্যাডারের ৯০০ নম্বরের অতিরিক্ত প্রফেশনাল ক্যাডারের ২(চ) নং-এর সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা দিতে হবে। লিখিত পরীক্ষায় পাস নম্বর গড়ে ৫০%, মৌখিক পরীক্ষায় পাস নম্বর ৪০% এবং লিখিত পরীক্ষায় কোনো বিষয়ে ২৫% নম্বরের কম পেলে পরীক্ষার্থী উক্ত বিষয়ে কোনো নম্বর পাননি বলে গণ্য হবে।

৪. ভাইভা (মৌখিক পরীক্ষা)

মৌখিক পরীক্ষা প্রার্থীর চূড়ান্ত ধাপ। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরাই কেবল মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেন। একজন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে মেধাস্কোর করা হয়। অতএব যে কোনো প্রার্থীর জন্যই লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা দুটিই সমান গুরুত্বপূর্ণ। বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষায় প্রার্থীর বুদ্ধিমত্তা, মানসিক সতর্কতা, সাহস, চরিত্রের শক্তি, নেতৃত্বের গুণাবলী প্রভৃতিসহ পাঠক্রমিক বিষয়কে বিবেচনায় নেয়া হয়।

৫. স্বাস্থ্য পরীক্ষা

পিএসসি কর্তৃক মনোনয়নের জন্য চূড়ান্তভাবে প্রার্থীদেরকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মেডিকেল বোর্ডের সম্মুখে উপস্থিত হতে হবে। মেডিকেল বোর্ডে স্বাস্থ্য পরীক্ষাকালীন সময়ে যে সকল পুরুষ প্রার্থীর উচ্চতা ৫র্-এর কম এবং যে সকল মহিলা প্রার্থীর উচ্চতা ৪´- ১০´´-এর কম হবে তারা কোনো ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য শারীরিকভাবে যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না। পুরুষ প্রার্থীর ওজন ৪৫ কেজির কম এবং মহিলা প্রার্থীর ওজন ৪০ কেজির কম হলে তারাও অস্থায়ীভাবে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। প্রার্থীদেরকে বিধি অনুযায়ী দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন হতে হবে।

৬. পুলিশ ভেরিফিকেশন

চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের সর্বশেষ ধাপ হলো পুলিশ ভেরিফিকেশন। পিএসসি কর্তৃক পরিচালিত পুলিশ বিভাগ থেকে প্রার্থীর যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে মতামতসহ পুলিশি রিপোর্ট সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয় এবং রিপোর্ট পাওয়া সাপেক্ষে গেজেট বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করা হয়। পুলিশি রিপোর্ট প্রার্থীর বিরুদ্ধে হলে বা নির্দিষ্ট সময়ে না পৌঁছলে তিনি গেজেট থেকে বাদ পড়বেন। তাই এক্ষেত্রে প্রার্থীকে সতর্ক থাকা উচিত।
উপরোক্ত সিঁড়িসমূহ সফলভাবে অতিক্রম করার পরই একজন প্রার্থী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম শ্রেণীর ক্যাডার হিসেবে তার কাঙ্ক্ষিত নিয়োগপত্রটি হাতে পান।

বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা সম্পর্কে নির্দেশনা

একজন প্রার্থীকে বিসিএস ক্যাডার সার্ভিসে নিয়োগ পেতে হলে অনেকগুলো ধাপ অতিক্রম করে আসতে হয়। এর একটিতেও যদি কেউ ব্যর্থ হন অথবা অংশগ্রহণ না করেন, তাহলে তিনি নিয়োগের জন্য বিবেচিত হবেন না। এখানে পর্যায়ক্রম অনুসারে ধাপগুলো আলোচনা করা হলো:
প্রিলিমিনারি পরীক্ষার বিষয়সমূহ : মোট ১০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় সাধারণত নিচে উল্লিখিত বিষয়ের ওপর প্রশ্ন করা হয়। যথা-
  • বাংলা : ভাষা ও সাহিত্য এবং ব্যাকরণ
  • ইংরেজি : ভাষা ও সাহিত্য এবং ব্যাকরণ
  • সাধারণ জ্ঞান : বাংলাদেশ বিষয়াবলী
  • সাধারণ জ্ঞান : আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, মানসিক দক্ষতা এবং গাণিতিক যুক্তি
প্রতিটি বিষয়ের উপর পূর্বে সাধারণত ২০টি প্রশ্ন থাকত। ২৮তম বিসিএস থেকে প্রিলিমিনারি প্রশ্নে কিছুটা পরিবর্তন এনে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলীর প্রশ্ন কমিয়ে গণিত ও বিজ্ঞানের প্রশ্ন বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। পরীক্ষার মোট সময় ১ ঘণ্টা। ২৮তম বিসিএস থেকে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.৫ নম্বর কাটার বিধান চালু করা হয়েছে।

বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি

বাংলাদেশে প্রথম শ্রেণীর ক্যাডার সার্ভিসে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিসিএস একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। সরকারি-বেসরকারি চাকরির মধ্যে বিসিএস চাকরিজীবীদের মর্যাদা ও সম্মান তুলনামূলকভাবে বেশি। তাই এ ক্যাডার সার্ভিসে অন্তর্ভুক্তির জন্য খুবই প্রতিদ্বনিদ্বতাপূর্ণ পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে হয়। কাজেই যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে প্রিলিমিনারি থেকে ভাইভা প্রতিটি ধাপে অংশগ্রহণ করা উচিত। বিসিএস পরীক্ষার প্রথম ধাপ-প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য পাঁচটি বিষয়ের ওপর ভালো দখল রাখা প্রয়োজন। বিষয়গুলো হলো- বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান : বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী, সাধারণ বিজ্ঞান এবং গণিত।
বাংলা
বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্টে বাংলা একটি অত্যন- গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিগত বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রত্যেক পরীক্ষায় গড়ে বাংলা বিষয়ে ২০% প্রশ্ন এসেছে। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় সফলতার জন্য বাংলা অংশের সমুদয় প্রশ্নের সঠিক উত্তর করা উচিত এবং যেহেতু মাতৃভাষা বাংলা সেহেতু একটু মনোযোগ সহকারে প্রস্তুতি নিলে এ  বিষয়ে সহজেই পুরো নম্বর অর্জন করা সম্ভব। বাংলা প্রশ্ন মূলত দুটি অংশ থেকে হয়ে থাকে- ভাষা ও সাহিত্য এবং বাংলা ব্যাকরণ। তবে তুলনামূলকভাবে সাহিত্য অংশের দিকে বেশি নজর দিতে হবে।
গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়সমূহ : গ্রন্থ-গ্রন্থকার, রচনার শ্রেণী, গ্রন্থ ও চরিত্র, পংক্তি ও উদ্ধৃতি, পত্রিকা-সাময়িকী, বাংলা বানান, শব্দ প্রকরণ, কারক, প্রত্যয়, সন্ধি, সমাস, বাক্য সংকোচন, বাক্য পরিবর্তন, বাগধারা ইত্যাদি।
ইংরেজি
বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় প্রায় ২০% প্রশ্ন ইংরেজি থেকে করা হয়। পরীক্ষায় ইংরেজি প্রশ্ন সম্পর্কে অধিকাংশ পরীক্ষার্থীর মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করে এবং অযথা টেনশন হেতু পরীক্ষায় যথাযথ সফলতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়। কিন্তু বিগত বিসিএস পরীক্ষাসমূহের প্রশ্নাবলী বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রশ্নপত্রের ধরন ও চলতি ধারা অনুধাবন করে পরিকল্পিতভাবে পড়াশুনা করলে সহজেই ইংরেজি বিষয়ে ভালো করা সম্ভব। বিগত বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্ন বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১৮তম বিসিএস থেকে প্রশ্নের গুণগত পরিবর্তনের সাথে সাথে ২৭তম বিসিএস পর্যন্ত Literature অংশ থেকে তেমন একটা প্রশ্ন করা হতো না। তবে ২৯তম বিসিএসে Literature থেকে ৫টি প্রশ্ন এসেছে। আবার ৩০তম বিসিএসে এ অংশ থেকে ১টি প্রশ্ন এসেছে। সুতরাং English Grammar অংশের ওপর অধিক গুরুত্ব দেয়ার পাশাপাশি Literature-এর দিকেও কিছুটা নজর দেয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়সমূহ : Parts ofSpeech, Appropriate Preposition, Fill in the Blanks, Right Form of Verbs, Voice, Meaning of the words, Correct Sentences, Phrases & Idioms, Analogy, Authors & Books ইত্যাদি।
বাংলাদেশ বিষয়াবলী
বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার একটি অত্যন- গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশ বিষয়াবলী। পূর্বে প্রতি পরীক্ষায় এ অংশ থেকে গড়ে ২০%-এর মতো প্রশ্ন আসত, তবে ২৮তম বিসিএস পরীক্ষা থেকে প্রায় ১০% প্রশ্ন করা হচ্ছে। বিগত বিসিএসের প্রশ্নসমূহ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এ অংশ থেকে সমসাময়িক বিষয়ের ওপর প্রশ্ন বেশি এসেছে। কাজেই প্রতিদিন কমপক্ষে ২-৩ ঘণ্টা করে দৈনিক পত্রিকাসহ সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন, ফিচার ও সাধারণ জ্ঞানবিষয়ক পত্রিকা পড়তে হবে। সব সময় সাথে একটা পকেট নোটবুক রাখা উচিত এবং যেখানেই কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে, নোটবুকে তা লিখে রেখে পরে সুবিধামতো সময়ে মুখস্থ করা যেতে পারে।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
আন্তর্জাতিক বিষয়ে পূর্বে প্রতি পরীক্ষায় গড়ে ২০টির মতো প্রশ্ন আসত, তবে ২৮তম বিসিএস পরীক্ষা থেকে প্রায় ১০% প্রশ্ন করা হচ্ছে। প্রশ্নগুলো বিশ্লেষণে দেখা যায় সাধারণত দু´ধরনের প্রশ্ন করা হয়। প্রথমত, মৌলিক তথ্যমূলক বিষয় এবং দ্বিতীয়ত, সাম্প্রতিক ও চলতি ঘটনা প্রবাহের ওপর। মৌলিক তথ্যমূলক বিষয়গুলো আয়ত্তে আনার জন্য বাজারে প্রচলিত সাধারণ জ্ঞানের মানসম্পন্ন প্রকাশনীর বই অধ্যয়ন করতে হবে। আর সাম্প্রতিক ও চলতি ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে খুঁটিনাটি গভীরভাবে জানার জন্য অবশ্যই প্রত্যহ ২/৩টি দৈনিক পত্রিকা এবং তথ্যসমৃদ্ধ মাসিক সাধারণ জ্ঞানভিত্তিক পত্রিকা প্রফেসর´স কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স পড়ে টুকিটাকি সকল বিষয়ে ভালোভাবে অবগত হতে হবে। যেসব তথ্য আপনি পড়ছেন তা আপ টু ডেট কিনা সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।
দৈনন্দিন বিজ্ঞান
বিসিএস প্রশ্ন বিশ্লেষণে দেখা যায় প্রতি পরীক্ষায় ১০%-২০% প্রশ্ন দৈনন্দিন বিজ্ঞান থেকে আসে। বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় দৈনন্দিন বিজ্ঞান থেকে সাধারণত ব্যবহারিক জীবনের সাথে জড়িত বিজ্ঞান সংক্রান্ত বিষয়াবলী এবং বিজ্ঞানের মৌলিক কিছু বিষয়ের ওপর প্রশ্ন করা হয়। সুতরাং বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র না হলেই যে এ বিষয়ে ভালো করা যাবে না সে ধারণা ঠিক নয়। ৮ম শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণীর সাধারণ বিজ্ঞান বইগুলো থেকেই সাধারণত মৌলিক বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। পাশাপাশি সাম্প্রতিক বিভিন্ন আবিষ্কার সংক্রান্ত বিষয়েও প্রশ্ন আসতে পারে।
গণিত
বিসিএস পরীক্ষায় বেশি নম্বর পাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে গণিত বিষয়টি। প্রশ্ন বিশ্লেষণে দেখা যায় গড়ে প্রায় ১০% প্রশ্ন আসে গণিত থেকে। আবার যেহেতু পরীক্ষায় তুলনামূলকভাবে সীমিত সময়ে সবগুলো অঙ্ক সমাধান করতে হয়। তাই দ্রুততার সাথে অঙ্ক সমাধানে ব্যাপক অনুশীলনসহ কিছু কিছু সহজ কৌশল আয়ত্ত করা প্রয়োজন। সাধারণত গণিত বিষয়ে সপ্তম, অষ্টম ও নবম-দশম শ্রেণীর সিলেবাস থেকে প্রশ্ন করা হয়। অতএব সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান ও গণিত (পাটিগণিত, বীজগণিত ও জ্যামিতি) বইগুলোর সমন্বয়ে রচিত প্রফেসর´স বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও গাণিতিক যুক্তি এবং প্রফেসর´স গণিত স্পেশাল বই দুটি অনুশীলন করতে পারেন।
গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়সমূহ : ঐকিক নিয়ম, অনুপাত-সমানুপাত, শতকরা, ক্ষেত্রফল ও পরিমাপ, বীজগণিতের সহজ সূত্রাবলী, উৎপাদক, জ্যামিতি ইত্যাদি।
তাহলে আর সময় নষ্ট না করে পুরোদমে চালিয়ে যান আপনার সর্বাত্নক প্রস্তুতি। আর এক্ষেত্রে প্রফেসর´স বিসিএস প্রিলিমিনারি সিরিজের (বাংলা, ইংরেজি, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও গাণিতিক যুক্তি, বাংলাদেশ বিষয়াবলী এবং আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী) বইগুলো আপনার প্রস্তুতিতে সহায়ক হিসেবে কাজ করতে পারে।

প্রয়োজনীয় সব বাংলা 🕮ই-বুক

প্রয়োজনীয় সব বাংলা 🕮ই-বুক বা বই, 💻সফটওয়্যার ও 🎬টিটোরিয়াল কালেকশ সংগ্রহ করতে!
আপনারা সামান্য একটু সময় ব্যয় করে ,শুধু এক বার নিচের লিংকে ক্লিক করে এই কালেকশ গুলোর মধ্যে অবস্থিত বই ও সফটওয়্যার এর নাম সমূহের উপর চোখ বুলিয়ে 👓👀 নিন।”তাহলেই বুঝে যবেন কেন এই ফাইল গুলো আপনার কালেকশনে রাখা দরকার! আপনার আজকের এই ব্যয়কৃত সামান্য সময় ভবিষ্যতে আপনার অনেক কষ্ট লাঘব করবে ও আপনার অনেকে সময় বাঁচিয়ে দিবে।
বিশ্বাস করুন আর নাই করুনঃ-“বিভিন্ন ক্যাটাগরির এই কালেকশ গুলোর মধ্যে দেওয়া বাংলা ও ইংলিশ বই, সফটওয়্যার ও টিউটোরিয়াল এর কালেকশন দেখে আপনি হতবাক হয়ে যাবেন !”
আপনি যদি বর্তমানে কম্পিউটার ব্যবহার করেন ও ভবিষ্যতেও কম্পিউটার সাথে যুক্ত থাকবেন তাহলে এই ডিভিডি গুলো আপনার অবশ্যই আপনার কালেকশনে রাখা দরকার !
মোট কথা আপনাদের কম্পিউটারের বিভিন্ন সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান ও কম্পিউটারের জন্য প্রয়োজনীয় সব বই, সফটওয়্যার ও টিউটোরিয়াল এর সার্বিক সাপোর্ট দিতে আমার খুব কার্যকর একটা উদ্যোগ হচ্ছে এই ডিভিডি প্যাকেজ গুলো।আশা করি এই কালেকশন গুলো শিক্ষার্থীদের সকল জ্ঞানের চাহিদা পূরন করবে…!
আমার আসল উদ্দেশ্য হল, কম্পিউটার ও মোবাইল এইডেড লার্নিং ডিভিডি কার্যক্রম এর মাধ্যমে সফটওয়্যার, টিটোরিয়াল ও এইচডি কালার পিকচার নির্ভর ই-বু বা বইয়ের সহযোগিতায় শিক্ষাগ্রহন প্রক্রিয়াকে খুব সহজ ও আনন্দদায়ক করা।
এবং সকল স্টুডেন্ট ও টিচারকে কম্পিউটার ও মোবাইল প্রযুক্তির সম্পৃক্তকরণ এবং সকল শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের প্রযুক্তিবান্ধব করা এবং একটা বিষয় ক্লিয়ার করে বুঝিয়ে দেওয়া যে প্রযুক্তি শিক্ষাকে আনন্দদায়ক করে এবং জ্ঞান অর্জনের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি করে…
🎯 কালেকশ সম্পর্কে বিস্তারিত 👀জানতেঃ নিচের লিংকে 👆ক্লিক করুন
www.facebook.com/tanbir.ebooks/posts/777596339006593

এখানে👆 ক্লিক করুন

🎯 সুন্দর ভাবে বুঝার জন্য নিচের লিঙ্ক থেকে ই-বুক্টি ডাউনলোড করে নিন...
📥 ডাউনলোড 👆 লিংকঃ এখানে👆ক্লিক

আপডেট পেতে

আপডেট ই-বুক

Recent Posts

মন্তব্য দিন

আমার সম্পর্কে !