ভিজিটর সংখ্যা

জনপ্রিয়

T@NB!R ব্লগ সংরক্ষাণাগার

Blogger দ্বারা পরিচালিত.

Social

Random Post

নাম

your name

ইমেল *

Your Email

বার্তা *

your message

Pages

Like Us On Facebook

Popular Posts

বুধবার, ১ জানুয়ারী, ২০১৪

postheadericon টাইম ট্রাভেল বা সময় ভ্রমণ কীঃ স্টিফেন হকিংসের

টাইম ট্রাভেল বা সময় ভ্রমণ এর ধারনাঃ
টাইম ট্রাভেলের নাম শুনলেই এই সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায়। এর মানে, টাইম ট্রাভেল হচ্ছে এমন একটা মাধ্যম যা দ্বারা আমরা অতীত ও ভবিষ্যতে যেতে পারি।
 আলবার্ট আইন্সটাইন বলেছেন আলোর গতি সর্বাধিক। সেকেন্ডে ৩০কোটি মিটার। গতিটি অনেক বেশি বলে একে সর্বাধিক ধরা হয়। সকল বিজ্ঞানীরা এর সাথে একমত।
কিন্তু তাই বলে কি এই গতিতে গেলে টাইম ট্রাভেল করা সম্ভব?
 হ্যাঁ। বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং এর মতে সম্ভব। অর্থাৎ তার মতে, আমরা যদি আলোর গতিতে যেতে পারি তবে ভবিষ্যতে এবং অতীতে যখন ইচ্ছা যেতে পারবো।
 কিন্তু, এই মহা বিজ্ঞানীরা যারা টাইম ট্রাভেল বিশ্বাস করে, তারা যদি সময়ের মূল অর্থ জানতো তাহলে, এরা মোটেই এই কথা বলতে পারতনা। সময়ের সঠিক সংজ্ঞা এখনো কোনো বিজ্ঞানী-ই দিতে পারেনি।
 কারণ, সময় বলতে কিছুই নেই। সময় শুধু আমাদের একটা ধারণা যা আমরা শুধু চিন্তা করতে পারে। সময় আবিষ্কারের মূল উদ্দ্যেশ্য হলো আমরা কখন কী কাজ করবো তার একটা নির্দিষ্ট ধারণা পাওয়া। সময় আবিষ্কার হয়েছিল হিসাব-নিকাশ জন্যে।
সময় কবে প্রথম আবিষ্কার হয়েছিলো তার সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই।
তবে সময় আবিষ্কারের আগে মানুষ চন্দ্র ও সূর্য দেখে মানুষ ধারণা করে নিত কখন কী কাজ করতে হবে। তাদের কষ্ট কমানোর জন্য তারা সময় আবিষ্কার করেছিলো।
 আমার মতে সময়ের সংজ্ঞা হবে এমনঃ
সময় হচ্ছে আমরা যা দেখি, দেখেছিলাম, দেখব যা করি করেছিলাম, করি , করবো। কিন্তু এই সময়ের কোনো অস্তিত্ত্ব নেই।
 আর যদি সময়ের অস্তিত্ত্ব থাকে তবে বলবোঃ সময়ের গতি-ই সর্বোচ্চ।
কারণ, বর্তমান ধারণা মতে সর্বোচ্চ আলোর গতিকে পরিমাপ করতে হলেও সময়ের প্রতি সেকেন্ডকে একক ধরা হয়। আলো ৩০ কোটি মিটার অতিক্রম করে ১ সেকেন্ডে।
কিন্তু এই ১ সেকেন্ড সময়টাও কিন্তু অনেকক্ষণ।
 আমরা যা দেখি অর্থাৎ বর্তমান আরো তাড়াতাড়ি ঘটে। আর সময়ের গণনাকৃত সর্ব নিন্ম মান হলোঃ  ১ ক্রোনোম সেকেন্ড এটি হলো ১ সেকেন্ডের ১ ট্রিলিওন ও ১ বিলিওন ভাগের এক ভাগ। তার থেকে আরো কম-ও হতে পারে যা অসীম পর্যন্ত যাবে।
 অর্থাৎ আমাদের বর্তমান ঘটে যায় ১ ক্রোনোম সেকেন্ডের ও কম সময়ে।
 অর্থাৎ, আলোর গতি ৩০ কোটি মিটার যেতে অতীত ও বর্তমানকে স্পর্শ করে।
তাঁর মানে ১ সেকেন্ডে আলো যদি সেকেন্ডে ৩০০০০০০০০ মিটার X  ১ ট্রিলিওন ও ১ বিলিওন গতি উৎপন্ন করে বর্তমানের গণনাকৃত সর্বনিম্ন সময়ের মানকে পার করতে পারে তবে টাইম ট্রাভেল করলেও করা যেতে পারে।
 অর্থাৎ আলোর না, সময়ের অস্তিত্ত্ব থাকলে সময়ের গতির মান-ই অধিক হত ।
 ৩০০০০০০০০মিটার সময়ের গণনাকৃত গতির সামনে কিছুই না। সেকেন্ডে ৩০০০০০০০০ মিটার বেগে  গেলে আমরা শুধু সেকেন্ডে ৩০০০০০০০০ মিটার দুরত্ত্বই অতিক্রম করব। সময়ের গতিকে পার করতে হলে এই গতিকে ১ ট্রিলিওন ও ১ বিলিওন দিয়ে গুণ করতে হবে।
 কিন্তু আমরা, মোটামুটিভাবে টাইম ট্রাভেল করছি। কারণ সময়ের গতি আমাদের পৃথিবীকে প্রতি ক্রোনো সেকেন্ডেই ভবিষ্যতে নিয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ আমরা সকলে সাধারণ টাইম ট্রাভেল করছি। 
আর আমরা আমাদের ভবিষ্যতের অতীতে আছি।এটি হলো সাধারণ সময় ভ্রমণ তত্ত্ব (General theory of Time travel)

 বিস্তারিত বুঝতে নিচের ইউটিঊব ভিড়িও গুলো দেখুন
https://www.youtube.com/watch?v=au5i1Bw725o

https://www.youtube.com/watch?v=C3-aiIlJfxU

https://www.youtube.com/watch?v=_iby0vsD9C4

 https://www.youtube.com/results?search_query=time+travel

সময় পরিভ্রমণ বা Time Travel! বিস্তারিত ব্যাখ্যাঃ 

সময় পরিভ্রমণ শুনলেই আমরা কল্পবিজ্ঞানের নানা গল্পের মাঝে হারিয়ে যাই! যেখানে কোন বিজ্ঞানী তার নিজের তৈরি টাইম মেশিনে চড়ে চলে যায় সুদূর ভবিষ্যতে, ভবিষ্যৎ থেকে চলে আসে কোন খুনে রোবট, ইত্যাদি ইত্যাদি। মজার বিষয় হচ্ছে শুনতে যতই অবাস্তব বা অবৈজ্ঞানিক মনে হোক না কেন, আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানে কিন্তু সময় পরিভ্রমণ বা টাইম ট্রাভেল তাত্ত্বিকভাবে সম্ভব্ একটি ঘটনা, আর এটি কোন যেনতেন ব্যক্তির উক্তি নয়, বর্তমান বিশ্বের সবচাইতে ক্ষমতাধর ও প্রতিভাশালী বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংস স্বয়ং এই সম্ভাবনার কথা বলেছেন! এবার নিশ্চয়ই আর বিষয়টাকে মজা মনে হবে না, তাই না?
নানান কবি সাহিত্যিক সময়কে নদীর সাথে তুলনা করেছেন! সময় ও নদী দুটোই প্রবাহিত হতে থাকে তার আপন গতিতে, এটি বহু পুরানো এক উক্তি। তবে বিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গিতেও সময় কিন্তু একটি স্বতঃ প্রবহমান নদীর মতই আচরণ করে। স্টিফেন হকিংস বলেন, “এটি ভিন্ন ভিন্ন জায়গায়, ভিন্ন ভিন্ন গতিতে প্রবাহিত হয়(ঠিক যেমন সমতল ভূমিতে ধীরে আর পাহাড়ি ঢাল বেয়ে দ্রুত বয়ে চলে নদী), আর এটাই হল ভবিষ্যতে গমনের একমাত্র চাবিকাঠি।“ এটি এমন একটি চিন্তা যা আজ থেকে ১০০ বছর আগে খোদ আইনস্টাইন উল্লেখ করে গিয়েছিলেন।


একটা সময় ছিল যখন আমরা বিভিন্ন ইংরেজি চলচ্চিত্রে দেখতাম ভবিষ্যৎ থেকে কোন ব্যক্তি চলে আসছে অতীতে যখন তার বাবা মার পরিচয় পর্যন্ত হয়নি! বা কোন খুনি রোবট চলে এসেছে ভবিষ্যৎ থেকে মানবজাতির শেষ আশার আলো নিভিয়ে দেয়ার জন্য। এতদিনে তাহলে অন্তত কেউ না কেউ ভবিষ্যৎ থেকে আমাদের সময়ে নিশ্চয়ই চলে আসত! কিন্তু এমন কেউই কখনও আসেনি। এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে স্টিফেন হকিংস বলেন, “ভবিষ্যৎ থেকে এখনও আমাদের মাঝে কেউ এসে উপস্থিত হয় নি কারণ তা আসলে সম্ভব নয়। তাছাড়া ভবিষ্যৎ বা বর্তমান সময় থেকে অতীতে চলে গেলে একটি Paradox বা ধাঁধাঁর সৃষ্টি হবে যা বিজ্ঞানীদের কাছে Grandfather Paradox নামে পরিচিত। ধাঁধাঁটি এরকম, ধরুন এক ব্যক্তি সময় ভ্রমণ করে অতীতে চলে গিয়ে তার দাদাকে খুন করল! তাহলে কি হবে? তার দাদা মারা গেলে তো তার বাবাই জন্মাবেন না, আর তার বাবা না থাকলে তার তো থাকার প্রশ্নই ওঠে না! আর সে যদি নাই থাকে, তাহলে তার দাদাকে খুনই বা কে করবে? বৈজ্ঞানিক যুক্তি দিয়ে এসব প্রশ্নের কোন সদুত্তর পাওয়া যায় না। তাই সময় ভ্রমণ করে অতীতে যাওয়া অবাস্তব একটি চিন্তা। তবে আশার কথা ভবিষ্যতে যেতে আমাদের কোন বাঁধা নেই!”
আমরা আমাদের সারাটি জীবন একটি গণ্ডির ভেতরে পার করি, আর তা হল মাত্রা। মাত্র তিনটি মাত্রায়ই আমরা প্রতিটি বস্তুকণার অবস্থান নির্ণয় করতে পারি, এরা হল দৈর্ঘ্য, প্রস্থ আর উচ্চতা। স্টিফেন হকিংস বলেন, “ধরি আমরা একটি দ্রুতগামী গাড়িতে চড়েছি, গাড়িটা যখন রাস্তার উপর থেকে সোজা চলে যায়, তখন এর বিচরণ ঘটে একটি মাত্রায়। গাড়িটি ডানে বা বামে গেলে এটি দ্বিতীয় মাত্রায় প্রবেশ করবে। এবার গাড়িটি যদি কোন আঁকাবাঁকা পাহাড়ি রাস্তার ঢাল বেয়ে উপরে বা নিচে নামে তাহলে এটি আরও একটি মাত্রা অর্থাৎ তিনটি মাত্রাতেই চলাচল করল।“ তবে আরও একটি মাত্রা আছে যা আমরা দেখতে বা অনুভব করতে না পারলেও ঠিক ঠাক হিসেব কিন্তু ঠিকই করতে পারি! এটা হল সময়, চতুর্থ মাত্রা! সময় নদীর মত সবসময় সামনের দিকে এগিয়ে যায়।একে আজ পর্যন্ত কেউ বাঁকাতে, ধীর করতে বা বন্ধ করতে পারে নি। তবে তার মানে এই নয় যে সময়কে বশে আনা অসম্ভব!
একটা সময় এমন ছিল যখন বিজ্ঞানীরা সময় পরিভ্রমণের বিষয়টা নিয়ে কথা পর্যন্ত বলতে চাইতেন না। স্টিফেন হকিংস নিজেই এ বিষয়টাকে তার ছাত্রজীবনে এড়িয়ে যেতে চাইতেন। তবে তিনি এটি নিয়ে এখন অনেক বেশি আশাবাদী এবং যৌক্তিক ব্যাখ্যাদানে সক্ষম। আমাদের এই মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির (Milky Way Galaxy বাংলায় যার নাম আকাশগঙ্গা) কেন্দ্রে রয়েছে একটি বিশাল বপু Super Massive Black Hole বা অতিকায় ভারী কৃষ্ণবিবর তা আমরা হয়ত অনেকেই জানি!কিন্তু আমরা কি জানি যে এই দানবীয় ব্ল্যাক হোল আবার একটি টাইম মেশিনও বটে? হ্যাঁ শুনতে গল্প মনে হলেও বর্তমান যুগের সবচাইতে প্রতিভাধর বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংস কিন্তু তাই বলেছেন! আর তার এই মতবাদ প্রতিষ্ঠিত গাণিতিক যুক্তির ভিত্তিতেই, কোন কল্পনা বা ধারণার উপর নয়।
তা কেমন ভারী এই দানব? হিসেবটা আক্ষরিক ভাবেই আমাদের কল্পনাতীত! কারণ আমরা যে এককে কোন জিনিসের ভর নির্ণয় করি, সেই এককে সংখ্যাটি হবে ৮২,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০০ কেজি যা আমাদের সূর্যের (এই সৌরজগতের সবচাইতে ভারী বস্তু) চাইতে ৪১ লক্ষ গুণ বেশি!! এই অতি দানবীয় ভর ও আকৃতির জন্য এই কৃষ্ণ গহ্বরের ক্ষমতাও অপরিসীম! শুধু আলোই নয়, সময়ের স্রোত পর্যন্ত এই দানবের কাছে এসে ধীর হয়ে আসে! আর একারণেই এটি একটি টাইম মেশিনের কাজ করে।
কোন ভারী বস্তু যে সময়-কে পর্যন্ত ধীর করে দিতে পারে তা আমরা প্রথম হাতে কলমে পর্যবেক্ষণ করতে পারি কৃত্রিম উপগ্রহ বিশেষ করে Global Positioning System (GPS) Satellite আবিষ্কারের পর। এই GPS স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহগুলিতে অত্যন্ত নিখুঁত ঘড়ি বসান হয়, কিন্তু এরা যতই নিখুঁত হোক না কেন প্রতিদিনই এদের সময় এক সেকেন্ডের শত কোটি ভাগের, এক ভাগের এক তৃতীয়াংশ করে বেড়ে যায়! দোষ আসলে এই ঘড়িতে নয়, এর কারণ হচ্ছে পৃথিবীর বাইরে সময় পৃথিবী পৃষ্ঠের তুলনায় দ্রুত প্রবাহিত হচ্ছে! তো প্রতিদিনই এই ঘড়িগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে পৃথিবীর সময়ানুযায়ী নিজেদের ঠিক করে নেয়, তা না হলে সারা পৃথিবীর আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার যে কি সর্বনাশটাই না হত, তা ভাবলেও গা শিউরে উঠবে!
পৃথিবী যেমন সময়কে কিছুটা হলেও টেনে ধরতে পারে, তেমনি আমাদের ছায়াপথের কেন্দ্রের অতিকায় ভারী কৃষ্ণ গহ্বরটিও তার ভরের কারণে সময়কে অনেক খানি ধীর করে দিতে পারবে। অর্থাৎ, আমরা যদি কখনও আমাদের সৌরজগত থেকে ২৬,০০০ আলোকবর্ষ (Light-year, আলো সেকেন্ডে ১,৮৬,০০০ মাইল বেগে, এক বছরে যে দূরত্ব অতিক্রম করে) দূরে আমাদের অতিকায় ভারী কৃষ্ণ গহ্বর-এর কাছাকাছি পৌছাতে পারি আর এমন এক দ্রুতগামী(!) মহাশূন্যযান বানাতে পারি যা কিনা এর কিনারা ঘেঁষে চক্কর কাটলেও এর টান এড়িয়ে যেতে সক্ষম হবে, তাহলে ঐ যানের ভেতরে থাকা কোন ব্যক্তির জন্য সময় আমাদের পৃথিবীর সময়ের তুলনায় অর্ধেক হয়ে যাবে! অর্থাৎ, ঐ নভোচারী যদি আধা-ঘণ্টা ধরে ঐ ব্ল্যাক হোলটির চারপাশে চক্কর কাটেন, তবে পৃথিবীর হিসেবে তা হবে এক ঘণ্টা!
কিন্তু আমাদের বর্তমান পরিস্থিতিতে এমন একটি মহাশূন্যযান তৈরি অসম্ভব আর এতে সময় ভ্রমণ করে আমাদের পোষাবেও না, কে চাইবে এত ঝক্কি ও বিপদ মাথায় নিয়ে মাত্র দ্বিগুণ সময়ের ভবিষ্যতে যেতে?


 সময় ভ্রমণের আরেকটি মজার ধারণা হল Wormhole এর ধারনা। Worm Hole আসলে হচ্ছে বই-এর পোকা বা Book Worm দের বানান ছিদ্র যা কোন বইকে এফোঁড় ওফোঁড় করে দেয়। এই বই-এর ছিদ্রের মতই স্থান-কাল (Space-time) এর সংকোচন-এর কারণে তৈরি হতে পারে এমন এক ছিদ্র যা স্থান-কালকে এফোঁড় ওফোঁড় করে দিতে পারে, আর তাই এর নাম দেয়া হয়েছে Wormhole. এই মহাবিশ্বের কোন বস্তুই প্রকৃত-ভাবে মসৃণ নয়। একটি মসৃণ Snooker খেলার বলকেও যদি ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপের নিচে রেখে দেখা যায়, তাহলে দেখা যাবে এর উপরটা একেবারেই এবড়ো খেবড়ো। সময়কে আমরা যদি একটি চাদরের সাথে তুলনা করি, তাহলে দেখব এটিও কোন মসৃণ কিছু না, এর ভেতরেও আছে অসংখ্য ভাঁজ ও বক্রতা। আর এই বক্রতা দুটি ভিন্ন সময়কে একসাথে কাছাকাছি নিয়ে এসে তৈরি হতে পারে অতি ক্ষুদ্র Wormhole-এর। তবে সাধারণত এই বক্রতাগুলি আমাদের চুলের কয়েক কোটি কোটি কোটি ভাগের এক ভাগ হয়ে থাকে, যার ভেতর দিয়ে আমাদের কোথাও যাওয়া সম্ভব নয়। আবার কোনভাবে এই ক্ষুদ্র Wormhole-কে টেনে হিঁচড়ে বড় করাও যদি সম্ভব হয়, তাহলে নতুন এক সমস্যার সৃষ্টি হবে। আমরা যখন কোন কন্সার্টে যাই, তখন প্রায়ই একটি তীক্ষ্ণ আওয়াজ শুনি, যাকে ইংরেজিতে বলে Amplifying Effect বা Feedback System. এক্ষেত্রে যেটি হয়, যে মাইক্রোফোনের মাধ্যমে কোন গান বা বাদ্যযন্ত্রের শব্দ অ্যামপ্লিফায়ারের মাধ্যমে উচ্চস্বরে ধ্বনিত হয়। এই শব্দ যদি ঘুরে আবারো মাইক্রোফোনে চলে যায়(একটি Feedback) তাহলে তা আবারো অ্যামপ্লিফায়ারের কারণে আরও উচ্চস্বরে,এভাবে শব্দ যতবার ঘুরতে থাকবে (অসংখ্য Feedback) ততবার উচ্চ থেকে উচ্চতর মাত্রায় উঠতে থেকে প্রচণ্ড শব্দে পরিণত হয় আর তা থামান না হলে একসময় তা সব স্পিকার নষ্ট করে দেবে সেই সাথে আমাদের কানও!
http://www.facebook.com/10152049959232103
যদি Wormhole-কে টেনে বড় করা হয় তাহলে এক্ষেত্রে শব্দের পরিবর্তে শক্তির বিচ্ছুরণ ঘটতে শুরু করবে! কারণ দুটি ভিন্ন সময়ের সংযোগের কারণে প্রাকৃতিক তেজঃশক্তি (Radiation) এই Wormhole-এ প্রবেশ করে একটি সময়-কাল থেকে অন্য সময়-কালে চক্রাকারে ঘুরতে ঘুরতে বৃদ্ধি পেতে থাকবে আর একে সময় ভ্রমণের জন্য ব্যবহার করার আগেই এক বিশাল বিস্ফোরণের মাধ্যমে ধ্বংস হয়ে যাবে। তবে আমাদের হাতে আছে আরও একটি পদ্ধতি, স্টিফেন হকিংসের মতে এটিই সবচাইতে গ্রহণযোগ্য ও নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি, আর তা হল গতি!
আমাদের এই মহাজগতের (Universe) একটি গতি-সীমা আছে, যা কোন বস্তুই লঙ্ঘন করতে পারেনা, আর তা হল আলোর গতি। এই গতির কাছাকাছি যেতে পারলেই আমরা ভবিষ্যতে চলে যেতে পারব। এর কারণ হল আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্বের একটি সূত্র। এই সূত্র অনুযায়ী, কোন গতিশীল বস্তুর গতি আলোর গতির যত কাছাকাছি হবে, সে তত সুদূর ভবিষ্যতে গমন করতে পারবে! সূত্রটি এরকম,
t^'=t√(1-v^2/c^2 )
এখানে, t’ = গতিশীল বস্তুর সময়
t = স্থির সময় (এ ক্ষেত্রে পৃথিবীর সময়)
V= বস্তুর গতিবেগ এবং
c= আলোর গতিবেগ
বিষয়টি আমাদের কাছে স্টিফেন হকিংস তুলে ধরেছেন এভাবে, “চিন্তা করুন ২০৫০ সালের ১লা জানুয়ারি, একটি অতি শক্তিশালী ট্রেন প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে রওনা হল যার গতিবেগ হবে আলোর প্রায় কাছাকাছি। আলোর বেগে চলতে হলে ট্রেনটিকে পুরো পৃথিবী চক্কর দিয়ে আসতে হবে সেকেন্ডে ৭ বার! কিন্তু ট্রেনটি যতই শক্তিশালী হোক না কেন, এটি ঠিক কখনই আলোর গতিবেগ অর্জন করতে পারবে না, কারণ পদার্থ বিজ্ঞান তার কোন অনুমোদন দেয় না। এর চেয়ে বরং ধরা যাক ট্রেনটি আলোর বেগ থেকে সামান্য কিছু কম বেগ নিয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে! এই অবস্থায় একটি অত্যাশ্চর্য ঘটনা ঘটবে। ট্রেনের ভেতরে সময় ধীর গতিতে চলতে শুরু করবে। মজার বিষয়, ট্রেনে বসা কোন ছোট্ট মেয়ে যদি এক কামরা থেকে দৌড়ে আরেক কামরায়ও যায়, তাহলে ট্রেনের গতির সাথে তার গতি মিলে আকস্মিকভাবে আলোর গতির থেকে বেশি বেগ অর্জন করার কথা, কিন্তু ট্রেনের ভেতর সময় এতটাই ধীর হয়ে আসবে যে এমনটা হবার কথা থাকলেও তা কখনওই হবে না!এভাবে ট্রেনটির অভিযাত্রীরা সবাই একেকজন সময় পরিভ্রমণকারী হবেন। এরপর ২১৫০ সালের ১লা জানুয়ারি ট্রেনটি তাদের আবারো সেই স্টেশনে নামিয়ে দিবে। বাইরের হিসেবে তখন পার হয়ে যাবে ১০০ বছর, অথচ ট্রেনের যাত্রীদের জন্য সময়টা হবে মাত্র এক সপ্তাহ।“
স্টিফেন হকিংস বলেন,”অবশ্যই এধরণের একটি ট্রেন তৈরি করা অসম্ভব তবে আমরা সুইজারল্যান্ডের জেনেভায়, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কণিকা ত্বরণকারক (Particle Accelerator) SERN-এ এই ট্রেনের মতই একটি জিনিস তৈরি করেছি। মাটির অনেক গভীরে ১৬ মাইল লম্বা একটি বৃত্তাকার টানেলে কয়েক ট্রিলিয়ন কণার ধারা রয়েছে। যখন এর মাঝে শক্তি সঞ্চার করা হয়, তখন এসব কণার বেগ, এক সেকেন্ডের ভগ্নাংশ সময়ের ভেতরে, শূন্য থেকে ৬০,০০০ মাইল প্রতি ঘণ্টায় উন্নীত হয়। শক্তি আরও বৃদ্ধি করতে থাকলে এইসব কণাদের গতিও বাড়তে থাকে এবং একসময় এরা এক সেকেন্ডের ভেতর টানেলটি ১১,০০০ বার অতিক্রম করা আরম্ভ করে, যা আলোর গতির প্রায় কাছাকাছি কিন্তু সেই ট্রেনটির মতই এরাও ঠিক সেই চরম গতিবেগে কখনওই লাভ করে না। তারা শুধুমাত্র ৯৯.৯৯ শতাংশ বেগ অর্জন করতে পারে। তারপর কি হয়? তারপর এই সব কণা হয়ে যায় এক একটি সময় ভ্রমণকারী। আমরা এটা জানি কারণ হল কিছু অতি ক্ষণস্থায়ী কণা যারা পাই মেসন নামে পরিচিত। সাধারণত এরা এক সেকেন্ডের ২৫ শ’ কোটি ভাগের একভাগ সময়ের মাঝেই ধ্বংস হয়ে যায়! কিন্তু যখন এদের প্রায় আলোর বেগে ছোটান হয়, তখন এরা ৩০ গুণ বেশি সময় ধরে স্থায়ী থাকে!”
এটি আসলেই এত সহজ এক সমীকরণ, ভবিষ্যতে যেতে হলে আমাদের প্রচণ্ড বেগে ছুটতে হবে। আর তা সম্ভব শুধুমাত্র মহাশূন্যেই। মানবসৃষ্ট সবচাইতে দ্রুতগতির যান হল, অ্যাপোলো-১০। এটি ঘণ্টায় ২৫,০০০ মাইল গতিতে ছুটতে পারত। কিন্তু সময় ভ্রমণের জন্য আমাদের এর থেকেও ২,০০০ গুণ বেশি গতিতে ছুটতে হবে। আর সেজন্য আমাদের দরকার একটি অনেক অনেক গুণ বড় মহাশূন্যযান। স্টিফেন হকিংস একটি দারুণ স্বপ্ন দেখেন। তিনি বলেন “সময় ভ্রমণের জন্য আমদের দরকার হবে এক অতিকায় মহাকাশ যানের। এর বিপুল পরিমাণ জ্বালানী বহন ক্ষমতা থাকতে হবে যা একে আলোর গতিবেগের কাছাকাছি বেগে নিয়ে যেতে যথেষ্ট হবে। এই মহাজাগতিক গতি-সীমার দ্বারপ্রান্তে যেতে একে পূর্ণ-শক্তিতে প্রায় ৬ বছর ধরে চলতে হবে।
প্রাথমিক ভাবে এই অতিকায় যানের ত্বরণ হবে খুব ধীর কারণ এর আকার হবে অনেক বিশাল,এবং ভরও হবে অনেক অনেক বেশি, প্রায় আমাদের চাঁদের সমান। কিন্তু শীঘ্রই এটি দ্রুততর হয়ে উঠবে এবং বিশাল দূরত্ব পাড়ি দিতে শুরু করবে। এক সপ্তাহে এটি নেপচুনের কাছাকাছি চলে যাবে। ২ বছরে এটি আলোর গতিবেগের অর্ধেক লাভ করবে, এসময় এটি সৌরজগতের গণ্ডি পেরিয়ে অনেক দূর পৌঁছে যাবে। আরও দু’ বছর পর এটি আলোর গতিবেগের প্রায় ৯০ শতাংশ গতি লাভ করবে। পৃথিবী থেকে ৩০ ট্রিলিয়ন (১ ট্রিলিয়ন = ১,০০০ বিলিয়ন = ১,০০,০০০ কোটি) মাইল দূরে এবং উৎক্ষেপণের ৪ বছর পর যানটি সময় ভ্রমণ শুরু করবে। যানটির প্রতি ঘণ্টা সময়ে তখন পৃথিবীতে ২ ঘণ্টা পার হবে, অর্থাৎ সেই আমাদের ছায়াপথের কেন্দ্রের অতিকায় ভারী কৃষ্ণগহ্বরের চারপাশে চক্কর কাটলে যা হত, তাই। পূর্ণ-শক্তিতে আরও ২ বছর চলার পর যানটি তার সর্বোচ্চ গতি-সীমায় পৌঁছে যাবে,আলোর গতির ৯৯ শতাংশ গতি। এই বেগে যানটিতে অতিবাহিত এক দিন পৃথিবীতে কাটান পুরো একটি বছরের সমান হবে। আমাদের মহাশূন্যযান তখন প্রকৃত অর্থেই ভবিষ্যতের ভেতর দিয়ে ছুটে চলবে।“
এভাবে চলার আরও একটি বড় উপকারিতা হবে মানুষ তার জীবদ্দশায় অনেক বিশাল দূরত্ব পাড়ি দিতে পারবে। যেমন আমাদের গ্যালাক্সির প্রান্ত সীমায় পৌছাতে সময় লাগবে মাত্র ৮০ বছর।


টাইম ট্রাভেলের কয়েকটি অদ্ভুত কিন্তু `সত্য` ঘটনা! 

টাইম ট্রাভেল বা সময় পরিভ্রমণ কি আসলেই সম্ভব? পদার্থবিজ্ঞান কী বলে? যদি সম্ভব হয় তবে কীভাবে? আর যদি সম্ভব না হয় তবে কেন নয়? আপাতত তর্কটিকে এক পাশে রেখে জেনে নেয়া যাক কিছু অদ্ভুত ঘটনা, যেগুলোর কোন যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা পাওয়া যায় নি আজো। কিছু ঘটনা ভবিষ্যতের সামনে এগিয়ে আসার, কিছু ঘটনা অতীতে চলে যাওয়ার, আবার কোথাও হয়তো স্থির হয়ে আছে বহমান সময়- এমনই এক ঝাঁক "সত্য" কাহিনী নিয়ে এই আয়োজন।

(১)ভবিষ্যতে চলে যাওয়ার সত্যিকারের ঘটনা?
১৯৩৫ সালের ঘটনা। ব্রিটিশ রয়েল এয়ার ফোর্সের এয়ার মার্শাল স্যার ভিক্টর গডডার্ড যখন তার হকার হার্ট বাইপ্লেন নিয়ে আকাশে উড়লেন, তখন বেশ অদ্ভুত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলেন। সেই সময়ে গডডার্ড ছিলেন একজন উইং কমান্ডার। তিনি যখন স্কটল্যান্ডের এডিনবার্গ থেকে ইংল্যান্ডের এন্ডোভারে নিজের এয়ার বেজে ফিরে আসছিলেন। তিনি এডিনবার্গ থেকে কিছুটা দূরে ড্রেম নামে একটি পরিত্যক্ত এয়ার ফিল্ডের উপর দিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিলেন। এককালে এখানে বিমান উঠানামা করতো, কিন্তু সেখানে তখন চড়ে বেড়াতো গরু। ভিক্টর তার বিমান নিয়ে এগিয়ে চলছিলেন, কিন্তু হঠাৎই এক অদ্ভুত ঝড়ের মুখোমুখি হলেন। বাদামি-হলুদ রঙের মেঘের মাঝে হারিয়ে যেতে লাগলো তার বিমান, তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললেন। তীব্র গতিতে বাঁক খেতে খেতে তার বিমানটি দ্রুত মাটির দিকে এগিয়ে যেতে লাগলো। কোনোমতে ভিক্টর বিমানটিকে নিয়ন্ত্রণ করলেন, ঝড় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, তিনি দেখলেন তার বিমান ফেলে আসা সেই পরিত্যক্ত ড্রেম এয়ার ফিল্ডের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

কিন্তু এ কী! পরিত্যক্ত এয়ার ফিল্ড আর পরিত্যক্ত তো নেই!

সেখানে হ্যাঙ্গার বা বিমান রাখার স্থানে ৪ টা বিমান রাখা ছিল। তিনটি বিমানই ছিল বাইপ্লেন যা ভিক্টরের অত্যন্ত পরিচিত। কিন্তু অদ্ভুত বিষয় হচ্ছে, এদের গায়ে ছিল পুরনো আমলের ভিন্ন ধরণের রঙ। চতুর্থ বিমানটি ছিল একটি মনোপ্লেন, কিন্তু ১৯৩৫ সালে ব্রিটিশ রয়েল এয়ার ফোর্সের কোন মনোপ্লেন ছিল না! শুধু তাই নয়, বিমানগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের কাজে নিয়োজিত কর্মীরা ল্যান্ডের পর তাকে বা তার বিমানকে দেখলোই না, নিজেদের মত কাজ করে যাচ্ছিলো! ভিক্টর যখন আবার ড্রেম এয়ার ফিল্ড ত্যাগ করলেন, তখন আবার ঝড় শুরু হলো। কিন্তু তিনি নিরাপদে এন্ডোভারে ফিরে আসেন। এরপর ১৯৩৯ সালে রয়েল এয়ার ফোর্সের বিমানগুলো হলুদ রঙে রঙ করা হয়, কর্মীদের পোশাকের রঙ হয়ে যায় নীল। ভিক্টর কি কিছু সময়ের জন্য ১৯৩৫ সাল থেকে ১৯৩৯ সালে চলে গিয়েছিলেন?

(২)অতীত আর বর্তমান সময়ের ঘূর্ণিতে আটকে যাওয়া
লেখক স্কট কোরালেসকে এ ঘটনা সম্পর্কে বলেন চিকিৎসক ডা. রাউল রায়োস সেন্তেনো। ঘটনাটি রাউলের একজন রোগীর। ৩০ বছর বয়সী সে তরুণীর দেহের এক পাশ পুরোপুরিভাবে অচল বা প্যারালাইজ হয়ে গিয়েছিল। তিনি পেরুর রাজধানী লিমা থেকে ৩৫ মাইল দূরে মারকাহুয়াসি নামে স্টোন ফরেস্টে গিয়েছিলেন বন্ধুদের সাথে। রাতের বেলা তিনি ও তার কয়েকজন বন্ধু অভিযানে বের হলেন। কিছুদূর গিয়েই তারা একটি কুটির দেখতে পেলেন। সেখানে মিটিমিটি আলো জ্বলছিল, ভেসে আসছিল গানের শব্দ। তরুণীটি দেখলেন কুটিরের ভেতর গানের তালে কয়েকজন নাচছে, তিনি কিছুটা অগ্রসর হতেই একটা খোলা দরজার সাথে ধাক্কা খেলেন। তিনি দেখলেন, ভেতরের সবার দেহেই ১৭শ শতকের পোশাক। যখনই তিনি সে কক্ষে প্রবেশ করতে যাচ্ছিলেন, তার এক বন্ধু তাকে পেছন থেকে টান দিল। আর সাথে সাথে তার দেহের এক অংশ অবশ হয়ে গেল।

কেন এরকম হলো? সেই কুটির আর তরুণীটি কি ভিন্ন ভিন্ন মাত্রা বা সময়ে অবস্থান করছিলেন? এরকম কি হতে পারে তার বন্ধু তাকে পেছন থেকে টান দেয়ায় তিনি দুই ভিন্ন সময়ের মাঝে আটকে গিয়েছিলেন? ইইজি পরীক্ষায় দেখা যায়, তরুণীটির মস্তিষ্কের বাম দিক ঠিকভাবে কাজ করছিল না, আর সেখানে অস্বাভাবিক রকমের বৈদ্যুতিক সংকেতের আদান-প্রদান হচ্ছিলো!

(৩) হামলার ১১ বছর আগে বিমান আক্রমণের পূর্বাভাস
১৯৩২ সালে জার্মান সাংবাদিক জে বার্নার্ড হাটন ও তার সহকর্মী ফটোগ্রাফার জোয়েকিম ব্রান্ডট হামবুর্গ-এল্টোনা শিপইয়ার্ডে একটি প্রতিবেদন তৈরির কাজে যান। কাজ শেষে যখন তারা যখন ফিরে আসছিলেন তখনোই তারা দূর থেকে বিমান উড়ে আসার আওয়াজ শুনতে পেলেন। তারা ভাবলেন এটা হয়তো নিয়মিত মহড়ার অংশ। কিন্তু তাদের ধারণা আতঙ্কে পরিণত হলো, যখন বিমানগুলো থেকে বোমা বর্ষণ শুরু হলো। গর্জে উঠলো শিপইয়ার্ডে থাকা বিমান বিধ্বংসী কামান। দুই সাংবাদিক দ্রুত তাদের গাড়িতে উঠলেন, আকাশ ধোঁয়াতে কালো হয়ে গিয়েছিল ও জোরে বেজে উঠেছিল সতর্কতামূলক সাইরেন। যখন তারা শিপইয়ার্ড ত্যাগ করলেন হঠাৎ করে আবিষ্কার করলেন আকাশ পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে, চারপাশে বিমান হামলার কোন চিহ্ন নেই, সব স্বাভাবিক, শান্ত। এমনকি সেই মূহুর্তে ব্রান্ডট যে ছবিগুলো তুলেছিলেন, সেখানেও কোনো অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া গেল না। সবকিছু শান্ত, চমৎকার। ছবিতেও বিমান হামলার কোনো নিশানাই নেই। কিন্তু এর প্রায় ১০ বছর পর ১৯৪৩ সালে ২য় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ব্রিটিশ বিমান বাহিনীর হামলায় পুরো শিপইয়ার্ড ঠিক সেভাবেই বিধ্বস্ত হয় যেমনটা ১১ বছর আগে হাঁটন ও ব্রান্ডট দেখেছিলেন!

(৪)যে হোটেলে সময় আটকে আছে!
১৯৭৯ সালে ইংল্যান্ডের এক দম্পতি ফ্রান্সে গেলেন ছুটি কাটাতে। ঘুরে বেড়ানোর এক পর্যায়ে তারা রাতে থাকার জন্য একটা হোটেল খুঁজছিলেন। যাওয়ার পথে তারা খুব অবাক হলেন, কারণ রাস্তার আশেপাশের বিভিন্ন জিনিস তাদের কাছে বেশ অদ্ভুত লাগছিল। খুঁজতে খুঁজতে তারা একটি পুরনো আমলের হোটেলের সামনে উপস্থিত হলেন। ভেতরে ঢুকে দেখলেন প্রায় সব কিছুই ভারি কাঠের তৈরি। আধুনিকতার কোন চিহ্নই সেখানে নেই, এমনকি কোনো টেলিফোন পর্যন্ত নয়! তাদেরকে যে কক্ষে থাকতে দেয়া হলো সেখানের দরজায় কোন তালা লাগানোর কোন ব্যবস্থা ছিল না, কাঠের ছিটকিনি ছিল। জানালার পাল্লাগুলো ছিল কাঠের ও কোনো কাচ ছিল না। পরদিন সকালে যখন তারা নাশতা করছিলেন, তখন দুজন ফরাসি পুলিশ হোটেলে ঢুকলেন খেতে। তারা পুলিশ সদস্য দুইজনের পোশাক দেখলেন, অনেক পুরনো আমলের! শুধু তাই নয়, এক রাতে সব মিলিয়ে তাদের বিল আসলো মাত্র ১৯ ফ্রাঁ!

যাই হোক বিল চুকিয়ে তারা ফ্রান্স থেকে স্পেনে চলে গেলেন। ফিরে আসার সময় চিন্তা করলেন সেই অদ্ভুত হোটেলে আবার ঘুরে আসা যেতে পারে। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখলেন হোটেলটির কোন অস্তিত্বই নেই, পুরো জায়গাটি খালি! সেখানে এর আগে যে ছবিগুলো তোলা হয়েছিল সবগুলো জ্বলে গিয়েছিল। আরো কিছু অনুসন্ধানের পর জানা গেল ওরকম পোশাক ফ্রান্সের পুলিশ পরতো ১৯০৫ সালে!

 

সীমিত ইন্টারনেট প্যাকেজের ও নেটের স্লো স্পিড়ের জন্য যারা এই ফাইল গুলো অথাবা আমার অন্যান্য ফাইল ডাউনলোড করতে পারছেন না ...!অথবা যারা ব্যস্তাতার জন্য ডাউনলোড করার সময় পাচ্ছেন না……
অথবা এতগুলো ফাইল একটা একটা করে ডাউনলোড করতে যাদের বিরক্তিকর মনে হয় …তারা নিচের লিংকে দেখুন …আশা করি আপনারা আপনাদের সমাধান পেয়ে যাবেন......
[আপনার কম্পিউটারের পরিপূর্ণতার জন্য আমার সংগ্রহের সবকিছু ]
The Ultimate Complete Collection 2015 (Complete Solution for Your Computer)
বাংলা ই-বুক, সফটওয়্যার ,শিক্ষণীয় তথ্য ও বিভিন্ন টিপস সম্পর্কে আপডেট পেতে চাইলে “বাংলা বইয়ের [ প্রয়োজনীয়_বাংলা_বই _Useful -Bangla- e-books ] এই ফেসবুক পেজে “লইক like দিতে পারেন …
জাস্ট এই পেইজের সাম্প্রতিক টিউন বা পোস্ট সমূহ একবার  দেখুন … 
www.facebook.com/tanbir.ebooks
নতুন বাংলা বই ও প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়মিত আপনার ফেসবুক ওয়ালে আপডেট পেতে চাইলে …কষ্ট আমাকে ফলো করে রাখুন
তানবীর (জিরো গ্রাভিটি)
http://www.facebook.com/tanbir.cox

প্রয়োজনীয় সব বাংলা 🕮ই-বুক

প্রয়োজনীয় সব বাংলা 🕮ই-বুক বা বই, 💻সফটওয়্যার ও 🎬টিটোরিয়াল কালেকশ সংগ্রহ করতে!
আপনারা সামান্য একটু সময় ব্যয় করে ,শুধু এক বার নিচের লিংকে ক্লিক করে এই কালেকশ গুলোর মধ্যে অবস্থিত বই ও সফটওয়্যার এর নাম সমূহের উপর চোখ বুলিয়ে 👓👀 নিন।”তাহলেই বুঝে যবেন কেন এই ফাইল গুলো আপনার কালেকশনে রাখা দরকার! আপনার আজকের এই ব্যয়কৃত সামান্য সময় ভবিষ্যতে আপনার অনেক কষ্ট লাঘব করবে ও আপনার অনেকে সময় বাঁচিয়ে দিবে।
বিশ্বাস করুন আর নাই করুনঃ-“বিভিন্ন ক্যাটাগরির এই কালেকশ গুলোর মধ্যে দেওয়া বাংলা ও ইংলিশ বই, সফটওয়্যার ও টিউটোরিয়াল এর কালেকশন দেখে আপনি হতবাক হয়ে যাবেন !”
আপনি যদি বর্তমানে কম্পিউটার ব্যবহার করেন ও ভবিষ্যতেও কম্পিউটার সাথে যুক্ত থাকবেন তাহলে এই ডিভিডি গুলো আপনার অবশ্যই আপনার কালেকশনে রাখা দরকার !
মোট কথা আপনাদের কম্পিউটারের বিভিন্ন সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান ও কম্পিউটারের জন্য প্রয়োজনীয় সব বই, সফটওয়্যার ও টিউটোরিয়াল এর সার্বিক সাপোর্ট দিতে আমার খুব কার্যকর একটা উদ্যোগ হচ্ছে এই ডিভিডি প্যাকেজ গুলো।আশা করি এই কালেকশন গুলো শিক্ষার্থীদের সকল জ্ঞানের চাহিদা পূরন করবে…!
আমার আসল উদ্দেশ্য হল, কম্পিউটার ও মোবাইল এইডেড লার্নিং ডিভিডি কার্যক্রম এর মাধ্যমে সফটওয়্যার, টিটোরিয়াল ও এইচডি কালার পিকচার নির্ভর ই-বু বা বইয়ের সহযোগিতায় শিক্ষাগ্রহন প্রক্রিয়াকে খুব সহজ ও আনন্দদায়ক করা।
এবং সকল স্টুডেন্ট ও টিচারকে কম্পিউটার ও মোবাইল প্রযুক্তির সম্পৃক্তকরণ এবং সকল শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের প্রযুক্তিবান্ধব করা এবং একটা বিষয় ক্লিয়ার করে বুঝিয়ে দেওয়া যে প্রযুক্তি শিক্ষাকে আনন্দদায়ক করে এবং জ্ঞান অর্জনের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি করে…
🎯 কালেকশ সম্পর্কে বিস্তারিত 👀জানতেঃ নিচের লিংকে 👆ক্লিক করুন
www.facebook.com/tanbir.ebooks/posts/777596339006593

এখানে👆 ক্লিক করুন

🎯 সুন্দর ভাবে বুঝার জন্য নিচের লিঙ্ক থেকে ই-বুক্টি ডাউনলোড করে নিন...
📥 ডাউনলোড 👆 লিংকঃ এখানে👆ক্লিক

আপডেট পেতে

আপডেট ই-বুক

Recent Posts

মন্তব্য দিন

আমার সম্পর্কে !